Wednesday, September 29, 2021

নারিকেল গাছে ফল ঝরা সমস্যা





                                                   নারিকেল গাছে ফল ঝরা সমস্যা ।

অনেক ক্ষেত্রে ছোট অবস্থায় নারিকেল ফল ঝরে পড়তে দেখা যায়। যেসব কারণে এ সমস্যা সাধাণত দেখা যায়।


*ফলের শাখা বা থোকা দূর্বল হলে। 

*পাতা ও কচি ফলে এক ধরনের রোগের আক্রমণ। 

*পরাগায়নের অভাবে অথবা ভ্রুণ নষ্ট হলে। 

*গাছের খাবারের ঘাটতি পড়লে বিশেষ করে পটাশের অভাব ঘটলে।

*সর্বোপরি পরাগায়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে।


এসব দিকগুলো বিবচেনা করে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা গ্রহনের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা অনেকটা এড়ানো যায়।


 সংগ্রহীত কৃষি ডিপ্লোমা বই থেকে ।

পোষ্ট 

মুচি ঝরে পড়ার কারণ ও প্রতিকার।

নারিকেল মাকড়সার আক্রমণের লক্ষণ ও প্রতিকার।





জৈব কিটবিতারক

 জৈব কিটবিতারক ।




অনেকেই আমাদেরকে এসএমএস করে অনুরোধ করেছেন জৈব পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে কিটবিতারক কিভাবে তৈরি করব তাই আমরা আজকে উপরক্ত  দুটি  প্রধান কিটবিতারক এর প্রস্তুতি আলোচনা করব , জৈব চাষ মনে শুধু জৈব খাব সেটা নয় চাষে যত পরিমাণ দেশীও বীজ এবং জৈব সার ও কিট বিতারক এর ব্যাবহার করব 2 বছর কষ্ট হলেও লস হবে না কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেশীও সংরক্ষিত বীজে হাইব্রিড বীজএর তুলনায় ফলন বেশি হবে , মনে রাখতে হবে উত্পাদিত ফসলের দাম আমাদের হতে নেই ঠিকই কিন্তু উৎপাদন  খরচ কিন্তু আমাদের হাতেই  রয়েছে সেটাও যদি সারের দোকানে দিয়ে দেই তাহলে কৃষক কি পাবে ? শুষে নিয়ে গেল তো সবাই মাঝে পরে থাকলো রোদে পুড়ে ছাই হওয়া কৃষক এর পিঠ আর পরিবারের অসুমপূর্ণ আশা গুলো , তাই দুটো  বছর কষ্ট একটু করবেন শেষ হাসিটা আপনারাই হাসবেন , 

আমরা ধাপে ধাপে জৈব চাষের সমস্ত কিছু পোস্ট করব আপনার শুধু আমদের পাশে থাকবেন লাইক শেয়ার করবেন কারণ আমাদেরকে অসংখ্য মানুষের কাছে পৌছতে হবে শুধু কয়েকজন দিয়ে জৈব বিপ্লব সম্ভব নয় । 

1/নিমাস্ত্র প্রস্তুতি করার উপকরন --


ক, নিমপাতা থেত  5 কেজি (দেশী বা খাওয়া নিম পাতা দিয়ে করার চেষ্টা    করবেন ফল ভাল পাবেন )


খ , গোবর 2 কেজি 


গ , গমুত্র 5 লিটার 


ঘ , অক্তই মাটির হারি বা প্লাস্টিক এর ড্রাম (লোহা , বা অ্যালুমিনিয়াম ব্যাবহার করবেন না )


আমরা এখানে একটি পরিমাণ বললাম আপনার আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে রেসিও মিলিয়ে প্রস্তুত করবেন । 


***মিশ্রণ তৈরি ---


প্রথমে নিমপাতা গুলুকে ভাল করে থেত করে নিবেন এবং তার সাথে গমুত্র এবং গোবর ভাল করে মিশ্রণ করে নিয়ে হারি বা ড্রামে ভরে মুখটি একটি কাপড় দিয়ে বেধে নিয়ে 24 ঘণ্টা একটি ছায়া জায়গায় রেখে দিবেন । এর পর 24 ঘণ্টা পর হয়ে গেলে মিশ্রণটিকে একটি কাপড় দিয়ে ছেকে নিয়ে ছিবরে গুলিকে ফেলে দিয়ে রস গুলির কে একটি যারে ভরে রাখতে পারেন। 


**ব্যাবহার--

 

তখন প্রয়োগ করেন তবে তার সাথে 100 লিটার জল মিশয়ে 3 বিঘা জমিতে ব্যাবহার করতে পারবেন অর্থাৎ প্রতি লিটার জলের সাথে 50 গ্রাম দ্রবনের মিশ্রণ দিয়ে স্প্রে করবেন জমিতে,  


*উপকারিতা—


আপনার ঐ নিমাস্ত্র দয়ে পোকা বা বিভিন্ন শোসক পোকা তাড়ানোর কাজে ব্যাবহার করতে পারেন , 


