Friday, May 28, 2021

ছাদকৃষি টিপস

 ছাদকৃষি।


টিপস।


এক। মাটির সাথে অবশ্যই কিছু কোকোপিট মিশাবেন।গাছের গোড়া শ্যাত শ্যাতে হতে দিবেন না।

দুই। গাছের জন্য বিরিয়ানি হলো শরিষার খইল পচা পানি। সাত দিন বা পনের দিনে একবার দিন।

তিন।মাটি রেডি করার সময় কিছুটা বায়োডামা সলিট দিবেন।


চার। যাই লাগান। ভালো জাতের বীজ কিনা সিওর হয়ে নিবেন। নতুবা সব পরিশ্রম বেলা শেষে জলে যাবে।

পাচ। গাছ পাতলা করে লাগাবেন। একটি ফলের ক্রেটে মাত্র দুটি গাছ। ক্রেটে পানি নিষ্কাসন এর ব্যবস্থা রাখবেন।

ছয়।ফলের ক্রেটের চারপাশে লাঠি বেধে সহজে মাচা দেয়া যায়।


সাত। প্রতি সাত দিনে একবার সব গাছের পাতায় নিম কীটনাশক স্প্রে করবেন।

আট। ডাটা,পুইশাক, লালশাক,ধনেপাতা এসব লাগাবেন। ২৫ দিনে খেতে পারবেন। লালশাক লাগালে নেট দিবেন। ছবি দেখুন। শাকপাতা লাগালে দ্রত আউটপুট পাবেন। যা আপনাকে প্রেরনা দিবে। পুইশাক গাছের পাতায় দাগ হলে পাতা কেটে দিন।অথবা ছত্রাক নাশক স্প্রে করেন।অথবা গাছ উঠিয়ে আবার লাগান।


নয়। ফুল আসার পরে প্রানোফিক্স অথবা মিরাকুরান গাছের পাতায় শেষ বিকালে স্পে করবেন। বাসায় দুইটি গ্রুপের ছত্রাক নাশক রাখবেন। ১৫ দিনে একবার স্প্রে করবেন।  এগরোমিন্ড গোল্ড অনুখাদ্য বা অন্য কোন অনুখাদ্য বাসায় রাখবেন। মাঝে মাঝে স্প্রে করে দিবেন।


দশ। পানি বেশি বা কম দিবেন না। যতটুকু লাগে ঠিক ততটুকু দিবেন। 

এগার। গাছের পাতার নিচে খেয়াল করবেন।বেগুন গাছের পোকা মারার জন্য সেক্স ফোরেমান ফাদ লাগাবেন।


বার। রসুন আর লবঙ্গ বেটে সে পানি স্প্রে করুন।

তের। গাছের নিচের দিকের বুড়ো হলুদ পাতা ফেলে দিবেন। মরিচ গাছে দশ দিন পর পর ডায়মেথট গ্রুপের কীটনাশক দিবেন। 


তের। প্রতিদিন নিয়ম করে গাছ কে কিছুটা সময় দিবেন। কোন গাছে কেন সফল হচ্ছেন না সেটা নিজেই খুজে বের করুন।


প্রচুর ইউটিউব ভিডিও দেখুন। বিশেষ করে রাজ গাডেনস,ফারমিং এডভাইজার অনাথ হালদার এর ভিডিওগুলো। এরা খুব সহজ ভাষায় প্রাকটিক্যাল কাজ করে দেখান।


ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা।


শফিক,মিরপুর ১২,ঢাকা

শসা ও তরমুজ চাষ অসময়ে

 শসা,তরমুজ চাষ অসময়ে ? 

তরমুজ



শসা চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে ফেব্রুয়ারি - মার্চ। শীতের পর পরই কৃষকরা জমি প্রস্তুত করতে থাকে, বিশেষ করে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তারা দেশি শসা, করলা, তরমুজ ইত্যাদি বানিজ্যিক চাষ শুরু করে। এসময়ে ভালো দামও পাওয়া যায়। যেমন বর্তমান বাজারে শসা ৬০ টাকা কেজি। আবার কপাল মন্দ থাকলে ঠিক উল্টোটা হয়। তবে অসময়ে যেকোনো সবজির দাম থাকে আকাশ ছোয়া, যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগে না পরে। অসময়ে এক কেজি শসার দাম থাকে ৯০-১০০ টাকা, তরমুজ ৮০ -১২০ টাকা। আরো বেশিও থাকে। 


জাত-  অসময়ে চাষ করার ক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল বারোমাসি বীজ প্রয়োজন। 

জমি - চাষের জমিতে যেন বৃষ্টির পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

এবং মাচা তৈরি করতে হবে। 


দেশি নাকি থাই বীজ? 


