Thursday, February 18, 2021

জৈব চাষ।

 দিনের পর দিন খুব দ্রুতগ তিতে জৈব চাষ বেড়েই চলেছে, যারা জৈব চাষকেই বেশি গুরুত্বদেন, নিস্বন্দেহে খুব ভালো সিদ্ধান্ত, এটাতে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধিপায়, নিরোগ সুস্থ ফষল উতপাদন করাযায়, পরিবেশ দুষন কমেযায়, রাষায়নিকমুক্ত ফসল পাওয়াযায়, কিন্তু আমার প্রশ্ন এখানে,

 1.. এই পদ্ধতিতে কি খরচ কমহয়? 2.. এটাতে কি লাভ নিশ্চত? 3.. এই ফষলের কি স্পেশাল কোনো দাম পাওয়াযায় ?4.. সাধারন রাষায়নিক শব্জির তুলনামুলক এই শব্জির দাম কি অনেকটায় বেশি? নাকি সমান? 5..জৈবচাষে উতপাদিত ফষলের কি আলাদা কোনো মার্কেট আছে? 6 সব ধরনের ট্রিটমেন্ট কি জৈবভাবে আদৌ সম্ভব? অনেকেই বোলবেন হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব, তাদের কাছে জানতেচায়, কয়েকটা প্রশ্ন, সব ধরনের মাকড় মারাপোড়বে এমন কোনো মাকড়নাশক আদৌ কি বাজারে বেরিয়েছে? যেটা  অবশ্যই জৈব, অনেকেই বেশকিছু জৈব মাকড়নাশকের নাম বোলবে, তবে তার টেকনিকাল উপাদান কি আছে? এটা উল্লেখ কোরবেন, মাকড়নাশকের যতগুলি ফরমুলেশন আছে তা আমি বোললাম (ফেনাজাকুইন, ফেনপারঅক্সিমেট, প্রোপারগাইড, ডাইকোফল,স্পাইরোমেসিফেন, ডাইমিথোয়েট, প্রোফেনোফস) এগুলি সবই রাষায়নিক! এবারে বলি ব্যাকটেরিয়ানাশক 

(স্ট্রেপটোসাইক্লিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, প্লান্টোমাইসিন, ক্রিস্টোসাইক্লিন) এগুলি সব টেকনিকাল উপাদান, এবারে বলছি কৃমিনাশক, যেটাকে নিমাটোড বলাহয় (কার্বোফিউরান, ফ্লুওপিরাম) এইসব রোগের হাতথেকে ফষলকে বাচানো প্রায় অসম্ভব, তবে সময়মতো এইসব মেডিসিন ব্যাবহারে 70% ফসলকে বাচানোযায়, কোনো জৈব ওষুধ আজও তৈরিহয়নি, তায় ফষলে যখন যেটা দরকার তখন সেটাই ব্যাবহারকরা দরকার, তা সেটা জৈব হোক বা রাষায়নিক,  আয়ুর্বেদ বা হোমিওপ্যাথি চিকিতসা যেমন খুব ভালো, তেমনি যখন মারনঘাতি রোগ যেমন, ক্যানসার, স্ট্রোক, হার্টএটাক, বিভিন্ন অপারেশন তখন হসপিটাল একমাত্র ভরষা, আর সেখানেই ছুরিকাচি আর রাষায়নিকে তৈরি সমস্ত ঔষধ! ঠিক কৃষিতেও এমনটায়, এখন যারা মানুষের ভালোর জন্যেই জৈব চাষ কোরছেন, তাদেরকে বলছি যাদের জন্য আপনি সুস্থফষল তৈরি কোরছেন, তারাই আপনার ফসল যত কমে কেনাযায় সেই চেষ্টায় কোরবে, বিনিময়ে আপনি যখন কিছু কিনবেন মিষ্টিতে রং, চালে পাউডার, পটলে রং, ওষুধে পাকানোফল, ইনজেকশনে পাকানো তরমুজ, রাষায়নিক খাবারে তৈরি পোল্টির মাংস, মোমদিয়ে তৈরি চকলেট,

