Sunday, November 29, 2020

টমেটোর পচা রোগ ( Blossom End Rot )।

টমেটোর পচা রোগ ( Blossom End Rot )।


টমেটোর Blossom End Rot রোগ।

টমেটো বেশিরভাগ পচা একটি ঝামেলা রোগ familiar বাণিজ্যিক ও ঘরের বাগান টমেটোতেও এই রোগটি প্রচলিত এবং প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।


ফলের বিকাশের যে কোনও পর্যায়ে লক্ষণ দেখা দিতে পারে, তবে, সাধারণত ফলটি দেখা যায় যখন ফলটি এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক পূর্ণ আকারের হয়। রোগের নাম থেকেই বোঝা যায়, লক্ষণগুলি কেবল ফলের ফুলের প্রান্তে উপস্থিত হয়। প্রাথমিকভাবে একটি ছোট, জলে ভেজানো জায়গা উপস্থিত হয় যা ফলগুলি বিকাশের সাথে সাথে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং গা dark় হয়। এটি পুরো ফলের পৃষ্ঠের এক-অর্ধেক অংশ পর্যন্ত স্পটটি  হতে পারে বা স্পটটি ছোট এবং অতিমাত্রায় থাকতে পারে। বড় ক্ষতগুলি শীঘ্রই শুকিয়ে যায় এবং চেহারা  চ্যাপ্টা, কালো হয়ে যায়।

1.এই রোগের প্রকোপ বিভিন্ন পরিবেশের অবস্থার উপর নির্ভর করে, বিশেষত যারা উন্নয়নশীল ফলেরগুলিতে জল এবং ক্যালসিয়ামের সরবরাহকে প্রভাবিত করে.

2.এই রোগটি বিশেষত ছড়িয়ে পড়ে যখন দ্রুত বর্ধনশীল, রসালো গাছগুলি হঠাৎ খরা হওয়ার সময় উন্মুক্ত হয়।

3.শিকড়গুলি দ্রুত বিকাশকারী ফলগুলিতে পরিবহন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এবং ক্যালসিয়াম পেতে ব্যর্থ হলে.

4. মাটিতে লবণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গাছগুলিতে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি দ্রুত হ্রাস পায়।

পচন নিয়ন্ত্রণ
************
1. পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্রতা এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহের উপর নির্ভর করে। জমিতে সেট করার সময় টমেটো অতিরিক্তরসালো হওয়া উচিত নয়। এগুলি ভাল জলাবদ্ধ, পর্যাপ্ত বাতাসযুক্ত মাটিতে রোপণ করা উচিত।ঠান্ডা মাটিতে প্রথম দিকে রোপণ করা টমেটোগুলি  প্রসারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে.
2.সুতরাং, উষ্ণ জমিতে টমেটো রোপণ সমস্যা হ্রাস করতে সহায়তা করে।
3.গাছগুলির  বৃদ্ধির হার বজায় সেচ অবশ্যই যথেষ্ট।
4.তবে সুপারফসফেটে বেশি পরিমাণে সার ব্যবহার, যেমন ব্লোসোম এন্ড পঁচনের সমস্যা দূর  করবে। পাতায় ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড  স্প্রে করা যেতে পারে। তবে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত যেহেতু খুব ঘন ঘন বা অতিরিক্ত পরিমাণে প্রয়োগ করা হলে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ফাইটোটক্সিক হতে পারে।

5.ক্যালসিয়াম এর অভাবে এই রোগ/শারীরবৃত্তীয় সমস্যা হয় থাকে।
6.আক্রান্ত ফল ছাঁটাই করে দিন। 
7/ তারপর জিপসাম সার/ক্যালসিয়াম নাইট্রেট দিবেন।
8/মাটিতে জিপসাম সহনীয় মাত্রায় প্রয়োগ .

এই রোগের প্রকোপ  বিভিন্ন ধরণের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান, তবে কোনও বাণিজ্যিক হিসাবে এখনও কার্যকরভাবে প্রতিরোধ নেই.

প্রিয় কৃষকবাসী



করবেন চাষ মাশরুম .

মাশরুম চাষ করবেন??!
কিন্তু, দ্বিধা- দ্বন্দে ভুগছেন, 
নিবো কিন্তু হবে কি হবে না।
করবেন  চাষ  মাশরুম .