আমাদের দেশীয় বারোমাসি বীজগুলোর চেয়ে থাই বীজে তুলনামূলক ভালো জার্মিনেশন হয় এবং ভালো ফলনও হয়। 

যেমন এ বছর রমজানকে কেন্দ্র করে আমার কাকা দেশি শসা চাষ করে,ফলন মাশাআল্লাহ মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে জার্মিনেশন ছিলো খুবই খারাপ৷ চারা হওয়ার পরও নষ্ট হয়েছে।

অন্যদিকে আমার থাই বীজ ক্রেতার ৯৮% জার্মিনেশন হয়েছে৷ চারাও মাশাআল্লাহ সুস্থ। 

   তাই আমি সাজেস্ট করবো দাম একটু বেশি হলেও ভালো বীজ ক্রয় করুন। 


লেখক-ইউছুপ আহমাদ 

কৃষি পরামর্শ গ্রুপ




Friday, May 21, 2021

সজিনা গাছে প্রুনিং

 সজিনা গাছে প্রুনিং করলে ফলন ৩ গুন বেশি হয়। 

সজিনা গাছে প্রুনিং।


(ইন্ডিয়ান বারোমাসি সজিনা বীজ লাগলে নিতে পারেন) জাতঃ ODC3 Indian 


প্রুনিং না করলে সজিনা গাছের ডালপালা অনেক কম হয়।  


কিভাবে প্রুনিং করবেন? 


১. বারোমাসি সজিনা গাছের বয়স যখন ৩ মাস হবে তখন সজিনা গাছের আগা কেটে দিন, এতে গাছ উপরের দিকে বৃদ্ধি হতে না পেরে ৩-৪ টি ডাল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। 


২. ২ মাস পর আবার সেই ডালগুলোর আগা কেটে দিন, এতে গাছে অনেক ডালপালা হবে।  


ভালো ফলাফলের জন্য আবার তৃতীয় ধাপে ডালের আাগা কেটে দিতে পারেন।  এবং এভাবে যদি কোনো ডাল অতিরিক্ত লম্বা হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ডালের আগা কেটে দিতে পারেন।  


প্রুনিং এর সুবিধা বা উদ্দেশ্য  (Objectives of Pruning)

১. প্রুনিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল গাছের অঙ্গজ বৃদ্ধি ও ফল ধারণের মধ্যে সাম্যতা আনয়ন করা।

২. ফল উৎপাদন শাখা প্রশাখা (fruiting branches) সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

৩. গাছের উৎপাদন ক্ষমতা এবং ফলের গুণগত মান বৃদ্ধি করা।

৪. অনুৎপাদনশীল গাছে ফল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন ডালপালা গজানো (Rejuvenzation)।

৫. গাছের কোন ক্ষতস্থানে সারানো।

৬. পরবর্তী বছরগুলোতে ফুল-কুঁড়ির বিকাশ বৃদ্ধির নিশ্চয়তা প্রদান করা।

৭. বেশি সংখ্যক ফল ধারণের নিশ্চয়তা প্রদান করা।

ঢ়) ফলের গুণগত মান এবং বর্ণের আকার উন্নত করা।


 ধন্যবাদ link


কৃষি পরামর্শ 



Sunday, May 2, 2021

মাছের চাষে পুকুরের তাপমাত্রা নিয়োন্ত্রন

 ইদানীং বেশ গরম পড়ায় পুকুরের পানির তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষী। তাই, এ অবস্থান থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।