2/ ব্রম্মাস্ত্র প্রস্তুতি উপকরন –


ক, নিমপাতা 3 কেজি


খ, আতা ফল পাতা 2 কেজি 


গ,ডালিম পাতা 2 কেজি 


ঘ,পেয়ারা পাতা 2 কেজি 


ঙ,গমুত্র 10 লিটার 


চ, একটি  ভাল মাটির হাড়ি 


আমরা এখানে একটি পরিমাণ বললাম আপনার আপনাদের প্রয়োজন অনুসারে রেসিও মিলিয়ে প্রস্তুত করবেন । 


প্রস্তুতি –


সমস্ত পাতা গুলোকে আগে থেত করে নিতে হবে তার পর সেগুলিকে গমুত্রয়ের সাথে হাড়িত  দিয়ে কিছু সময় আনতর মোট 5 বার ফুটিয়ে দ্রবনের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে মুক্তি একটি কাপড়ের টুকরো দিয়ে বেধে নিয়ে 24 ঘণ্টা ছায়া জায়গায় রেখে দিয়ে তার পর ছোবড়া গুলোকে ছেকে ফেলে দিয়ে বোতলে ভরে রাখতে পারেন , এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যাবহার করতে পারেন,এটি 6 মাস পর্যন্ত রেখে ব্যাবহার করতে পারবেন , 


ব্যাবহার ---

প্রতি লিটার জলের সাথে  ব্রম্মাস্ত্র 25 গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে 

উপকারিতা –রস শোষক পোকা , ফল ও শুটি ছিদ্র করি পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্যে ব্যাবহার করা হয় ,


মনে রাখবেন এতে কিন্তু পোকা মরবে না , পোকা আসবে না তার জন্যে ব্যাবহার করা হছে কারণ চাষে উপকারী এবং অপকারী দুই ধরনের পোকাই থাকে , কিন্তু রাসায়নিক কিট নাশক দিলে সবই মারা যায় ফলে পরাগ মিলন ঘটে কম তাই উত্পাদন কমে যায় সেই সাথে আমরা বিষাক্ত সবজি খেয়ে নিজের পরিবারের রোগ ডেকে এনে য ইনকম করেছি তার 40%টাকা ডাক্তার নিয়ে নেয় কিন্তু জৈব করলে আপনার খরচ কম হয়ে লাভের 100 শতাংশ টাকায় থেক যবে পকেটে । 


ভাল লাগলে অবশ্যই পেইজ টি কে ফলো করবেন যাতে পরের পোস্ট খুব দিতেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন  এবং পোস্ট টিকে শেয়ার লাইক করবেন যাতে আমরা আরও  মানুষের কাছে জৈব চাষ তুলে ধরতে পারি এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুস্থ থাকার প্রধান বিষয় বিসমুক্ত খাদ্য তৈরির পরিবেশ দিয়ে যেতে পারি  , আপনাদের সহযোগিতা আমদের কাজে অনুপ্ররোনা হিসেবএ কাজ করবে ।     


  আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের এসএমএস করে জানতে পারেন এবং তা সমাধান করার চেষ্টা আমরা করব

Didi-Bhai-agrofarm-Equipment

ফোন- +91 77978 44240








Tuesday, September 28, 2021

কলা চাষে সাফল্যের কিছু উপায়


কলা চাষে সাফল্যের কিছু উপায়।
                                                         

                                                      কলা চাষে সাফল্যের কিছু উপায়।


১) প্রথমেই জমির পরজীবি নেমাটোড মারার জন্য আমার নেমাটোড নিয়ে লেখা পোস্টের সবচেয়ে ভালো উপায় অনুসরণ করুন।  


২) অন্যের জমি থেকে যেন জল জমিতে না ঢোকে।   নিজের জমিতেও যেন জল না জমে অর্থাৎ জল নিকাশির ভালো ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

 

৩) অন্য জমিতে ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতি কলার জমিতে ব্যবহার করবেন না অর্থাৎ কলার জমির দা, কাস্তে, কোদাল অন্য জমিতে ব্যবহার করা চলবে না।  


৪) কলার চারা অবশ্যই নামীদামী কোম্পানির কাছথেকে কিনবেন।  ভুলেও অন্যের জমি থেকে বা সস্তার চারা কিনবেন না।  আসল কথা হচ্ছে জীবাণুমুক্ত চারা জোগাড় করতে হবে।  


৫) রোগাক্রান্ত না হলে কলা ছাড়া কোনও কিছুই জমির বাইরে যাবে  না।  মালচিং হিসাবে ব্যবহার করুন। 