(আপনি পুড়িয়ে দেখতেপারেন) রং মাখানো মাছ, সব কিছুতেই ভেজাল, তবুও তাদের জিনিষের দাম বেড়েই চলেছে, যাদের জন্য আপনি প্রানপন চেষ্টা কোরছেন, তারাই আপনাকে বাঁশদিয়ে ছেড়েদিচ্ছে, প্রতিবাদ উঠবে তখন, যখন ফষলের দাম বাড়বে, আর যখন ফষলের দাম নিম্নমুখি তখন তারা প্রতিবাদের বদলে জৈবচাষে আগ্রহি হতেবলবে, কারন হাজারো জৈব কোম্পানি ব্যাবসায় নেমেছে, তারা সরকারের কিছু বাছায়করা  হেভিওয়েট লোকেদের দারা তাদের প্রোডাক্ট চড়াদামে চাষিদের কাছে বিক্রির এক অভিনব ফাদ তৈরিকরেফেলেছে, তায় এসব ফাদে না পড়ে, আপনার যখন যেমনটা কৃষিতে প্রোয়োজন তেমনটায় ব্যাবহারকোরুন, আপনি ব্যাবসা কোরছেন, কৃষিব্যাবসা, তায় লাভেরজন্য আপনি যেকোনো পথ বেছেনিতেপারেন, কার ভালোহচ্ছে কার খারাপ হচ্ছে, দেখার দরকারনেই, তবেই আপনি সফলতা পাবেন, মনেরাখবেন লসখেলে 


কেউ ক্ষতিপুরন দেবেনা, বা পাশেও থাকবেনা, তবে চেষ্টা কোরবেন যতটা জৈবভাবে ফষল উতপাদন করাযায়, কোরবেন, কিন্তু ভুলেও 100% নিরাপদ জৈবচাষ সম্ভব না, যদিও সম্ভব হয়েথাকে, ফলাফল বা পারিশ্রমিক 0%, আপনি জৈব চাষ কোরছেন কিন্তু রাষায়নিক চাষের জমি আপনাকে ঘিরে রেখেছে, সেখানথেকে বেচেআসা রোগপোকা আপনার জমিতে চলে আষবে তখন আপনি কখোনোই জৈবদমন কোরতে পারবেননা, তারাসবাই লাভকরে বেরিয়েযাবে, লসে পোড়বেন আপনি, অনেক কথা বলারছিল, তবুও খুব সংক্ষেপে বোলতে চেষ্টাকোরলাম।

সংগ্রহ -কৃষি পরামর্শ গ্রুপ মেম্বার।

সৌজন্যে---------------------


 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             






Sunday, February 14, 2021

মাশরুমের উপকারিতা ।


মাশরুমের উপকারিতা

                                                           মাশরুম 

মাশরুম বাংলাদেশে এখন একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। এটি কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও যথেষ্ট উপকারী। মাশরুম সালাদ হিসেবে, ভেজে, সুপ করে বা রান্না করে খাওয়া যায়।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখা উচিত। তবে শুধু চাষ করে উৎপন্ন মাশরুম খেতে হবে।মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

এসব উপাদান ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে ও ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খেয়ে থাকি সেগুলোর চেয়ে মাশরুমের পুষ্টিগুণ তুলনামূলকভাবে বেশি বলে এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গুলো পূরণ করে, শরীরকে সুস্থ রাখে।

মাশরুমের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে এখন কি কি উপকার আমরা পেয়ে 

থাকি তা সম্পর্কে জানব।


মাশরুমের উপকারিতা ...


# মাশরুম আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।


# ডায়াবেটিসের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।


# হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ রোধ করে।


# ক্যান্সার এবং টিউমার প্রতিরোধ করে।

# হেপাটাইটিস বি এবং জন্ডিস প্রতিরোধ করে। রক্তাল্পতা দূর করে।


# হাড় এবং দাঁত গঠনে কার্যকর ভুমিকা রাখে।


# খাবার হজম করতে সহায়তা করে।


# নিয়মিত খেলে ডায়রিয়া নিরাময় হয়।


# কিডনি ও বহুমুত্র রোগের প্রতিরোধ করে।


# ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।


# যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং টনিক হিসাবে কাজ করে।


# এটি দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়।


# মানুষের দেহে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ করে।

# ভাইরাল রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।


# হাইপার টেনশন দূর করে।


# মেরুদণ্ড শক্তিশালী এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।


#  যক্ষা রোগীদের রাতে ঘাম ঝরা বন্ধ হয়।


# এটি ত্বকের রঙ বা মেলানিনকে সুন্দর করার জন্যও বিশেষ উপকারী।

# এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থকে মুক্ত করে এবং দেহের কোষকে উদ্দীপনার মাধ্যমে এটি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির যথাযথ কার্যকারিতা বাড়ায়।


# মাশরুমে শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালনের উন্নতি করে।

সৌজন্যে---------------------


 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             


গাজরে পুষ্টি ও গুণাগুণ।

বিটা রুট সবজির উপকার।

সজনের ডাঁটাতে ও শাকে অবিশ্বাস্য সুবিধা

ঢেঁড়সের বিস্ময়কর উপকারী ও ওষুধি গুণাগুণ।

ফুলকপি খাওয়ার সুবিধা বা উপকার।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা|