নাকি পুরো টাকাটাই জলে যাবে। তাদের জন্য একটা সুন্দর রিভিউ নিয়ে এসেছি। 

আমাদের এই ভাই বেশ কিছু দিন আগে আমাদের কাছ থেকে মাশরুম নিয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ,  অত্যন্ত সুন্দর ফলাফল এসেছে। আল্লাহ উনার মনের আশা পূরণ করেছে। 

তাই, দ্বিধা- দ্বন্দে না ভুগে আজই অর্ডার করুন।

✌️✌️ মাশরুম চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি, ঘরে বসে আয় করি ✌️✌️


কাদের জন্য  মাশরুম চাষ??!

👉যারা চাকরি পাচ্ছেন না,  দুশ্চিন্তা করছেন। 
👉ছাত্র- ছাত্রী ভাই- বোনেরা যারা লেখা পড়ার পাশাপাশি ঘরে বসে টাকা আয় করতে চান।
👉বাড়ির গৃহিনীরা যারা বাসায় কাজের পাশাপাশি কিছু করতে চাচ্ছেন। 
👉যারা অল্প বিনিয়োগে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন৷ 
👉পরিবারে নিজেদের খাওয়ার জন্য মাশরুম চাচ্ছেন 

মাশরুম চাষে সুবিধাঃ 
১. খুবই অল্প জায়গা লাগে। 
২. তিন বেলা পানি স্প্রে করা  ছাড়া আর কোনো যত্ন লাগে না। 
৩. অল্প পুজিতে ভালো আয় করা যায়।
৪. সকলের পক্ষে করা সম্ভব । 

 মাশরুম চাষ পদ্ধতিঃ
১. মাশরুমের স্পন প্যাকেট রেডি করা
২. স্পনের প্যাকেটের যেখান থেকে মাশরুম হবে আমরা কেটে দিবো/ মার্ক করে দিবো। 
৩. নেয়ার পর থেকে ১৫-২০ দিনের ভিতর মাশরুম হবে।
৪. তিন বেলা স্প্রে করে পানি দিতে হবে। 
৫. স্পন,  আলো- বাতাস আসে না এরকম জায়গায় রাখতে হবে৷
৬. ঠান্ডা জায়গায় ফলন ভালো হয়। 


বিঃ দ্রঃ 
১. একটা স্পন থেকে মোট  ১ - ১.৫ কেজি পরিমাণ মাশরুম তোলা যাবে। প্রতিবার ( ১০০-২০০গ্রাম)
২. একটা স্পন ৩-৪ মাস ব্যবহারযোগ্য। 
৩. মাশরুম পরিপক্ব হওয়ার পর কেটে মাশরুম তুললে 
আবার পুনরায় মাশরুম হবে৷

মাশরুম বিক্রি বাজারঃ 

নিজের এলাকা, সব্জি মাজার, সুপার-শপ, হোটেল- রেস্টুরেন্ট, অনলাইন মার্কেট,  ইত্যাদি 

নির্ভর করে আপনার উপর আপনি মার্কেটটা কে কীভাবে ধরতে পারবেন। ভালোভাবে ধরতে পারলে এটা থেকেই ভালো টাকা আয় করা সম্ভব 

🔥যদি কেও মাশরুম চাষ করতে চান তাহলে সকল প্রকার সহযোগিতা এবং নিয়মাবলী বলে দেয়া হবে 



যোগাযোগের ঠিকানাঃ                                                              

01883208957


VIDEO LINK


Saturday, November 28, 2020

পেপে বীজ অংকুরোদ করার নিয়ম.

পেপে বীজ অংকুরোদ করার নিয়ম
পেপে বীজ


1.পেপে বীজ  ২০/২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। 
2.বীজগুলো কয়েক লেয়ার টিসু  পেপারে মুড়ে পানি স্প্রে করে ৫/৬ দিন রাখবেন।
3. দেখবেন বীজে অংকুর গজিয়েছে. অংকুরের সাদা অংশ গাছ হবেনা,
4. শিকড় হবে তাই মাটিতে দেওয়ার সময় সাদা অংকুর মাটিতে আড়াআড়ি ভাবে রাখবেন 
5.বীজের উপরে ০.৫ ইঞ্চির বেশি মাটি যেন না পড়ে। জানুয়ারী পর্যান্ত পেপে চারা তৈরী করতে পারবেন।


শিমের ফুল ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দূর।




শিমের ফুল ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দূর
শিমের ফুল ও ফল ছিদ্রকারী পোকা






1.পোকার আক্রমন থাকা কালিন সময় সপ্তাহে দুইবার  ডগা ও ফলছিদ্র পোকার তরল কিটনাশক +এবামেকটিন বেনজয়েড পাতা স্পে করুন ।
2.আক্রমন কমে গেলে সপ্তাহে একবার  অথবা ক্যারাটে প্রতি লিটার পানিতে আধা মিলি গ্রাম ওষধ মিশিয়ে স্পে করতে হবে ৭দিন পর পর। 