৬) কলা গাছের দূরত্ব তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার উপর নির্ভরশীল।  আমার নুয়াপাড়া জেলায়  আবহাওয়া বর্ষাকাল ছাড়া সবসময় শুষ্ক হওয়ায় দূরত্ব ৫ ফিট। বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে এটা ৫.৫-৬ ফিট এবং গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের জন্য ৮.৫-৯ ফিট হওয়া উচিত।  বেশি আর্দ্র আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণ কম করার জন্য দূরত্ব বেশি রাখা উচিত।  বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে জমিতে নূন্যতম আর্দ্রতা বজায় রাখা ও তাপমাত্রা কম করে মাইক্রো ক্লাইমেট তৈরির জন্য ৫.৫ ফিট।  


৭) কলা চাষের একটা বড়ো খরচ হচ্ছে চারা মারা।  চারা যতো ছোট থাকতে মারবেন ততো ভালো কারন চারাকে বড়ো গাছ খাবার সাপ্লাই করে।  চারা মারার জন্য বিশেষভাবে তৈরি টুলস ব্যবহার করা খুব কার্যকরী এবং খরচ খুব কম করে দেয়।  


৮) কলা গাছের একটাই মাত্র চারা রাখতে হয় এবং সেটা কলায় ফল আসার সময়।  কলা গাছ যেদিকে হেলে আছে তার বিপরীত দিকের চারা রাখা সবচেয়ে ভালো।  

চারার পাতা অবশ্যই তরবারির মতো সূচালো হতে হবে,  গোল নয় --- যে চারার পাতা সূচালো সে বড়ো গাছ থেকে বেশি খাবার পাচ্ছে।  


৯) কলার মোচা কাটা একটা বড়ো ব্যাপার।  একদম নিচের যে দুই ছড়া কলা হতে পারতো সেটা সমেত যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কাটবেন।  তাহলে বাদবাকি কলার ওজন বেশি হবে অর্থাৎ কলা বড়ো হবে।  


১০) কলা কাটার পরে গাছকে নিচ থেকে কেটে ফেলবেন না।  পুরো খাড়া রেখে দেবেন  এবং একদম উপরের দিক থেকে পাতা সমেত কাটবেন।  গাছ এইভাবে রাখলে অন্য গাছটাকে প্রায় ৬০% নিউট্রিয়েন্ট সাপ্লাই করে।  


১১) কলা গাছ একা থাকা পছন্দ করে না।  তাই শুধুমাত্র জমির আল বা মাত্র একটা লাইন বরাবর লাগাবেন না।  আয়তকার পদ্ধতি অর্থাৎ একের পর এক লাইন সিস্টেম ব্যবহার করুন।


ধন্যবাদ সবাইকে


Sunday, September 26, 2021

স্পিরুলিনার উপকারিতা


স্পিরুলিনার উপকারিতা

স্পিরুলিনার উপকারিতা


১. স্তন ক্যান্সারঃ স্পিরুলিনা ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। স্পিরুলিনার নীল-সবুজ রঙ এটা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।স্পিরুলিনা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট "সেলেনিয়াম" সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে স্পিরুলিনা স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় সফলভাবে কার্যকরী হয়েছে।


২. বাত প্রতিরোধঃ স্পিরুলিনা প্রকৃতি বিরোধী প্রদাহ এবং বাত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর অতিরিক্ত পুষ্টি পেতে রস, পাস্তা, সালাদ, রুটি আকারে আপনার খাদ্যের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন যা আপনাকে দেবে বাড়তি স্বাদ ও পুষ্টি ৷


৩. চোখের সমস্যাঃ স্পিরুলিনা যে কোন ধরণের ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করে। যা ম্যাঙ্গানিজের উত্তম উৎস উচ্চ পরিমাণে দশ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে।এটি ছানির পতন এবং মাচুলার মত চক্ষু রোগ ভাল করে শক্তিশালী এবং পুষ্টিকর করে তোলে।


৪. হজমশক্তি বৃদ্ধিঃ এটি কোলাই এবং চান্দিদার মত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি দমন করে । স্পিরুলিনা পাচনতন্ত্র এর মধ্যে lactobacillus এবং bifidobacteria মত ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরী করে। তাই এটা পুষ্টি শোষণ করে শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে হজম শক্তি বাড়ায়।


৫. কিডনি সমস্যাঃ স্পিরুলিনার ক্লোরোফিল একটি উচ্চ ঘনত্ব সম্পন্ন এবং সেরা প্রাকৃতিক detoxifiers। এটা কিডনি থেকে ভারী ধাতু, ক্ষতিকারক রশ্মি, এবং দূষণকারী পদার্থ মুছে নিয়ে কিডনিকে বিষাক্ততার হাত থেকে বাঁচায় ৷


৬. ডায়াবেটিস প্রতিরোধঃ স্পিরুলিনার মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ রয়েছে যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে ৷ এটি ডায়াবেটিকসের মধ্যে লিপিড মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে।


৭.রোগপ্রতিরোধঃ স্পিরুলিনা একটি চমৎকার আক্রমণ বিরোধী সহায়তাকারী পদার্থ । স্পিরুলিনার মধ্যে পলিস্যাকারাইড উপস্থিতি যার ফলে রোগ এর বিভিন্ন বাধা, ইমিউন সিস্টেম উন্নত করার জন্য সুনাম রয়েছে।


