Monday, July 26, 2021

গরুর টিকা দেওয়ার সমায় সূচি

 গরুকে টিকা দেওয়ার সময়সূচি আমরা অনেকেই জানি না। গরুকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য সঠিক সময়ে গরুর রোগ প্রতিরোধ করা অতীব জরুরী। সময়মতো গরুকে টিকা দিতে না পারলে গরু পালনে লোকসান হতে পারে। চলুন জেনে নেই গরুর টিকা দেওয়ার সময়সূচি সম্পর্কে-

গরুর টিকা দেওয়া



গরুর টিকা দেওয়ার সময়সূচিঃ

রোগের নামঃ ক্ষুরা রোগ


টিকার নামঃ লিভ্যালেন্ট এফ.এম.ডি.টিকা

xx

প্রয়োগের পরিমাণঃ ৬ এম.এল প্রতি প্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণী; ৩ মি.লি./প্রতি অপ্রাপ্ত বয়স্ক; প্রথমবার টিকা দেয়ার ২-৪ সপ্তাহ পরে বোস্টার টিকা প্রদান


প্রয়োগের স্থানঃ চামড়ার নীচে


প্রয়োগের সময়ঃ বোস্টার টিকা দেয়ার পর ৪ মাস পর্যন্ত


রোগের নামঃ গলাফুলা

xxxxxx

টিকার নামঃ এইচ.এস টিকা


প্রয়োগের পরিমাণঃ ৫ মি.লি./প্রাপ্ত বয়স্ক; ২.৫ মি.লি/অপ্রাপ্ত বয়স্ক


প্রয়োগের স্থানঃ চামড়ার নীচে


প্রয়োগের সময়ঃ ৪ মাস


রোগের নামঃ বাদলা


টিকার নামঃ বি. কিউ টিকা


প্রয়োগের পরিমাণঃ ৫মি.লি./প্রাপ্ত বয়স্ক;২.৫ মি.লি./অপ্রাপ্ত বয়স্ক


প্রয়োগের স্থানঃ চামড়ার নীচে


প্রয়োগের সময়ঃ ৪ মাস

রোগের নামঃ তড়কা


টিকার নামঃ তড়কা স্পোর টিকা


প্রয়োগের পরিমানঃ ১ মি.লি./প্রাপ্ত বয়স্ক; ০.৫ মি.লি./অপ্রাপ্ত বয়স্ক


প্রয়োগের স্থানঃ চামড়ার নীচে


প্রয়োগের সময়ঃ ১ বৎসর

ব্লাক বেঙ্গল ছাগল

 আজকে লেখব বাংলার সোনা

দেশের সম্পদ: ব্লাক বেঙ্গল।



আমাদের দেশে কি সম্পদ আছে তা আমরা নিজেরাই জানি না। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল হল বিশ্বের ১ নাম্বার ছাগল। এটা আমি বলছি না, জাতিসংঘের অাণবিক শক্তি বিষয়ক সংস্থা(আইএইএ) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা(এফএও) এই ২ সংস্থা বিশ্বের ১০০ টি জাতের উপর রিসার্চ করে ২০০৭ সালে তারা বলে বিশ্বের সেরা ছাগলের জাত ব্লাক বেঙ্গল।এছাড়াও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বড় বড় দেশের প্রাণিবিদ্যাবিষয়ক জার্নাল গুলোতে ১০০ এর বেশি প্রতিবেদনে এটাই বলা আছে এটা সব থেকে বেস্ট ছাগল।


এফএও এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে  ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের থেকে যমুনাপাড়ি, মাসাই বা উন্নত ছাগলের দুধ ও মাংস উৎপাদন ৪০-৬০% বেশি। কিন্তু এদের বাচ্চা দেবার হার কম ও মৃত্যু হার ২০-৩৫ % বেশি জন্মের পরেই মারা জাই।সেখানে ব্লাক বেঙ্গল ৫-১০% মারা যায়।ব্লাক বেঙ্গল এর বংশ বৃদ্ধির হার অনেক বেশি,বাজার জাত করা যায় তাড়াতারি,অসুখ খুব কম, পরিবেশ মানান সই,যে কোন পরিবেশে,যেকোন খাদ্যা এরা বেরে উটে।শুধু একটা সমস্য এদের দুধ কম হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত যন্ত নিলে এটার সমস্য থাকেনা।প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ছাগল ২৫-৩০ কেজি আর পাটি২০-২৫ কেজি হয়।