পুকুরের পানির তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কি করণীয়ঃ

১. কচুরিপানা বা টোপাপানা ব্যবহার ঃ

 কচুরিপানা বা টোপাপানা জীবানুমুক্ত করে পুকুরে ৫-১০% জায়গা জুড়ে বাঁশ দিয়ে বেঁধে বা বেষ্টনীর করে দিলে গরমের সময় মাছ আশ্রয় স্থল হিসেবে ব্যবহার করবে। কচুরীপানা পুকুরের মাঝখানে বা কিনারে সাপোর্ট দিয়ে সীমানা নির্দিষ্ট করে রাখতে পারেন ।


২.কৃত্রিমভাবে ছায়া বা সেড তৈরী করে তাপের স্তরীয় বিন্যাস প্রতিরোধ করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

৩.পুকুরের গভীরতা পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়িয়ে অথবা  কম গভীর পুকুরে পানি প্রবেশ করার  মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


 (পানি প্রবেশ/সরবরাহ  করা যেতে পারে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে বা নদী নালা খাল বা অন্য কোন পুকুর থেকে )। 

(বলে রাখা ভালো ঃ অগভীর পুকুরের পানির তাপমাত্রা খুব সহজেই বৃদ্ধি পায় এবং এতে পানির অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা কমে যায় )। 


৪. এ সময় মাছের খাবার অর্ধেক কমিয়ে আনলে ভাল হবে।


মাছের খাবারের সাথে ভিটামিন সি  মিশিয়ে মাছকে খাওয়াতে হবে।


৫.  রোদের সময় হররা বা চেইন ড্রাগিং করে পুকুরের তলার গ্যাস বের করে দিতে হবে।


৬.  ভোরে / খুব সকালে  অথবা সন্ধ্যায় /রাতের সময় চুন ও লবন পরিমাণ মতো (শতকে ১০০-২০০ গ্রাম) প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৭. অতিরিক্ত তাপমাত্রায় অক্সিজেন প্লোবলেম হলে পানি সরবরাহ বা রিভার্স সিস্টেম, অস্থায়ী ভাবে  অক্সিজেন ট্যাবলেট বা স্থায়ী সমাধান হিসেবে এয়ারেটর ব্যবহার করতে হবে। 


Mahtabuz Zaman Rafsun 

FDI,Chandpur (6th batch)

IIAST,Rangpur (4 th batch) 

Studying : Fisheries Department

Saturday, May 1, 2021

ব্রয়লার মুরগী চাষে করোনীয়

 ব্রয়লার মুরগি এমন একটা আবিষ্কার,  আসলেই যার পরিপূরক, সমতুল্য বা বিকল্প কোন জাত আবিষ্কার হয় নাই। এর প্রসারের সাথে সাথেই গরিবের পক্ষে যখন তখন মাংস কেনা সম্ভব হচ্ছে, যদিও অনেকেই ব্রয়লার মাংস পছন্দ করে না, তবে এটা সম্ভব হয়েছে শুধু ব্য়লারের কল্যাণেই। ব্রয়লার যথেষ্ট সুস্বাদুও, কিন্তুু আমাদের অনেকেই নাক ছিটকায়। এর কারণ, এর বেশি সহজলভ্যতা।