৮.ওজন কমাতেঃ স্পিরুলিনাতে বিশেষ ধরনের প্রোটিন আছে যা ক্ষুধা কম রাখে এবং শরীরের স্তূপাকার চর্বিকে নিরাময় করে। তাই এটা ব্যায়ামকারীর জন্য মিলিত কোন ওজন কমানোর খাদ্যের মধ্যে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ খাবার।

ধন্যবাদ সবাইকে


Saturday, September 25, 2021

সফেদা ফল

 সফেদা বাংলাদেশের একটি বহুল প্রচলিত ফল। এর রসালো-মিষ্টতা গুনের কারনে সবাই সফেদা খেতে পছন্দ করে।

সফেদা ফল।



সফেদার আদি নিবাস মেক্সিকোতে হলেও বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তানে এই ফল প্রচুর পরিমানে উৎপাদন হয়।

সাধারনত ঘন বৃষ্টিপাতের এলাকায় সফেদার ফলন ভালো হয়। এর পাতা গরু-ছাগল খেতে খুব পছন্দ করে।

বাংলাদেশের প্রত্যেক এলাকাতেই সফেদার ফলন ভালো। সাধারনত বীজের চারাগাছের সফেদা গুলোতে ফল আসতে ৭-৮ বছর সময় লাগে এবং বড় সাইজের ফল আসে,মিষ্টতার পরিমান অপেক্ষাকৃত কম।



🥝দেশি সফেদার কলম চারাগুলোতে এক বছরে,খুব ছোট অবস্থায় ফলন চলে আসে। এই সফেদা গুলো গোলাকার আকৃতির হয় এবং গাছের পাতা অপেক্ষাকৃত ছোট, তির্যক হয়। দেশী সফেদায় মিষ্টতার পরিমান অপেক্ষাকৃত কম।

🥝অধিক মিষ্টতার কারনে বর্তমানে সংকর জাতের "থাই সফেদা" সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। থাই সফেদা গুলো ডিম্বাকার আকৃতির হয়ে থাকে এবং পাতা অপেক্ষাকৃত লম্বাটে,চ্যাপ্টা এবং নিঃসন্দেহে এই প্রজাতি  একটি উচ্চ ফলনশীল ভ্যারাইটি।



ধন্যবাদ সবাইকে সুমেল

Thursday, September 23, 2021

বােরনের অভাবজনিত লক্ষণ

 বােরন উপাদান : কমপক্ষে ২০ % বােরন বিদ্যমান । 



বােরনের অভাবজনিত লক্ষণ : পাতা খর্বকায় ও কোঁকড়ানাে হয় এবং নেতিয়ে পড়ে । কান্ড ও পাতার বোঁটা এবং ফল ফেটে যায় । শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যহত হয় । কান্ডের অগ্রকোষ বা কচি কান্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় । পরাগায়ন , ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় । বােরনের অভাবে সালােকসংশ্লেষন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় । আলু ও বিভিন্ন ফলের উপর বিবর্ণ দাগ পড়ে । 


উদ্ভিদে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয় । বীজের সংখ্যা খুব কমে যায় । প্রয়ােগ পদ্ধতি : মাটিতে এবং পাতায় স্প্রে দুইভাবেই প্রয়ােগ করা যায় । সার / বালু / ছাই / মাটির সাথে ভালােভাবে মিশিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষে প্রয়ােগ করতে হবে । ফসলে বােরনের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবেোর ।


 প্রয়ােগ ক্ষেত্র : ধান , গম , আলু , আম , ইক্ষু , বেগুন , পিঁয়াজ , কুমড়া , শশা , পটল , করলা , চিচিংগা , ঝিংগা , তেঁড়স , বাঁধাকপি , ফুলকপি , মরিচ , পান , আনারস , কলা , তরমুজ , তুলা , চা এবং ফুল জাতীয় ফসল যেমন- গাঁদা , গােলাপ , রজনীগন্ধা , জারবেরা ইত্যাদি ফুলগাছে সলুমােন ব্যবহার করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় । 

প্রয়ােগ মাত্রা : প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ গ্রাম সলুমােন মিশিয়ে গাছে স্প্রে করুন । ১৫ দিন অন্তর অন্তর দুই বার প্রয়ােজনে ৩ য় বার স্প্রে করুন । এই সার পাতায় এবং মাটিতে দুই ভাবে ব্যবহার যায়।


ধন্যবাদ সকলকে

আমিন

কৃষি পরামর্শ Group


 




Tuesday, September 21, 2021

নিম পাতার রস

 

নিম পাতার রস ।


                                                               নিম পাতার রস ।





নিম পাতার রস বা গাছ একটি উৎকৃষ্ট জৈব বালাই নাষক,প্রমানিত জীবানু নাষক যা হাজার বছর ধরে কার্যকর ভাবে ব্যাবহারিত হয়ে আসছে,তাই মাত্রানুযায়ী বহু দিন ধরে আমি আমার উৎপাদিত ফসলের কীটনাশক, বালাই নাষক হিসেবে ব্যাবহার করছি..

পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে,মাটির দূষন জনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাবহার কমাতে আপনিও আপনার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রাকৃতিক বালাই নাষক ব্যাবহার করতে পারেন..

খরচ কমান,পরিবেশ বাঁচান, নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন. .

আমি নিম বীজ থেতলে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে আপাং,ধুতরা,পানি মরিচ ইত্যাদি যোগে ব্যাবহার করি,

অবস্থা অনুযায়ী শুধু নিমও ব্যাবহার করি..

Sunday, September 19, 2021

পি,জি আর সম্পর্কে কিছু পরামর্শ

 পি,জি আর সম্পর্কে কিছু পরামর্শ,,,



পি,জি আর সম্পর্কে কিছু পরামর্শ।

,


       পি,জি আর  এ উদ্ভীদের হরমোন জাতীয় বিভিন্ন  ম্যাক্রো ও মাইক্রো এবং একই সাথে জিব্লাইলিক এসিড বা হিউমাস আবার কোনটায় সামুদ্রিক শৈবাল এর গ্রুপ বোঝায়।। এটা এমনি হরমোনবর্ধক যে মাটিতে ক্রিয়াশীল থাকা সমস্ত জৈব ও রাসায়নিক সারকে একই সাথে কর্মক্ষম করে তোলে, ফলে দ্রুত উদ্ভিদে শেকরের বিস্তারের সাথে সাথে মাটির প্রচুর রস শোষন করে এবং উদ্ভিদকে ফসলের দানার আকারে ব্যপক প্রভাব বিস্তার করে।

ফলে ধানের ক্ষেত্রে যদি শুরুতে বা মাঝামাঝি পর্যায়ে এ হরমোন প্রয়োগ করা হয় তাহলে উপরের প্রক্রিয়া নিশ্চিত ঘটে যাবে। ধান যেহুতু দীর্ঘমেয়াদি ফসল চার কিংবা পাঁচ মাসের আমরা পি,জি আর এর পরিবর্তে প্রথম ৩০ দিন পর শতক প্রতি ৮০০ গ্রাম ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম টিএসপি ৫০০ এম ও পি সার প্রয়োগ করতে হয়। ৪৫ দিন পর শতক প্রতি ৪০০ গ্রাম টিএসপি ও এম ও পি এবং ধান বের হবার অন্তিম পর্যায়ে শতক প্রতি ৩০০ গ্রাম টিএসপি ও ১৫০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হয়।।।।

ধন্যবাদ সকলকে

আমিন

কৃষি পরামর্শ Group


পুঁই শাক ও সবুজ সার

 পুঁই (Basella alba):

পুঁই শাক ও সবুজ সার।

                                                         পুঁই শাক ও সবুজ সার।

এক প্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পুঁই গাছের পাতা ও ডাঁটি শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলে সচরাচর একে পুঁই শাক হিসাবে উল্লেখ করা হয় পুঁই Basellaceae গোত্রভুক্ত বহুবর্ষজীবী উষ্ণমণ্ডলীয় গাছ। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরায় সর্বত্র এর চাষ হয়ে থাকে। এর ভাজি এ সব এলাকার মানুষের প্রিয় সহযোগী খাদ্য।


অন্যান্য অনেক শাকের মত এর মধ্যে অনেক ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লোহা, ও ক্যালসিয়াম আছে। এছাড়া এ শাকে ক্যালরির ঘনত্ব কম। তদুপরি ক্যালরি-প্রতি আমিষের পরিমাণও বেশি। 


পুঁই শাক পুষ্টিকারক ও তৃপ্তিকারক। পাতাসহ সমগ্র গাছ ভেষজ গুণাবলী সম্পন্ন। পাতা মূত্রকারক, গনোরিয়া রোগে এটি উপকারী। অর্শ রোগ, অতিরিক্ত স্রাব, অতিসার প্রভৃতিতে অন্যান্য উপদানের সঙ্গে পুঁই শাকের ব্যবহার আছে। পুঁই শাকের পাতার রস ছোটদের সর্দি, কোষ্ঠবদ্ধতা প্রভৃতিতে উপকার দেয়।


আমার বাসায় ব্যাবহ্যত সবজির খোসা দীর্ঘদিন একটি পাত্রে জমিয়ে রাখি। সবজির খোসাগুলো পচে গেলে কম্পোস্ট  হিসেবে বাগানের মাটিতে ২-৩ ইঞ্চি গভির করে কম্পোস্টগুলো দিয়ে উপরে আবার মাটি দিয়ে ৭-১৫ দিন প্লাস্টিকের কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখি।  তারপর কম্পোস্টগুলি মাটির সাথে মিশে মাটি ঝুরঝুরে হলে গাছ লাগাই।  এতে মাটিগুলো যথেষ্ট উর্বর থাকে, গাছও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে । 