3.ফল ছিদ্র কারী পোকার আক্রমন হলে সিনজেন্টা কোম্পানির নতুন ঔষধ ডেনিম ফিট্ +এলিকা দিন৷ ঠিক হয়ে যাবে৷ 
4.তাছাড়া জিএমই এগ্রোর ফেরোমন ফাঁদ সিলভাও ব্যবহার করতে পারেন

মরিচ চারা গাছের গোড়া শুকিয়ে যাওয়।


মরিচ চারা গাছের গোড়া শুকিয়ে যাওয়। 
মরিচ চারা গাছের গোড়া শুকিয়ে যাওয়।


প্রতিকার ও উপায়ের পরামর্শঃ-

মরিচ চারা সাধারনত খুব কম মরে।



১)  সারের পরিমান বেশী হওয়ার কারনে হতে পারে।

২) সার মিশানোর পরে মাটি হয়তো উল্টে পাল্টে না দেওয়ার কারনে।

৩) গাছের গোড়ার মাটি ভেজা অথবা শক্ত দোলা  হলে এমন হয়।


৪)রাসায়নিক সার যে কোন সবজি গাছে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

৫)সার মিশানোর দু'তিন দিন পরে মাটি ভালভাবে উল্টে পাল্টে নিতে হবে। 

৬)গোবর দিলে অবশ্যই পচাঁ গোবর শুকিয়ে ঝুরঝুরা করে দিতে হবে, কাঁচা গোবর বা ভেজা কাদার মত গোবর দেয়া যাবে না। মাটি ও গোবর অবশ্যই ঝুরঝুরা করতে হবে।

৭)গাছ রোপন করার সময় জৈব সার পরিমান মতো মাটির সাথে মিশানো ছাড়া অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। গাছ যখন নিজের পায়ে দাড়িয়ে যাবে তখন চারপাশে বল করে দুর দিয়ে হালকা সার দিলে ক্ষতি হবে না।

৮)ইউরিয়া ব্যবহার না করে DAP ব্যবহার করুন। মরিচ গাছে ইউরিয়া সার   ব্যবহার না করাই ভালো।

মিষ্টি কুমড়ার গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে

আমার মিষ্টি কুমড়ার গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে
।গাছের বয়স ১ মাস।কি করবো পরামর্শ।

মিষ্টি কুমড়ার গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে


এটা মোজাইক ভাইরাস।



 ১/ ১মিলি প্রতিলিটার পানিতে
পিজি আর ফ্লোরা বা বায়োফার্টি ইউজ করতে পারেন।
 ২/তবে গাছের গোড়ায় জৈব সার দিলে ভালো ফল পাবেন।
৩/পানি কমিয়ে দেন এক দিন পর পর পানি দেন।
৪/সিকিউর  দিন( বায়ার) 