কদবেলের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু দুর্দান্ত তথ্য।








Saturday, February 13, 2021

লেবুর গাছের রোগ (ফাইটোপথোরা)

 



লেবুর গাছের  রোগ (ফাইটোপথোরা)


লেবুর একটি মহামারি রোগ (ফাইটোপথোরা) 

মহামারি এ জন্যই যে এই রোগ দেখতে দেখতে সারা বাগানে তারপর পাশের বাগানে ছড়িয়ে পড়ে, বানিজ্যিক চাষের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ এই রোগের সম্মুখিন হতে হয়।

লক্ষণ 

 শুরুর দিকে দু একটা গাছের ছাল ফেটে যায়, তারপর ওই ফাটা জায়গা থেকে আঠা বের বা গলতে শুরুকরে।ঐ আঠা ধীরে ধীরে কান্ড বা ডাল বেয়ে নিচে নামতে থাকে, তারপর কিছু দিন পরে গাছের ছাল পঁচে যায়। পঁচা ডাল গুলো থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হয়, ধীরে ধীরে গাছের গা থেকে ছাল আলাদা হয়ে যায়, তারপরে গাছ ঝিমিয়ে পড়ে, সব পাতা গাছথেকে ঝরেযায়, এরপর গাছ শুকিয়ে মারা যায়, দেখতে দেখতে এই রোগ সমস্ত বাগানে তারপর পাশের বাগানে ছড়িয়ে পড়ে, ব্যপক লোকশানে পড়তে হয়।

রোগের কারণ-

ফাইটোপথোরা ছত্রাকের আক্রমনে এই রোগ হয়, তাই এই রোগের নাম (ফাইটোপথোরা ডিজিজ) দির্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এরপর হঠাৎ অতি বৃষ্টিতে কারনে গাছের গোড়ায় জল জমে থাকে, বাইরের নোংরা জল বাগানে ঢুকেপড়ে, তাছাড়া বাগান যখন ছাটায় করাহয়,তখন ধারালো কিছুর পরিবর্তে যদি পুরানো ছুরিকাচি ব্যাবহার করা হয়, এবং কাটা জায়গাতে ছত্রাক নাশকের প্রলেপ না দেওয়াহয়, এসব কারনে এই রোগে বাগান আক্রান্ত হতেপারে।

রোগের ব্যবস্থাপনা-

 প্রথম থেকেই এর যথাযথো ব্যাবস্থা অবলম্বন করা দরকার, যে জমিতে লেবুগাছ রোপন করাহবে, জমিকে ভালোকরে কর্ষন করতে হবে। প্রতিটা গর্তে পর্যাপ্ত জৈবসার ব্যাবহার করতেহবে। চারা ক্রয় করার সমায় কোনো পরিচিত বা জানা শুনা জাত বা কোন পরিচিত চারা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান থেকে চারা বা কলম সংগ্রহ করা দরকার।

রাসায়নিক দমন,-

আক্রান্ত গাছের ছাল ধারালো অস্ত্রদিয়ে চেচে ফেলে ঐ সব জায়গাতে বর্দমিশ্রনের প্রলেপ লাগাতে হবে, তার একদিন পরে কপারঅক্সিক্লোরাইড অথবা কপার হাইড্রক্সাইড 2.5গ্রাম প্রতিলিটার জলেগুলে সমস্তবাগানে ভালোভাবে স্প্রে করতেহবে, গাছের গোড়ার চারপাশে একটু খুড়েনিয়ে সেখানে ট্রাইকোডারমা ভিরিডি +সিউডোমানামফ্লুরেসেন অথবা ট্রাইকোডারমা হারজিয়েনামের সাথে সিউডোমানামফ্লুরেসন জৈব সারেরসাথে মিশিয়ে চারিপাশে ছড়িয়ে দিয়ে মাটিকে ঢেকে দিতে হবে, রাষায়নিক ছত্রাকনাশক কপার অক্সিক্লোরাইড ব্যাবহারের অন্তত এক সপ্তাহ বা দশ দিনের আগে ফল তোলা বা বাজার জাত করা একদমই উচিতনা।