নীজের জন্য শুভ কামনা রইলো

Tuesday, September 14, 2021

পোল্ট্রি শিল্পে

 পোল্ট্রি শিল্পে নীয়ম নীতি উপেক্ষিত অস্থিরতা বাড়ছে~ 

পোল্ট্রি শিল্পে নীয়ম নীতি উপেক্ষিত অস্থিরতা বাড়ছে


-দফায় দফায় ফিডের মূল্য বৃদ্ধি, ডিলারদের কারসাজি, আড়ৎদারদের অপকৌশল/সিন্ডিকেট ও মিডিয়ায় নানা মুখী বিরূপ প্রচারণা- পোল্ট্রি শিল্পে অস্থিরতা ক্রর্মেই বাড়ছে, ক্ষতির মুখে ছোট বড় বহু খামারি বাড়ছে বেকারত্ব, প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে কুটি কুটি টাকা।


ফিড উৎপাদক কোম্পানিগুলো- কাঁচা মালের দর বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২১ সালে- অন্তত ৩বার ফিডের দর বৃদ্ধি করলো, পক্ষান্তরে ডিম ও রেড়ী মুরগীর দর রয়েছে সেই পূর্বাস্হায়, এর সাথে ডিলারগন বাকীর অজুহাত দেখিয়ে- ফিড বাচ্চা ও ঔষধ বিক্রিতে নির্ধারিত মূল্য থেকে (প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে) বাড়তি মূল্য নিচ্ছেন- সাথে কেউ কেউ রেডি মুরগী ও ডিম বিক্রিতে নিজেদের ভাগ বসাচ্ছেন এরই সাথে পাইকারি আড়ৎদারগন সুযোগ বুঝে সময়ে অসময়ে বাজার (বিপর্যয়ের ঘটিয়ে) অস্থির করে তুলছেন এ-সব কিছুর সাথে যোগ হয়েছে বিরূপ প্রচারণা- অনলাইনের যুগে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া- পোল্ট্রি  সম্পর্কে সুরবিস্তার না জেনে, পোল্ট্রি'র ভালো দিকগুলো বাদ দিয়ে- নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে- প্রায়শই বাড়াবাড়ি মূলক রিপোর্ট করে আসছে যাহার দরুন- প্রতিনিয়ত শিল্পে মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। 

অনুতাপের বিষয়ঃ এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট ও নীতি নির্ধারনী কিংবা সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই বল্লেই চলে, বিগত দিনগুলোতে দেখেছি এই সেক্টরে বিপর্যয় নেমে আসলে-  উৎপাদক কোম্পানি, ফিড বাচ্চার ডিলার, প্রান্তিক খামারিগন নিজ উদ্যোগ কিংবা সম্মিলিত ভাবে ব্যপক বিস্তৃত প্রচারণা ও ইতিবাচক কিছু কৌশল অবলম্ব হতো যার মধ্যে থাকতো সভা সেমিনার মানব-বন্ধন মিছিল ও বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী কর্মসূচি। 


উল্লেখ্য যে- পোল্ট্রি এদেশে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প এখানে ক্রর্ম-সংস্থান হয়েছে প্রায় কুটি মানুষের, বিনিয়োগ হয়েছে হাজার হাজার কুটি টাকা! জনবহুল এদেশে সস্তায় মিটছে পুষ্টির চাহিদা, প্রেক্ষিতঃ উক্ত সেক্টরকে বাঁচানো একান্ত অপরিহার্য আর তা না হলে অজান্তেই অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হবে নিঃসন্দেহে যাহা কারোই কাম্য নয় বটে! 

অতএবঃ সরকার তথা পোল্ট্রি- সংশ্লিষ্টদের নিকট বিনিত অনুরোধ নিরবে থাকা আর নয়! যার যার জায়গা থেকে দ্বায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে সঠিক নিয়মে ব্যবসা পরিচালনা করি এবং শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখি তবেই কেবল এই সেক্টর প্রাণ ফিরে পাবে হবে বহু ক্রর্মসংস্হান পাশাপাশি কমবে বেকারত্বের হার অর্থনীতিতে দেশ হবে সমৃদ্ধশালী।


Md Sirajul lslam

Managing Director: 

Brothers Poultry International 

E-mail: brotherspoultry5@gmail.com

কলার খোসার ব্যবহার


কলার খোসার ব্যবহার।



বাগানে  সার হিসেবে কলার খোসার ব্যবহা


 কলার খোসার উপকারিতা এবং আমাদের বাগানে  সার হিসেবে কলার খোসার ব্যবহারঃ

, যে সমস্ত পুষ্টিগুন গাছের এই বৃদ্ধি ও ফুল-ফল এবং সজীবতা বজায় রাখে তার মধ্যে অন্যতম নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম । 