  যেখানে গোটা পৃথিবী ১ নাম্বারে রেখেছে আমাদের ব্লাক বেঙ্গল সেখানে আমরা আমাদের সম্পদ বাদ দিয়ে অন্য জাত নিয়ে মেতে আছি। আমরা কী পাগল নাকি আমার মাথায় আসে না।বিশ্বের ১ নাম্বার জাত ব্লাক বেঙ্গল। আর আমরা কোন জাত নিয়ে পড়ে আছি ভাবেন। এমনি আমরা লস কাচ্ছি না কারনটা দেখেন। আমি বলব না উন্নত জাত খারার। আপনে আপনার কমন সেন্স কে কাজে লাগান সবাই যেটা পরিক্ষা নিরীক্ষা করে বের করছে ১ নম্বর কে সেখানে আমরা ১ নাম্বার নেয়ার বা পালার বদরে কোনটা পালতেছি ভাবছেন।

আপনাদের কাছে অনুরোধ দেশের সম্পদ কে নষ্ট করবেন না উন্নত জাতের সাথে ক্রস করিয়ে।

যেটাই করেন সব জেনে বুজে কইরেন।

এই জাতকে রক্ষা বা সংরক্ষক কেতে হবে।

ধন্যবাদ

Fb link





Friday, July 16, 2021

জীবন ব্যবহারের উপকারীতা

 জীবন ব্যবহারের উপকারীতাঃ

“জীবন” গাছের জৈব উজ্জীবক হিসেবে কাজ করে


গাছের মেটাবলিজমে অংশগ্রহন করে গাছের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

কোষ বিভাজনের মাত্রা বাড়িয়ে গাছের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।

মাটির কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে মাটির গুনাগুণ বৃদ্ধি করে।

“জীবন” বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি করে এবং ফসলের ফলের রং উন্নত করে।

মাটির ক্যাটায়ন এক্সচেঞ্জ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে মাটি থেকে গাছ সহজেই পুষ্টি উত্তোলন করতে পারে।

মাটির জৈব পদার্থের মান বৃদ্ধি করে।

বেলে মাটির পানি ও পুষ্টির অপচয় রোধ করে এবং ভূমিক্ষয় রোধ করে।


জীবন ব্যবহারের ক্ষেত্রঃ

বীজ, শিকড় ও চারা শোধন করা যায়

 পাতায় স্প্রে করা যায়

 মাটিতে প্রয়োগ করা যায়

সেচের সাথে ব্যবহার করা যায়

কীটনাশক ও আগাছানাশকের সাথে ব্যবহার করা যায়

অজৈব সারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

প্যাক সাইজঃ ৫০০ গ্রাম 


“জীবন” এর উপাদানের মধ্যে আছে হিউমিক এসিড ও সী উইড এক্সট্রাকট বা সামুদ্রিক শৈবাল এর সংমিশ্রন। এই সংমিশ্রনের একটি দিক হল এদের “সিনারজিস্টিক ইফেক্ট” আছে। যার মানে হল হিউমিক এসিড এবং সী উইড এক্সট্রাকট বা সামুদ্রিক শৈবাল এর সংমিশ্রন গাছের বৃদ্ধিতে যত কার্যকরভাবে কাজ করবে তা এককভাবে এদের ব্যবহারের থেকে অনেকগুন বেশি। যদি একজন কৃষক এমন সার অথবা কোন উদ্ভিদ এর পুষ্টি বৃদ্ধিকারক ব্যবহার করে যার মাঝে কেবল হিউমিক এসিড অথবা কেবল  সামুদ্রিক শৈবাল বিদ্যমান তাহলে উদ্ভিদের যে বৃদ্ধি অথবা পুষ্টি চাহিদা মিটবে তার থেকে অনেকবেশি বৃদ্ধি অথবা পুষ্টি চাহিদা মেটাবে এই "জীবন" ব্যবহারে। "জীবন ব্যবহারের ফলে উদ্ভিদের মূলের পার্শ্বীয় বিকাশ ও মূলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে যার ফলে গাছ খুব সহজেই মাটি থেকে পানিসহ দরকারী যেকোন পুষ্টি উপাদান গ্রন করতে পারবে। যার ফলে গাছের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত হওয়া যায়।


যেসব গাছে “জীবন” ব্যবহার করা হবে সেসব গাছে ৫০ শতাংশ বেশি SOD উৎপাদন হবে। SOD ( superoxide dismutase) হল  উদ্ভিদের বৃদ্ধিকারক এনজাইম এবং সুরক্ষা প্রদানকারী উপাদান। ৫০ শতাংশ বেশি SOD উৎপাদন হওয়াতে উদ্ভিদের কোষ সবুজ ও সতেজ থাকে। ফলে গাছের ক্লোরোফিলের পরিমান বেশি থাকে এবং ফসল উৎপাদন বেশি হয়।