সৌদি খেজুরের চারা রোপন

*** সম্মানিত পাঠক, আসসালামু আলাইকুম।।।
আপনি যদি টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত সৌদি খেজুরের চারা রোপন বা ব্যাবসায়িক উদ্যেশ্যে ক্রয় করতে চান তবে, এই লেখাটা আপনার জন্য পড়া জরুরি।
বাংলাদেশে অনেক নার্সারিতেই এখন সৌদিখেজুরের টিস্যু কালচার চারা পাওয়া যাচ্ছে,আর এই চারা গুলো আসছে ভারত হতে। কিন্তু বিষয় হলো আমি বড় বড় নামকরা এবং সরকারি ভাবে স্বীকৃত নার্সারির প্রতিনিধি বা নার্সারির মালিক দের সাথে কথা বলে যে তথ্য পেয়েছি তা হলো, "ভারতের অনেক অসাধু ব্যাবসায়ী ও নার্সারি মালিকরা বীজহতে উৎপাদিত চারা টিস্যু কালচার চারা বলে বিক্রি করে দিচ্ছে" যাদের প্যাকেটে কোন আমদানিকারক কোম্পানির নাম বা সিল /লোগো,ঠিকানা থাকে না, আর থাকলেও সেটা কাগজে প্রিন্ট করে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেয়। তাদের অনেকেই বলে আমরা নিজেরাই এই চারা উৎপাদন বা আমদানি করি । এই কথাটা কত টুকু সত্য এটা আমরা সবাই অনুমান করতে পারছি!!!
আর মূল্য, ভালো কোম্পানির চারার মূল্য হতে অনেক কম বলে, বাংলাদেশের অনেক নার্সারিই এই চারাগুলো আমদানি করছে এবং টিস্যু কালচার বলেবিক্রয় করছে। এতে নার্সারি মালিকরা লাভবান হলেও যারা চারা কিনছে তারা ঠকছেন। আর টিস্যু কালচারের চারা নাকি বীজের চারা এটা ফল না আসা পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না,বা বুঝার কোনো উপায়ও নাই।
তাহলে ভালো কোম্পানি বা অরিজিনাল টিস্যু কালচার চারা আমদানি কারক কোম্পানি চিনবো কি করে????
হ্যা, যে গুলো ভালো মানের কোম্পানি বা যাদের চারা আমদানি করার লাইসেন্স আছে তাদের কিছু বৈশিষ্ঠঃ
১। তাদের প্যাকেটে কোম্পানির নাম,ঠিকানা,ইমেইল,জাতের নাম সহ বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকবে
২। তারা কখনোই তাদের এজেন্ট বা নির্ধারিত পদ্ধতির বাইরে কাউকে চারা দেয় না।
৩।কোম্পানির নির্ধারিত মুল্যের কম-বেশি করবে না।
(গুগলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত,,,,)
তবে বাংলাদেশের অনেক নার্সারিই ভালো মানের টিস্যু কালচার চারা আমদানি করছে। যাদের প্যাকেটে বিস্তারিত দেয়া আছে সেখান থেকে নিতে পারেন ।অথবা চাইলে ভারতের রাজস্থানের "অতুল" নার্সারির সকল জাতের ভালোমানের চারা সুলভ মুল্যে আমাদের নিকট পাবেন। যোগাযোগ 01710234998 আমার এখানে নেট সবসময় থাকে না তাই কল না আসলে মেসেজ করবেন অথবা ইনবক্স করবেন। আর ফ্রেন্ডস না থাকলে অনেক সময় মেসেজ আসে না তাই অ্যাড করে নিবেন।
মুল্য তালিকাঃ
বারহি-৫০০০ /
আজওয়া -৬০০০/
মেডজুল -৬০০০/
বিদ্রঃ কোম্পানি মুল্য পরিবর্তন করলে আমরাও মুল্য পরিবর্তন করবো।
ধন্যবাদ।

FB++link

কুল চাষের পদ্ধতিগুলি

 কুল চাষের পদ্ধতিগুলি 

কুল চাষের পদ্ধতিগুলি

বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় এখন প্রচুর ফলের চাষ হচ্ছে। বিদেশি ফলের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি দেশি ফলেরও চাহিদা বাড়ছে। তাই আজ আমরা কুল চাষের পদ্ধতিগুলি নিয়ে আলোচনা করব।

পুষ্টিকর মান: কুল পুষ্টিকর ফল।

 বৈশিষ্ট্য: এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে, রক্তকে পরিষ্কার করে এবং হজম হিসাবে কাজ করে। তদুপরি, পেট ফাঁপা ফুল, অ্যানোরেক্সিয়া এবং ডায়রিয়ার ফুল দিয়ে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
উপযুক্ত জমি এবং মাটি: যে কোনও ধরণের মাটিতে বিশেষত দো-আঁশযুক্ত জমিতে কুল চাষ ভাল। গাছ লবণাক্ততা এবং জলাবদ্ধতা উভয়ই সহ্য করতে পারে।

বীজ উত্পাদন: প্রচার দুটি উপায়ে করা যায়। বীজ ধারণ করে এবং কলম তৈরি করে। কলমের চারাগুলি ভাল কারণ তারা বংশগত বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে। কলমের চারাগুলি রিং, তালি বা টি-উদীয়মানের মাধ্যমে তৈরি করা যেতে পারে।

চারা রোপণ: মধ্য-মগ থেকে মধ্য চৈত্র এবং মধ্য শ্রাবণ পর্যন্ত চারা তৈরির জন্য উপযুক্ত সময়। চারা রোপণের এক মাস আগে, তার চারপাশে 1 মিটার গর্ত তৈরি করা উচিত। লাইন থেকে লাইনে এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব 1 মিটার রাখতে হবে।