পটাশিয়ামের অভাবে গাছের নতুন পাতার কিনারায় দেখা দেয় হলুদ দাগ যা একসময় পুরো পাতায় এমনকি সম্পূর্ণ গাছেও ছড়িয়ে পড়ত পারে। এছাড়া পাতা বাদামী বর্ণের হয়ে যায়। ফলবতী গাছের ফল ঝরে যায় এবং ফলের আকৃতি নষ্ট হয়। গাছ খাটো ও শক্ত হয়ে গাছের বৃদ্ধি থমকে যায়।

 

আমাদের প্রতিদিনকার ফেলে দেওয়া কলার খোসা থেকেই গাছের এই পটাশিয়ামের অভাব খুব সহজেই পুরন করা সম্ভব। কলা এমন একটা ফল, যা প্রত্যেকের বাড়িতে প্রায় সবসময়ই থাকে। এই ফলের পুষ্টিগুণ নিয়ে তো অনেক কথা এতদিন শুনেছেন। 


গাছের সার হিসেবে সরাসরিও মাটিতে মেশাতে পারেন কলার খোসা। এর জন্য কলার খোসাগুলিকে খুব ছোটো করে কেটে নিন। মাটির ৪ ইঞ্চি গভীরে পুঁতে দিন টুকরো করা খোসাগুলো। গাছ লাগানোর আগে এই কাজটি করুন। খোসাগুলো পচে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। কলার খোসায় থাকা ভিটামিন ও মিনারেলের কারণে মাটির উর্বরতা বাড়বে। উর্বর মাটি থেকে পুষ্টি পেয়ে আপনার বাগানের গাছগুলিও হয়ে উঠবে তরতাজা।

ধন্যবাদ-মোহাম্মদ আবু ছায়েম


Saturday, September 11, 2021

পোল্ট্রি'র পাশাপাশি কৃষি পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হোন

 পোল্ট্রি'র পাশাপাশি কৃষি পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হোন-

পোল্ট্রি'র পাশাপাশি কৃষি পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হোন।



ইদানীং অনেকেই বলছেন পোল্ট্রি ফার্ম করে লাভবাণ হতে পারছেন না, তাদের বলবো পোল্ট্রির পাশাপাশি কৃষি পণ্য উৎপাদনে মনোনিবেশ করুন, কেননা- ভৌগলিক দিক থেকে পৃথিবীর দক্ষিণে আমাদের অবস্থান বলা যেতে পারে সমুদ্র তীরবর্তীতে বসবাস, প্রেক্ষিত বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনে ব্যপক বিস্তার প্রভাব ফেলছে, উৎস- নদী সমুদ্র কিংবা পাহাড়ি ঢল (উজান) মাধ্যমে, মূল বিষয় হলো বছরের অধিকাংশ সময় কৃষি জমিতে পানির প্রবাহ থাকছে যার দরুন তিন ফসলী জমি পরিনত হচ্ছে দুই ফসলী জমিতে এতে করে একদিকে যে-মন ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে তেমনি ঘটছে খাদ্য ঘার্তির কারণ, প্রেক্ষিতে প্রয়োজন হচ্ছে- খাদ্য শস্য আমদানি। 


প্রেক্ষাপটঃ

জনবহুল এদেশে দিনদিন বেকারত্বের হার বাড়ছে- তাই জনসংখ্যাকে বোঝা মনে না করে বরং নুতন নুতন কর্মপন্থা নির্ধারণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জন-শক্তিতে পরিনত করা সম্ভব! এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি বেসরকারি- অনাবাদি জমিকে কাজে লাগানো যেতে পারে, বিশেষ করে দেশের পূর্ব ও পূর্ব-উত্তর অঞ্চল অর্থাৎ সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকা সমূহে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য পাহাড় ও টিলা- যাহা সরকারি নীয়ম মেনে লিজ নিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় আবাদের ব্যবস্হা গ্রহণ। 


লিজের পদ্ধতিঃ

স্হানীয় বন বিভাগ থেকে একক নামে বিশ বছর মেয়াদি (চুক্তিতে) এক একর জমি বরাদ্দের বিধান রয়েছে, প্রয়োজনে একই পরিবার একাধিক নামে বরাদ্দ নেওয়া যেতে পারে? সেক্ষেত্রে খরচ প্রতি জনের জন্য- সরকারি খাতে ফ্রী ও যাবতীয় খরচ মিলে ১০-১২ হাজার টাকা। এখানে উল্লেখ করা দরকার বন বিভাগের জমি ব্যবহারে ক্ষেএে কিছু নীয়ম অনুস্বরণ অপরিহার্য, যেমন পাহাড় কিংবা বন অঞ্চলের ক্ষতি সাধত না করে বরং সরকারি বরাদ্দে বিনামূল্যে- বীজ বা গাছের চারা রোপণ অর্থাৎ বৃক্ষের পরিধি বাড়ানো। 