সৌজন্যে---------------------

 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             






Thursday, February 11, 2021

ব্লু বেরি ফলের উপকারিতা |


ব্লু বেরি ফল।



 ব্লু বেরি ফল।

আজ আপনাদের জানাবো ব্লু বেরি ফল সম্পর্কে।এই ফলটি একটি বিদেশি ফল।বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায় বেশি হয়ে থাকে। বর্তমান ইউরোপ,এশিয়ার দেশগুলোতে দেখতে পাওয়া যায়। এই ফল গুলো কাচা বা অপরিপক্ক থাকতে সবুজ,গোলাপীও নীল থাকে। আর খাওয়ার উপযোগী বা পরিপক্ক হলে নীল ও বেগুনি রং ধারন করে। এই ফলের জাতটি উত্তর আমেরিকার একটি স্থানীয়  জাত।



বৈজ্ঞানিক নাম---ভ্যাকসিনিয়াম সায়ানোকক্কাস।


গাছ ও ফলের ধারনা।

এই ফলটি মাটিতে জন্মানো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গাছটির উচ্চতা ১০ সেঃমি থেকে ৪ মিটার (১৩ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে।কাঁচা অবস্থায় ফলের রং ফ্যাকাশে সবুজ হয় তবে পরে এটি লালচে বেগুনি হয়ে যায় এবং পেকে যাওয়ার পরে এটি গায়ের রং বেগুনি হয়ে যায়। ফলের গায়ের উপর একটি পাতলা মোমের আবরণ থাকে যা  "ব্লুম" নামে পরিচিত। ফল পাকার পরে মিষ্টি স্বাদে হয়ে থাকে , তবে মাটির বিভিন্নতার করনে স্বাদে ভিন্নতা থাকতে পারে। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ব্লুবেরি ফল দেয় এবং ফল ধরার সময়কাল স্থানীয় অবস্থার উপর নির্ভর করে যেমন উচ্চতা এবং অক্ষাংশ। উত্তর গোলার্ধে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ফলন হয়।


গ্রীষ্মকালীন ডায়েটের জন্য বেরি গ্রীষ্ম আসার সাথে সাথে ঠান্ডা রসালো জিনিসগুলি আমাদের খাবারের অন্তর্ভুক্ত হতে শুরু করে। আম এবং তরমুজের মতো ফল হোক বা স্মুদি আইসক্রিম, সবই শীতলতা দিতে কাজ করে। কিন্তু আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে এই ঋতুতে অবশ্যই এই ৫টি বেরি খান।

গ্রীষ্মের ঋতু আসার সাথে সাথে আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন এড়াতে আমাদের খাদ্যতালিকায় ফল অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আম হোক, তরমুজ হোক বা ব্লুবেরি!

হ্যাঁ, ব্লুবেরি অবশ্যই ব্যয়বহুল, তবে তা সত্ত্বেও এই ফলটি এখন ভারতেও অনেক পছন্দ করা হচ্ছে। আগে এটি শুধুমাত্র বাইরের দেশে পাওয়া যেত। আইসক্রিম, শেক, স্মুদি, কেক, ব্রেড, মাফিন, জ্যাম ইত্যাদি তৈরিতে ব্লুবেরি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে ফল হিসেবে খাওয়া হলে ব্লুবেরি অনেক স্বাস্থ্য উপকার করে। তাদের একটি হালকা মিষ্টি স্বাদ আছে এবং পলিফেনল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি এবং প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ

অন্ত্রের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে হার্ট এবং অগ্ন্যাশয় সবকিছুর জন্য ব্লুবেরির কিছু উপকার রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রীষ্মের মৌসুমে এটি খাওয়ার উপকারিতাগুলো কী কী।


ব্লু বেরি ফলের উপকারিতা।

১/ তারুণ্য ধরে রাখতে নারীদের যেমন প্রচুর আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন তেমনি পুরুষদের প্রয়োজন প্রোটিন এবং ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার। শরীরে বয়সের ছাপ যাতে না পড়তে পারে সেজন্য ব্লু বেরি খাওয়ার জন্য পুরুষদের পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। 

২/ সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি খেলে পুরুষদের বেশ কিছু হরমোন স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে। ফলে ত্বক এবং কোষ অনেক বেশি সুস্থ থাকে। যা মুখের বলীরেখা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ফলে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।


৩/গবেষকদের মতে, ব্লু বেরিতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে একই সাথে টাইপ টুর মতো ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমিয়ে ফেলে। 

৪/  এই ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে শরীরের নানা পুষ্টি ঘাটতি দূর করে। ব্লু বেরি প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের ক্ষয় কে ধীর গতির করে তোলে এবং একই সাথে আন্তঃস্নায়ু যোগাযোগকে অনেক সবল রাখে।


ধন্যবাদ সবাইকে

 (AMIN)