সার ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি গর্তে চারা রোপণের 10 দিন আগে 25 কেজি পচা গোবর, 250 গ্রাম টিএসপি সার, 255 গ্রাম এমওপি সার এবং 250 গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।
1-2 বছর বয়সে 12 কেজি পচা গোবর, 250 গ্রাম টিএসপি সার, 250 গ্রাম এমওপি সার এবং 300 গ্রাম ইউরিয়া সার প্রতি উদ্ভিদে প্রয়োগ করতে হবে। তবে বয়সের সাথে সাথে সারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই সারগুলি সারা বছর 2/3 কেজি প্রয়োগ করতে হয়। ফসল সংগ্রহের পরে, ফল সংগ্রহের পরে এবং বর্ষার পরে উপরের সার প্রয়োগ করা ভাল।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: শুকনো মরসুমে, বিশেষত ফুল ও ফলজ মৌসুমে মাসে একবার সেচ দেওয়া ভাল। ফসল কাটার পর পর পর 15 দিনের জন্য সেচ প্রত্যাশিত ফলন দেবে। অধিকন্তু, গাছের গোড়ায় এবং নালাগুলি সর্বদা পরিষ্কার রাখা দরকার। চারাগুলির কাঠামো শক্তিশালী রাখার জন্য, প্রথম বছরে গাছের গোড়া থেকে কোনও ডালপালা 75 সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচুতে রাখা উচিত নয়।

ছাঁটাই: কুল গাছের বৃদ্ধি এবং পরিমিত ফলের ধরণের জন্য ডাল ছাঁটাই জরুরি কাজ। সঠিকভাবে ছাঁটাই না করলে বাগানটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কলমটি মাটিতে লাগানোর পরে একটি তাজা এবং বর্ধমান ডাঁটা উপরের দিকে বাড়তে সহায়তা করা উচিত। এর জন্য, তাজা ডালগুলি প্রয়োজনীয় হিসাবে ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং বাকী কাটা উচিত। এই কাজে কাঁচি ব্যবহার করা উচিত এবং প্রধান গাছটি লাঠি দিয়ে খাড়া করে রাখতে হবে। গাছটি সমানভাবে কাটা উচিত যাতে মূল গাছের ছাল বা ছালটি না বেড়ে যায় এবং যত্ন নেওয়া উচিত যাতে যাতে গাছের ক্ষতি না হয়।

কাটা অংশটি কাঁচা গোবর দিয়ে  রাখতে হবে। তারপরে কাণ্ডে প্রচুর নতুন কুশির জন্ম হবে। ফলস্বরূপ, গাছটি উপরের 2 ফুটের সদ্য অঙ্কিত শাখাগুলিতে একটি ছাতার আকার নেবে এবং এক পর্যায়ে এটি ঝাকড়া গাছ হবে। গাছগুলি প্রতি বছর মার্চ মাসে ছাঁটাই করা উচিত। বড় ডালপালা সাবধানে কাটা উচিত। শীতল গাছগুলির সর্বদা নতুন অঙ্কুরিত শাখাগুলিতে কুঁড়ি থাকে। সুতরাং, নিয়মিত ছাঁটাইয়ের ফলস্বরূপ, গাছটি আরও নতুন শাখা বাড়বে এবং আরও বেশি ফল ধরে 
রোগ ব্যবস্থাপনা:

রোগের নাম: কুল গাছের পাউডারি মিলডিউ

ভূমিকা: এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। 
ক্ষতির প্যাটার্ন: গাছ থেকে পড়ার পরে সংক্রামিত ফুল এবং ফল।
অনুকূল পরিবেশ: এই রোগের জীবাণু গাছের পরিত্যক্ত অংশে এবং অন্যান্য নিষ্পেষণকারী উদ্ভিদে বেঁচে থাকে। এটি বাতাসের মাধ্যমে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।
ছড়িয়ে পড়া: গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় বিশেষত মেঘলা আবহাওয়ায় এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ম্যানেজমেন্ট: গাছের ফুল ফোটার পরে থিওভিচ ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে 2 গ্রাম হারে বা প্রতি লিটার পানিতে 250 মিলিয়ন ইসি প্রতি 0.5 মিলি হারে স্প্রে করা উচিত। পরের 15 দিন দু'বার স্প্রে করা উচিত।
ফসল সংগ্রহ: ফলত মাঝপুশ থেকে মধ্য চৈত্র পর্যন্ত পাওয়া যায়। 

আমাদের ভিডিও কুল চাষে লাভ।দেখতে চাইলে ক্লিক করুন।




Tuesday, November 24, 2020

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের গুণ.

 

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের অবিশ্বাস্য যত গুণ!

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের  গুণ.