প্রয়োগমাত্রাঃ প্রতি বিঘাতে  ৫০০ গ্রাম।

Shahad fb link

ধন্যবাদ 


Monday, July 12, 2021

আঙ্গুর গাছের চারার জন্য মাটি তৈরি

 ছাদের টবের জন্য আঙ্গুর গাছের জন্য মাটি তৈরী করার রেসিপি। 



আঙ্গুর গাছের চারার জন্য মাটি তৈরি।



অনেকেই জিজ্ঞেস করেন আঙ্গুর গাছের জন্য কিভাবে মাটি তৈরী করতে হয়। 

যারা জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই রেসিপি।

পঁচা গোবর ও বালু মিস্রিত মাটি সম পরিমাণে দিবেন।

ইটের গুড়ো ১০% দিবেন।


মিশ্র রসায়নিক সার ৫০০ গ্রাম সাথে ১ মুষ্টি সরিষার খৈল ও ১ মুষ্টি হাড়ের গুড়ো দিবেন।

পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে চারা রক্ষা করতে ফুরাডান পাওডার অথবা নীম খৈল ১ মুষ্টি দিবেন। 

১ মাস পরে চারা লাগাবেন।

এই বর্ষা মৌসুমে গুড়া পঁচা,কান্ড পঁচা রোগ এর আক্রমন রুখতে গাছ লাগানোর পরপরই ছত্রাকনাশক হিসেবে


এক লিটার পানির সাথে ম্যানসার হাফ চা চামচ মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিতে হবে।...........

ধন্যবাদ সবাইকে

Wednesday, July 7, 2021

জাব পোকার আক্রমন

 জাব পোকাঃ





বিভিন্ন গাছে আমরা জাব পোকা দেখে থাকি।এটি দেখতে বাদামী বা সাদা হয়ে থাকে, খুবই ছোট আকৃতির, এ পোকা বিশাল ক্ষতি করে থাকে, সময় মত বা সব সময় খেয়াল না করলে আপনার পুরো ক্ষেতটাকে নষ্ট করে দিতে পারে, এই পোকা গাছের পাতার নিচে সাদারনত থাকে এবং দলবদ্ধ ভাবে থাকতে দেখা যায়, এটা গাছের রস চুষে খেয়ে নেয় কচি পাতা এবং কান্ড খেয়ে ফেলে, যাতে করে গাছ হলুদ আকৃতির হয়ে যায় পাতা হলুদ হয়ে যায়, ধীরে ধীরে সব গাছেই আক্রমন করে, এবং পুরো ক্ষেত নস্ট করতে সক্ষম,

এর থেকে আমাদের কস্টের ফসলকে বাচাতে হলে আমার ক্ষুদ্র পরিসরে নিজ অভিঞ্জতা থেকে কিছু লেখার চেষ্টা করছি, আমার ভুল হতে পারে, মানুষ মাএই ভুল, ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন আমিও শিখতে পারবো জানতে পারবো, আমার মত আরো ১০ জন জানতে পারবে শিখতে পারবে, নিজের কৃষিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবে।

আমার বাড়িতে প্রচুর বেগুনের চাষ করা হয়,  নানান সমস্যার সহ্মুখিত হতে হয়, এমোন হয়েছে মোনের সব গাছ কেটে ফেলবো আর কোন দিন বেগুনের চাষ করবো না,  সেখান থেকে নিজেকে বুঝিয়ে একটু একটু করে, পরিক্ষ্যা শুরু করি,

সর্বপ্রথম আমি নিম পাতা বেটে সেই পা সেকে স্পে করি এছাড়া নিমের ফল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি স্পে করে দিতে পারবেন,এছাড়া শ্যাপু না ডিটারজে পানিতে গুলে স্পে করে দিতে পারেন(( তবে পরিমান মত)) 

কিটনাশক হিসেবে আমি যেটা ব্যাবহার করে থাকি 


*****এডমায়ার

***** টিডো

***** ক্যারাটে

****** তুন্দ্রা 

এসব ব্যাবহার করে থাকি।

এসব কিটনাশকের ব্যাবহার বিধি প্যাকেটের গায়ে সুন্দর করে লেখা থাকবে।

তবে পরিমানে যেনো বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, 

আক্রান্ত গাছ বা পাতা যত দ্রুত সম্ভাব কেটে দূরে বা মটিতে পুতে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

আগাছা দমন করে রাখতে হবে।

 

 আবারও বলে রাখি এই লেখাটা সম্পুর্ন নিজের অভিঞ্জতা থেকে লেখা,  বাস্তবে আমি যেটা করে থাকি।

এখানে ভুল ত্রুটি অনেক আছে।  অতএব আপনাদের সুন্দর মন্তব্যে নিজেও কিছু শিখতে পারবো ১০ জনে শিখতে পারবে।

এই মহামরি করোনা কালে নিজের সুরক্ষ্যা রাখি 

ধন্যবাদ, 

সকলের জন্য শুভ কামনা রইলো


Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...