সৌজন্যে---------------------

 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             

বিভিন্ন ঔষধি গাছ।


আরো পড়ুন চিয়া সীডের পুষ্টি গুণাগুণ



Tuesday, February 9, 2021

কেশরাজ গাছের গুণাগুণ।


কেশরাজ গাছের গুণাগুণ।
                  

             কেশরাজ গাছের গুণাগুণ।

 নামে কেশরাজ নামটি উল্লেখ করা হয়েছে। কেশরাজ মানে চুলের রাজা। বিউটি পিপাসুরা যুগে যুগে নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা করতে ব্যস্ত। তাই এই গাছের পাতা, কান্ড, ফুল এবং ফল চুলের যত্নে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটিতে অ্যালকোলয়েড স্টেরল, উডে লোলকটোন, লুটলিন গ্লাইকোসাইড, ট্রাইটারপিন গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটোস্টেরল রয়েছে। এটি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই গাছটি সাধারণত ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং ব্রাজিলে দেখা যায়। এটি সাধারণত জলাশয়ের তীরে বা বনে থাকতে দেখা যাই। এই গাছটি যেখানেই হোক না কেন অযত্নে বৃদ্ধি পায়।

 

                                   আরো পড়ুন চিয়া সীডের পুষ্টি গুণাগুণ

গোল্ম জাতীয় গাছটিন রস বহুল ব্যবহৃত হয়। এটি দেখতে লাতানো। শাখা থেকে শাখা। এগুলির দৈর্ঘ্য ৫০/৬০সেমি পর্যন্ত হয়। এর শাখাগুলি বিপরীত দিক থেকে প্রশাখা হয় শাখার মতো পাতাও বিপরীত দিক থেকে বেরিয়ে আসে। পাতা এবং ফলের রং সবুজ। পাতাগুলি সাধারণত / সেমি লম্বা হয়। শাখার শেষে দুটি থেকে তিনটি ফুল ফোটে। এর ফুলগুলি অনেকগুলি সাদা পরাগে সমন্বয়ে গঠিত। ফলগুলি পাকলেমাটিতে পড়ে এবং নতুন গাছ আবার জন্মায়।

 

 

 

দৈনন্দিন জীবনে কেশরাজ গাছের উপকারিতা:-

 

.এটি চুলের জন্য খুব উপকারী। যখন এর রস এবং তেল মিশ্রিত করে মাথাই ব্যবহার করা হয় তখন এটি মাথার চুল শক্ত এবং শক্তিশালী করে, চুল পড়া বন্ধ করতে খুব কাজের।চুল ঘনও করা এবং কালো করা এবং মাথার উকুনের প্রতিশোধক  হিসাবে কাজ করার জন্য এটি চুলে প্রয়োগ করা হয়।

 

.আপনার মাথা ব্যথা থাকলে নাক এবং মাথাই এই রস দুটি ফোঁটা মালিশ করে আপনি এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

 

. কাটা স্থানে গাছ রস লাগালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় এবং ক্ষতটি দ্রুত শুকিয়ে যেতে সহায়তা করে।

 

.কেশরাজ রস লিভার কিডনির রোগ প্রতিরোধে খুব উপকারী। চুলের ফলিকিতে অ্যামিডোপিরিন, এনডিমিথিলিন গ্লুকোজ - ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং লিভার সিরোসিস, লিভারের প্রদাহ এবং জন্ডিস দূর করতে সহায়তা করে। এটি মূলত লিভারের টনিক উপাদান হিসাবে কাজ করে।

 

.প্রতিদিন এক চা চামচ গাছের রস এবং আধা কাপ পানি মিশ্রিত করে খেলে রক্তের প্রবাহ থেকে সমস্ত ধরণের ক্ষতিকারক পদার্থ সরিয়ে দেয়।

 

.কেশরাজ রস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

 

.আধা কাপ পানিতে নিয়মিত দু চা চামচ রস মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি মূলত রক্তে শর্করার মাত্রা এবং গ্লাইকোসিল্যাটেড হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

.কৃমি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আধা কাপ পানিতে দু চা চামচ রস মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলুন।

 

এই সমস্ত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, এর ব্যবহারে অবশ্যই যত্ন নেওয়া উচিত। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত:

 

.অ্যালার্জির সমস্যা যাদের আছে তারা এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে অ্যালার্জেন রয়েছে।

 

.এটি গর্ভবতী মহিলা এবং নবজাতকের পক্ষে ক্ষতিকারক।

 

.কমোথেরাপির সময় এটি ব্যবহার না করাই ভালো।

 