বড়লোকের মাঝে একটা সাধারণ  tendency বা ঝোক আছে, তাহল যদিও কোন পণ্য গুণে মানে একই হয়,  কিন্তুু যদি জিনিসটার দাম অন্য জিনিসের তুলনায় কম হয়, তাহলে তারা কিনবে না। তাদের আসলে গুণের দরকার নেই, তাদের দরকার পণ্যটির দাম।  যে পণ্যের দাম বেশি এবং ব্র্যাণ্ড আছে তারা সেটাই কিনবে। আর এজন্য কোম্পানিগুলো কোন জিনিসের দাম কম নির্ধারণ করতে চায় না। ওদের কারণেই সোয়াবিন আর লবণের দাম বেশি। যেমন কোন কোম্পানি যদি অন্য কোম্পানির চেয়ে লবণ বা তেলের দাম কেজিতে ১০ টাকা নির্ধারণ করে,  তারা বেশি দামেরটাই কিনবে। কমদামীটা কিনবে না। তদ্রুপ, খামারিদের মাঝেও একটা কমন প্রবণতা আছে,  তাহল যে ফিডের দাম ২০০০ এর নিচে,  তারা মনে করে এই ফিড ভাল না। এটা খাওয়ালে মুরগি বাড়বে না। কোম্পানি গুলো তাদেরকে এমন এক টোটকা দিয়ে দিয়েছে যে তারা নারিশ আর এসিআই এর ফিডই কিনবে। তেমনি যখন বাচ্চা কিনবে,  তারা খুজবে কাজী, নারিশ অমুক তমুক। কিন্তুু একটা জিনিস বুঝে আসে না, নারিশ কাজী যে মেশিনে বাচ্চা ফোটাই, একই মেশিন দিয়ে অন্যান্য কোম্পানিও বাচ্চা ফোটায়।  তাহলে সমস্যাটা কোথায়?? আবার কোন বৃহৎ কোম্পানি যখন খাবার বানায়,  সকল উপাদান এবং রিমিক্স বা মাল্টিভিটামিনগুলো সমানভাবেই দেওয়ার চেষ্টা করে। কারণ ঔ খাবারটা আপনি আর আমি বানাচ্ছি না। বানাচ্ছে কো ভেটেনারি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শেই। আর খাদ্য এবং ব্রয়লার বাচ্চার দাম খামারিদের এই প্রবণতার কারণেই বাড়ছে। কারন কোন নতুন কোম্পানি যদি খাদ্যের দাম ২০০০ এর নিচে নির্ধারণ করে আপনারাই বলবেন খাদ্যের মান ভালো না।

এই ব্যাপারটা সবকিছুর ক্ষেত্রেই।  যে সয়াবিন তেল এখনও হয়ত ৮০ টাকায় পাওয়া যায়, সেখানে আপনি আমি মানের দোহাই দিয়ে ১৩০-৪০ টাকারটা কিনছি। একই তেল যখন খোলা থাকে তখন দাম ৮০ টাকা, গায়ে যখন সে ব্র্যান্ডের পোশাক পড়ে তার দাম বেড়ে হয়ে যায় ১২০-৩০ টাকা।

সবসময় এত স্বাস্থ্য সচেতন হলে চলে না। একটু কম দামেরটা খান। যতই চাপাচাপি আর লাফালাফি করি ৬০-৭০ এর ওপর তো এ যুগে কেউ টিকবে না। তো এত ভাল খেয়ে কি হবে?? এসব করে তো আমরা তীর, ACI, প্রাণ এগুলোর মান বাড়িয়ে দিয়েছি। নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিন। ব্র্যান্ড ছাড়ুন। ২০ টাকা কেজি লবণ, আর খোলা সোয়াবিন খান। বসুন্ধরায় মার্কেট না করে,  লোকাল বাজারে করেন।


 অনেকদিন ধরেই আমার একটা কৌতুহল,  অন্য বাচ্চা যেমন ফাওমি,  সোনালির দাম যেখানে ২০-৩০ এর মধ্যে থাকে, সেখানে ব্রয়লার এর দাম ৫০-৬০ টাকা কি করে হয়?? মানলাম ব্য়লার মুরগি ডিম কম দেয়,  খাবার বেশি খায়, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি। তাই বলে একটা বাচ্চার দাম ৫০-৬০ টাকা কিভাবে হয়, কেউ ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করবেন। 

আমাদের খামারিদের অতিলোভের কারণেই, রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন থেকেই মনে হয় বাচ্চার দাম এত বেশি। না জেনে না বুঝে না শিখে ঋণ করে কেউ ব্রয়লারের নাম মুখেও আনবেন না। রাতারাতি বড়লোক হওয়া যায় না। ২০০০, ৩০০০, ৫০০০ পালার দরকার নাই।  নিজের টাকায় ৫০০-১০০০  দিয়ে শুরু করেন। যত লাভ তত ক্ষতি। তবে বেশি বাচ্চা পালনের সুবিধাও আছে,  তবে সবার জন্য না। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। আপাতত ১০০০ এর ওপর কেউ বাচ্চা পালবেন না। দেখবেন বাচ্চার দাম কমবে। চাহিদা কম থাকলে জিনিসের দামও কমে।

Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...