অ্যালোভেরা গাছের অবিশ্বাস্য মানের গুণ আছে যা নিচে আলোচনা করা হলো। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছ কে ঔষধি গাছ বলা হয়।  যদিও এটি আরব উপমহাদেশের বেশি পাওয়া যাই। তবে এটি আামাদের দেশের মাটিতেও জন্মাতে পারে। এর গুণমানের কারণে এটি বিশ্বের সব দেশেই চাষ হচ্ছে।

অ্যালোভেরা  বৈশিষ্ট্য। 

প্রাচীন কাল থেকেই সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরার নির্যাস রোদে পোড়া ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। বিভিন্ন সংক্রমণ এবং ক্ষতর মহা উপকারী এই গাছটি। 

দাঁত এবং মাড়ির উপকারিতা।

অ্যালোভেরা দাঁত এবং মাড়ির সমস্যার জন্য একটি  প্রতিরোধকও। দাঁতে ব্যাকটেরিয়া দমনে টুথপেস্টের চেয়ে অ্যালোভেরা অধিক কার্যকর। অ্যালোভেরা দাঁতের  দাঁত ব্যথার ওষুধ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।

ক্যান্সার থেকে মুক্তি

নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খাওয়া পেটের অসুস্থতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এটি ক্ষারত্ব, স্বাস্থ্যকর লিভার, হৃদরোগ, হজম এবং স্তন ক্যান্সার হ্রাস করতেও সহায়তা করে। এবং প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরার রস একটি সাধারণ মহা ঔষধ হিসাবে কাজ করবে

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়

আপনি আপনার প্রতিদিনের জীবনে বিভিন্নভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। আধা কাপ অ্যালোভেরার জুসটি সকালে ও সন্ধ্যায় অল্প লবণের সাথে মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।

চুল শক্ত করে ঃ

চুলকে শক্তিশালী করতে আপনি অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা চুল পড়া রোধেও খুব উপকারী। আপনি এটি কন্ডিশনার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। এক কাপ মেহেদি গুঁড়োতে তিন চা চামচ অ্যালোভেরার মিশ্রণটি শ্যাম্পুর মতো মাথার ত্বকে লাগান। তারপরে এক ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি মাসে কয়েকবার এভাবে ব্যবহার করেন তবে আপনার চুল শক্ত হবে। খুশকির জন্য তিন চামচ অ্যালোভেরার সাথে কিছু ধনিয়া গুঁড়ো মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান।

ব্রণঃ-

অ্যালোভেরার রস ব্রণ, মুখের কালো দাগ এবং অন্যান্য ত্বকের রোগের জন্য ভালো। এই রস আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি সরিয়ে দেয়। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে যা আপনার দেহকে রক্ত ​​সরবরাহ সহ ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।

হাড় এবং পেশীঃ-

অ্যালোভেরার রস দেহে কোষ গঠনে সহায়তা করে। হাড় এবং পেশীগুলির জয়েন্টগুলি শক্তিশালী করে। প্রতিদিন এটি খেলে কোলেস্টেরল হ্রাস পায়।


ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ

অ্যালোভেরা  গাছের অবিশ্বাস্য মানের! অ্যালোভেরা শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতে খুব উপকারী।

ধন্যবাদ সবাইকে

ভালো থাকবেন

সৌজন্য.......... 

কৃষি পরামর্শ গ্রুপ





ড্রাগন ফল

 

ড্রাগন ফলের বিস্ময়কর গুণাগুণ।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা


এই ড্রাগন কোনও রূপকথার গল্প বা কোনও আজব খাবার বা প্রাণী নয়। এটি একটি ফলের নাম। এটিতে সমস্ত অসম্ভব উপকারী গুণ রয়েছে। এই ফলটি জুলাই মাস থেকে বেশি বাজারে পাওয়া যায়। বতর্মান সারা বছরি প্রাই।


পটাসিয়াম: ড্রাগনের ফলের মধ্যে প্রচুর খনিজ থাকে। এতে পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। শরীরে স্নায়ুতন্ত্র বজায় রাখতে এই ফলটির ভূমিকা রয়েছে। ড্রাগন ফলের দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।


ভিটামিন সি: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এর জন্য খুব উপকারী এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ড্রাগন ফল আয়রনের একটি ভাল উত্স। এটি দাঁত মজবুত রাখে এবং ত্বককে সতেজ রাখে। এই ফলটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী কারণ এটিতে ভিটামিন এবং খনিজ লবন রয়েছে। এটি হাঁপানি, সর্দি এবং কাশি রোধ করে। এটি খেলে মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ ঔষধি গুণ রয়েছে যা মানব দেহের অনেক উপকারী। 


বাংলাদেশের অনেক জায়গাতে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে।প্রতি কেজি ফলের দাম ৪০০/৫০০ টাকা।



কৃষি পরামর্শ group

Thursday, November 19, 2020

বল সুন্দরী ও কাশ্মেরী আপেল কুল।


বল_সুন্দরী_কুল






বল_সুন্দরী_কুল


বল সুন্দরী ও কাশ্মেরী আপেল কুল.