অবশেষে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং ওভারডোজ থেকে দূরে থাকুন। নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করুন। গাছ গাছড়া থেকে সতর্ক থাকুন।না জেনে বুঝে ব্যবহার করা উচিত নয়।ব্যবহারের আগে ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করা উচিত।

---------------------

Group by  কৃষি পরামর্শ

 

আরো পড়ুন চিয়া সীডের পুষ্টি গুণাগুণ

 

 



Sunday, February 7, 2021

বাড়ির ছাদে হচ্ছে সোনার ফসল আপনি বঞ্চিত কেন।


 


সম্মানিত ঢাকাবাসি বাড়ির মালিক মহোদয়ের উদ্দেশ্যে সোনার ফসল সংগঠনের উদ্দেগে আমাদের এই চিঠি আপনাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আপনার বাড়ির ছাদে হচ্ছে সোনার ফসল আপনি বঞ্চিত কেন ?  


সম্মানিত ঢাকাবাসি, আসসালামু আলাইকুম

------------------------------------------------------------

জনাব/জনাবা,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,বর্তমানে সবজির চরা মূল্য থাকার কারনে সাধারন মানুষ কঠিন সংকটের মধ্যে জীবন-যাপন করছে- ★তাদের নুন আছে তো ভাত আছে,তরকারি নেই রাসূনে। ঢাকা সিটির বাহির থেকে যে পরিমান সবজি ঢাকায় আসে- তাতে ঢাকা সিটির ২ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের সবজির চাহিদা পূরন করা সম্ভব নয়। 

ঢাকার বাহির থেকে সবজি (পরিবহন করতে) আনতে গিয়ে যে পরিমান ভাড়া দিতে হয় এবং মহাসড়কে যে পরিমান অহরহ চাদাবাজি হয় তাতে দেখা যায় যে সবজির মূল মূল্য থেকে দশগুন দাম বেড়ে যায়, যার জন্য চরম মূল্য দিয়ে সবজি কিনতে হয় সাধারন মানুষের - সবজির এই বেগতিক দামের জন্য সাধারন মানুষ তাজা সবজি থেকে বঞ্চিত। সবজির চরম দামে সাধারন গরিব মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভূগছে, আবার অনেকে ঢাকা ছাড়ছে এই আগ্রাসি দামের কারনে। আবার দেখা যায় কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা সবজি তাজা রখার জন্য সবজিতে ফরমালিন ব্যবহার করে। যার প্রভাবে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


অতএব, ঢাকাবাসি বাড়িওয়ালা মহাদয়ের প্রতি আমার আকুল আবেদন এই যে,আপনার প্রত্যেকে যদি আপনার বাড়ির খোলা ছাদে সবজি চাষ করেন তাহলে আমরা সবজির চড়া মূল্য কমিয়ে আনতে সক্ষম হব এবং আপনি আপনার  সবজি বাগান থেকে নিজ হাতে সবজি তুলে নিয়ে রান্না করতে পারবেন - নিঃসন্দেহে ফরমালিনমুক্ত তাজা শাক-সবজি। যা খেয়ে আপনার শারিরীক গঠন আরো সুন্দর হবে। সম্মানিত ঢাকাবাসি, আমি বাস্তবতাকে সামনে রেখে বলছি, সবজির চরম মূল্যের কারনে ঢাকাবাসী খুব কষ্টে আছে। তাদের জীবন-যাপন অস্থির হয়ে পরছে। 

সবজির বেশামাল দামের কারনে সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তিতে ভুগছে। অতএব আপনি আপনার বাড়ির ছাদে নিজের খাবারের জন্য যদি সবজি চাষ করেন। তাতে দেখা যাবে আপনি এবং আপনার এলাকাবাসি, আপনার এই মহত কাজের জন্য উপকৃত হবে। আপনার মধ্যে দেশেপ্রেম লুকিয়ে থাকবে অদৃশ্য হয়ে। আপনি দেশের ভাল কাজের অংশিদারিত্বে একজন। আর ভালো কাজ মানেই দেশপ্রেম অথবা এবাদত। আপনার এই সমাজ সেবার মধ্যে যে দেশপ্রেম লুকিয়ে থাকবে তা হয়তো আপনি দেখবেন না- উহার কাঙ্খিত ফল উপভোগ করবে সাধারন মানুষ। আর আপনি তখন পাবেন সাধারন মানুষের ভালবাসা এবং তাদের অন্তর থেকে পাবেন দোয়া। আর এই যে দেখুন আপনার অন্নের মধ্যেই (খাবারের মধ্যে) রয়েছে অন্য মানুষের অন্ন (খাবার)। আপনার বাড়ির ছাদে রয়েছে সোনার ফসল।তার মধ্যে রয়েছে সাধারন খেটে খাওয় মানুষের কর্মসংস্থান। 