রোপণের উপযুক্ত সময়: জেষ্ঠ-আশ্বিন মাস তবে সারা বছর ধরে চাষ করা যায়।
চারা রোপণের দূরত্ব: চারা থেকে চারা ৬ ফুট, সারি থেকে সারির দূরত্ব ৯ ফুট।
১ বিঘায় ৩৩ শতাংশে গাছের সংখ্যা ২২৫ টি।
মোট ব্যয়: ২৫ -৩০ হাজার টাকা।চারা প্রতি সম্ভাব্য ব্যয়: ১১০-১২৫ টাকা।
সম্ভাব্য লাভ: ১ ম বছর: ৬0,000-১,00,000 টাকা দ্বিতীয় বছর: ১,৪0,000-২,00,000 টাকা
বল সুন্দরী কুল এবং কাশ্মিরের আপেল কুলের বৈশিষ্ট্য।
১/গাছ খুব ছোট থাকতে পর্যাপ্ত ফল আসতে শুরু করে! ২/ ফলটি যখন ছোট থাকে তখন একেবারে লাল-সবুজ আপেলের মতো দেখাই।
৩/ফলটি বড় হলে দেখতে একেবারে আপেলের মতো লাগে! ৪/ফলগুলি খুব বড় এবং ১০/১২টি ফল ১ কেজি।
৫/মিষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি। ৬/ ফলের মাঝে বীজ অনেক ছোট। ৭/গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। ৮/ বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়।
ছাদের বাগানের বন্ধুরা উদ্যানের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আপেল কুল গাছ লাগাতে পারেন নির্দ্বিধায়এবং সুস্বাদু ফল খেতে পারেন।
বাণিজ্যিক উদ্যানের বন্ধুরা বল সুন্দরী কুল এবং কাশ্মীরি অ্যাপল কুলের চাষ করে ভাল লাভ দিয়ে থাকে এই জাতটি তো এই চাষ দিয়ে বিপ্লব ঘটাতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
ভালো থাকবেন
















বারোমাসি থাই কার্টিমন আম .

 


সুস্বাদু বারোমাসি থাই কার্টিমন আম বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারোমাসি বারি আম-১১।
কে না চাই সুস্বাদু আম খেতে ? অনেকে আজ এই আমের গাছটি টব / ড্রাম / বাণিজ্যিক উপায়ে রোপণ করে সফল হচ্ছেন।ফলোন ও ভালো পাচ্ছেন।
বারোমাসি থাই কাটিমন আমের বৈশিষ্ট্য ঃ থাইল্যান্ডের আমের মধ্যে বারোমাসি থাই কাটিমন আমের সম্ভাবনা ও উৎপাদন সব থেকে বেশি।
ছোট, বড়, পাকা, কাচা আম সারা বছর একই গাছের মধ্যে পাওয়া যায়।এ জন্য এর নামের পাশে বারমেসে নামটি জড়িত।

বাণিজ্যিক ভাবে চাষের জন্য আমের মধ্যে এ আমটি উচ্চ ফলনশীল জাতের আম।যা চাষ করে লাভোবান হওয়া সম্ভাব।

এই আমের গন্ধ এত মিষ্টি যে নাকে আসলেই খেতে মন চইবে। খুব পাতলা গায়ের চামড়া আর আশ বা ফাইবার নাই। পাকা হওয়ার পরে, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি সাধারণ উপায়ে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।প্রতিটি আমের ওজন ৪০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম।মৌসুম ছাড়াই এই আমের বাজারদর অনেক বেশি।

বারোমাসি বারি ১১ আমের বৈশিষ্ট্য;-
বারোমাসির বিভিন্ন জাতের আম সারা বছরই ফল ধরে। বছরে তিনবার ফল দেয়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারী এবং মে মাসে গাছটি ফুল ফোটে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্টে ফল দিয়ে থাকে।
প্রতিটি আমের গড় ওজন ৩৫০-৪০০গ্রাম হয়। কাঁচা আমের গায়ের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাকা হয়ে গেলে ত্বক হলদে সবুজ হয়ে যায়।
গাছের উচ্চতা হয় ৬ থেকে ৭ ফুট। একটি গাছে বছরের সব সমায় ফল পাওয়া যায়।
এটি খেতে সুস্বাদু তবে এতে কিছুটা ফাইবার রয়েছে। ফলের মাংস গা হলুদ বর্ণের হয়।৭০/৮০ টা আম একবারে এই জাতের ৪/৫ বছরের পুরানো গাছ থেকে নেওয়া যায়। এছাড়াও, এই জাতের একটি গাছ থেকে গড়ে বছরে ৫০ কেজি আম পাওয়া যায়।