আপনার ছাদ বাগানের মধ্যেই রয়েছে বেকার সমস্যার সমাধান। হয়তো সম্পূন্য বেকার সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। তবুও কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা সমাধান হবে। আপনার বাগানের সবজি আপনি নিজে খাবারের জন্য চাষ করবেন। এজন্য আপনি ভালো থাকবেন এবং আপনার পরিবার পরিজন ভাল থাকবে। আপনার থাকবেনা বাজার করার টেনশন, আপনার ড্রাইবার অথবা কাজের লোক দ্বারা যে সব সবজি ক্রয় করাবেন (কিনাবেন) সে সব সবজি হয়তো আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। সময়মত বাজারে না গেলে পুরাতন বাসি পচা ফরমালিন মেশানো সবজি কিনতে আপনি বাধ্য হন। তাই আসুন আমরা নিজ হাতে সবজি তুলে নিয়ে রান্না করি। 

আমরা নিজেকে নিজে ভালোবাসতে পারিনা আমি আমাকে ভালবাসতে শিখিনি অন্যকে ভালবাসব কি করে। রুদ্র মুহাম্মাদ শহিদুল্লার একটি উক্তি না বললেই চলে না। তিনি বলেছেনঃ- যখন আমি আমাকে ভালবাসতে শিখব, তখন আমি আমার পরিবারকে ভালবাসতে শিখব। যখন আমি আমার পরিবারকে ভালবাসতে শিখব, তখন আমি আমার গ্রামকে ভালবাসতে শিখব, যখন আমি আমার গ্রামকে ভালবাসতে শিখব,তখন আমি আমার দেশকে ভালোবাসতে শিখব,যখন আমি আমার দেশকে ভালোবাসতে শিখব, তখন প্রত্যেক প্রত্যেককে ভালবাসতে শিখব। 


কবি বলেছেনঃ সবার সুখে হাসবো আমি কাঁদব সবার দুঃখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিব অনাহারীর মুখে।  কবির কথা রেখেই দিলাম আপাতত' নিজের কথাই বলি এখন। সবার সুখের কথা ভাবতে হবেনা। নিজের কথাই একটু ভাবুন। তখন দেখা যাবে, অন্যেরা এমনেতেই আপনার সুখে সুখি হবে। তাই আসুন আমরা নিজ বাড়ির ছাদে ফসল ফলিয়ে অন্যের সুখের ভাগিদার হই, এই আমাদের কাম্য। 

আমাদের সোনার ফসল সংগঠনের, আপনাদের পাশে আছি এবং আপনাদের পাশেই থাকবো। আপনাদের যে কোন কাজে,  যে কোন পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি উদ্যেগ নিন আমরা প্রস্তত।


                       যোগাযোগের ঠিকানাঃ 

                     ক-৬৪/১, নদ্দা,গুলমান-২, 

                  মোবাইলেঃ ০১৯৪১৮৪১১০৯,

              সংগঠন প্রধানঃ মোঃ শামীম রেজা

            ফেসবুক লিংক





Saturday, February 6, 2021

পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ ।


পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ ।
                                       

                                    

পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ ।



রোগের কারণঃ


অলটারনারিয়া পোরি (Aternaria Porri) ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাওসাম (Stemphylium botryosum) নামক ছত্রাক। রোগের বিস্তারঃ আক্রান্ত বীজ, বায়ু ও গাছের পরিত্যক্ত অংশের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। অতিরিক্ত শিশির, আর্দ্র আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্পোর বায়ুর মাধ্যমে এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।


পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি অর্থকরী মসলা ফসল অতি গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য। প্রতিদিনের রান্নর  কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি। ছাড়াও পেঁয়াজে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। দেশের চাহিদার তুলনায় ফসলের উৎপাদন নিতান্তই কম। উৎপাদন কম হওয়ার জন্য রোগবালাই একটি প্রধান কারণ। পেঁয়াজে পার্পল  কাণ্ড পচা রোগ দেখা যায়। এই রোগসমূহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তাই পেঁয়াজের কয়েকটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ, কারণ প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।


আজকে আপনাদের সথে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি আপনারা দেখে বুঝে গেছেন যে-পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ বর্তমান সমায়ের একটা বড় সমস্যা আমাদের চাহিদা পূর্ণ একটি বীজ হলো পিয়াজ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কৃষি উপকরণ আমাদের দেশের পেয়াজের সংকট দূর করতে হলে অবশ্যই পেয়াজের বীজের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।

 

এ জন্য আমাদেরকে পেয়াজের বীজ উৎপাদন বাড়াতে হবে।  আজ আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়েছি পিয়াজের পাতা পোড়া রোগের প্রতিকার নিয়ে ।আজকে পেয়াজের প্রধান সমস্যা পাতা পোড়া  আজকের আলোচনা করবো- পেয়াজ চাষ বা বীজ করতে গেলে প্রথমে আপনার যে সমস্যাটা সৃষ্টি হয়ে থাকে তা হলো পেয়াজ গাছের পাতা পোড়া রোগ। সংক্রমণের পাশাপাশি যেটা হয় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে কালো বা লাল /হলুদ ধরনের দাগ পড়ে এটা যদি আমরা কন্ট্রোল না করতে পারি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গাছ নষ্ট হয়ে যায় এবং পেয়াজের ব্যাপকভাবে উৎপাদন কমে যায়।

আপনার দেখেন যে  গাছের ডগায় কালো বা হলুদ হয়ে যায় এটা একটা অন্যতম সমস্যা।পেয়াজের গাছ যখনছোট থাকে তখন পাতায় আক্রমণ করে। এই পাতা পোড়া রোগ দেখা মাত্রই আমাদেরকে দমন বা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে আর দমন করতে গেলে আমাদের যে কাজটি করতে হবে।


পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ রোগ


রোগের কারণঃ
অলটারনারিয়া পোরি (Aternaria Porri) ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাওসাম (Stemphylium botryosum) নামক ছত্রাক।

রোগের বিস্তারঃ
আক্রান্ত বীজ, বায়ু ও গাছের পরিত্যক্ত অংশের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। অতিরিক্ত শিশির, আর্দ্র আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্পোর বায়ুর মাধ্যমে এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।
রোগের লক্ষণঃ
১। প্রথমে পাতা ও বীজবাহী কান্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী বা হলুদ রং এর দাগের সৃষ্টি হয়।
২। দাগগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয়।
৩। দাগের মধ্যবর্তী অংশ প্রথমে লালচে বাদামী ও পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।
৪। আক্রান্ত পাতা উপরের দিক হতে ক্রমান্বয়ে মরে যেতে থাকে। ব্যাপকভাবে আক্রান্ত পাতা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে হলদে হয়ে মরে যায়।
৫। বীজবাহী কান্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।
৬। এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।
৭। রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।
রোগের প্রতিকারঃ
২. রোগ সহনশীল প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে।
১. সুস্থ, নীরোগ বীজ ও চারা ব্যবহার করতে হবে।
৩। আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।



রোগের লক্ষণ

১.প্রথমে পাতা বীজ বাহী কাণ্ডে  ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী বা হলুদ রঙের দাগ সৃষ্টি হয়।

২. দাগ গুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয়।

৩.  দাগের মধ্যবর্তী অংশ প্রথমে লালচে বাদামী পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।

৪. আক্রন্ত পাতা ও উপরের দিক হতে পাতা মরে যেতে থাকে। ব্যাপক ভাবে আক্রন্ত  পাতা - সপ্তাহের মধ্যে হলদে হয়ে মরে যায়।

৫. বীজবাহী কাণ্ডের গোড়ায় আক্রন্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।

৬.এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয়  এবং ফলন হ্রাস পায়।

৭। রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।

 


প্রতিকার

১. সুস্থ, নীরোগ বীজ চারা ব্যবহার করতে হবে।

২. আক্রন্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

৩. রোভরাল বা প্রোভেক্স-২০০ নামক ছত্রাক নাশক প্রতি কেজি বীজের সাথে . গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।

৪.রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানির সাথে গ্রাম রোভরাল/ গ্রাম রিডোমিল গোল্ড/ গ্রাম মেনকোজেব মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর - বার গাছে স্প্রে করতে হবে। বীজ পেঁয়াজের ক্ষেতে একই ছত্রাক নাশক একই পরিমাণে ১০-১২ দিন পর পর - বার স্প্রে করতে হবে। 



অথবা


যেকোনো রোভরাল /ইপ্রিডিয়ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম এবং 

 একইসাথে এ্যাজোক্সিট্ৰবিন+ডাইফেকোনাজল গ্রুপের তরল ছত্রাক নাশক মিলি হারে একসাথে মিশিয়ে ডাটাসহ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। 


সকলকে ধন্যবাদ।

সৌজন্যে---------------------


ভিডিও দেওয়া হলো দেখতে ক্লিক করিুন।


                                           

                                  পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ ।


ভিডিও দেওয়া হলো দেখতে ক্লিক করিুন।



Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...