প্রতিটা থুকনা বা গুচ্ছে ৫-৮ টি আম থাকে। এই উচ্চ ফলনশীল জাত বাংলাদেশের সব অঞ্চলে চাষের উপযোগী।তবে দোআশ মাটিতে ভলো হবে। এই জাতের আমের একটি চারার দাম ২৫০/৩০০ টাকা। আশে পাশের চারা বিক্রেতার কাছ থেকে নিতে পরবেন। তবে সেটা কলম চারা হবে হয়তো।আপনাকে ভালো চারা পেতে হলে কোন সরকারী আটিকালচার বা কৃষি বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে।



ধন্যবাদ সবাইকে
ভালো থাকবেন

কাটিমন আম












গৌড়মতি আম.

 

গৌড়মতি আম.



নবী জাতের আম গৌড়মতি এর কথা না বল্লেই নয়।
নাম গৌড়মতি নামকরণ ঃ মনজুরুল হক নামে এক কৃষিবিদ, আমের এই নতুন জাতের নাম রেখেছেন 'গৌড়মতি', যা স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম প্রথম পাওয়া গেছে। সে কারণেই আমের এই নতুন জাতটির নাম 'গৌড়' এবং ' শব্দটির সাথে গৌড় থেকে 'গৌড়' শব্দটির মিল রেখে 'গৌড়মতি' নামকরণ করা হয়েছিল।
গৌড়মতি আমের বৈশিষ্ট্য ঃ এই আমের দ্রবণীয় (টিএসএস) প্রায় ২৫ শতাংশ। এই আম নবী জাতের। যদিও নবী জাতটি, অন্যান্য জাতের মতো একই সাথে কুঁড়ি আসে।
এই আমটি ল্যাংড়া বা খিরসাপাটা অর্থাৎ হিমসাগরের চেয়ে ১৮/২০% বেশি মিষ্টি।
গৌড়মতির ভোজ্য অংশ প্রায় ৯৩ শতাংশ এবং আমের অন্যান্য ভাল জাতের ভোজ্য অংশ ৭০/৮০ শতাংশ। আম পাকা হয়ে গেলে হলুদ ও সিঁদুর মিশ্রণে দারুণ লাগে। গৌরমাতি আমেতে মিষ্টি পাশাপাশি উচ্চ স্তরের খনিজ রয়েছে।
এই আমের খোসা এবং আটি দুটোই পাতলা এবং আটি ছোট তাই এই আমের ভোজ্য অংশ বেশি হয়।
ল্যাংড়া ও অশ্বিনার প্রাকৃতিক পরাগায়নের ফলে এই নতুন জাতের আমের উদ্ভাবন হয়েছে বলে মনে করা হয়। এই আম দেখতে অনেকটা ল্যাংড়া এবং অশ্বিনা জাতের মতো। অন্য কথায়, এই আম আশ্বিনার নবী জাতের বৈশিষ্ট্য এবং ল্যাংড়া থেকে বর্ণ, আকার এবং স্বাদ সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পেয়েছে। এই আমের আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাকা আম পাওযা যায়।
প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩৫0 থেকে ৬00 গ্রাম অর্থাৎ গড়ে ৩ টি আমের ওজন ১ কেজি হয়। * স্বাদ, মিষ্টি এবং গন্ধে এই আমের অতুলনীয়। * আমের বাজারের দাম প্রতি কেজি কমপক্ষে ৩৫০-৪০০ টাকা।
সাধারণত ৩ বছর লেগে যায় ফল ধরতে। ৪ বছরের একটি গাছ থেকে ২০ কেজি এবং প্রতিটি ৫ বছর বয়সী গাছে থেকে প্রায় ৩০ কেজি আম পাওয়া যায়।
এই গাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি গাছে আম ধরার পরে সেই গাছের কাণ্ড বা গোড়া থেকে ৩ গুণ ডাল ও নতুন পাতা বের হয়। ফলস্বরূপ, গাছ প্রতি বছের ফলন বেশি দেয়। এই আম চাষ করা যেতে পারে বাণিজ্যিক ভাবে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে আম চাষে।

ধন্যবাদ সবাইকে
ভালো থাকবেন
















Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...