সুবিধা সমূহঃ

পাহাড়ি এলাকার জমি অধিক উর্বর হওয়ায় সেখানে যেকোন ফসল উৎপাদন সম্ভব, যেমন- শাখ সব্জি, করলা, লেবু, কলা, আনাচ-কলা, আমলকী, লটকন, কামরাঙ্গা, আনারস ও কাঁচা মরিচ ইত্যাদি।


কর্মপন্থা নির্ধারণ- এলাকা ও পরিবেশগত বিষয় মাথায় রাখে অগ্রসর হওয়া উচিৎ- যেমন যেখানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি- সেখানে সেসকল পণ্য উৎপাদন, আবার কিছু এলাকায় রয়েছে বন্য প্রাণীর উপদ্রব যেমন- শিয়াল বানরের বিচলন, তাই প্রোজেক্ট শুরুর পূর্বে সমীক্ষা বা প্ল্যানিং করা একান্ত প্রয়োজন, তাতে করে  এলাকা ভিক্তিক আলাদা বা ভিন্ন প্রোজেক্ট করা যেতে পারে? যেসব এলাকায় জীব জন্তুর উপদ্রব রয়েছে- সেখানে মিষ্টি জাতীয় ফল চাষ না করে বরং সেখানে টক জাতীয় ফল যেমন লেবু করলা আনাজি কলা মান-কচু ইত্যাদি চাষ করা অধিকতর উত্তম। 


চাষ পদ্ধতিঃ

প্রথমেই উল্লেখ করা দরকার পাহাড়ি জমি উর্বরতা বেশী হওয়ায়- পানি সার ঔষধ কিংবা কীটনাশকের প্রয়োজন নেই বল্লেই চলে, এছাড়া পাহাড় মানে উপজাতিদের বসবাস উপজাতিদের জীবন-মান এখনো খানিকটা নিম্ন পর্যায়ে সাথে রয়েছে কাজের অভাব- প্রেক্ষিত কম খরচে লেবার পাওয়ার সুযোগ, একজন পুরুষ লেবার রোজ- ৪০০-৪৫০ টাকা ও মহিলা ৩০০-৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। 


লেবু-কলার মিশ্র চাষঃ

অর্থাৎ ১২ ফিট্ অন্তর একটি লেবুর চারা ও মাঝখানে একটি কলার ড্যেম লাগানো যেতে পারে এই পদ্ধতিতে খরচ হবে একর প্রতি এককালিন- ১,৫০,০০০= এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। আপনি চাইলে ৫-৭ একর জমি লিজ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন? 


লেবু-কলা চাষে পাঁচ একর জমির- আয় ব্যায়ের হিসাব প্রনয়ণ করা হলোঃ

আয়ের হিসাব- কলা থেকে এককালিন আনুমানিক বছরে- ২০,০০০×৫ (একর)= ১,০০,০০০= লেবু থেকে আনুমানিক- ৫,০০০×৫ (একর)= ২৫,০০০×১২ (মাস)= ৩,০০,০০০= এবং লেবুর চারা/কলম বিক্রি থেকে দ্বিতীয় বছর থেকে গড় ৬০০×২৫= ১৫,০০০×৫ (একর)= ৭৫,০০০= টাকা। সর্ব মোট আয়- ৪,৭৫,০০০/= চার লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা। ব্যায়ের হিসাব- লেবার ও যাবতীয় (খরচ) বাদ আনুমানিক- ৭৫,০০০= নেট মুনাফা- ৪,০০,০০০= চার লক্ষ টাকা।

উল্লেখ যে- পাহাড়ি এলাকা সমূহ অনেকটা নিরাপদ অতএব কেয়ারটেকার বা আলাদা লোকবলের প্রয়োজন নেই বটে! 

তথ্য সহায়তা- প্রফেসরঃ জনাব আইয়ুব আলী, মীরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মীরসরাই পৌরসভা, চট্টগ্রাম। 


লেখকঃ

মোঃ সিরাজুল ইসলাম

ব্যবস্হাপনা পরিচালকঃ 

ব্রাদার্স পোলট্রি ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা- দীর্ঘ দুই যুগ ধরে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত, পোল্ট্রি তথা এগ্রিকালচার সেক্টরকে কাছ থেকে দেখার সুবাদে উক্ত তথ্য চিত্র তুলে ধরা হইলো।


Friday, September 10, 2021

পিজিআর উপকারিতা

পিজিআর




পিজিআর উপকারিতা : -পিজিআর  উদ্ভিদের জৈব উজ্জীবক । জৈব উজ্জীবক এমন এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা খুবই অল্প পরিমানে উদ্ভিদ দেহে সংশ্লেষিত হয় এবং এদের উৎপত্তিস্থল থেকে দুরবর্তী স্থানে পরিচালিত হয়ে গাছের শারীরবৃত্তিয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে ।


পিজিআর আমাদের ফসলের পুষ্টি গ্রহনের সহয়তা করে থাকে তাই আধুনিক চাষে পিজিআর ব্যবহারের গুরুত্ব অনেক।আমাদের ফসলের উপাদন ও ফলন বৃদ্ধির জন্য পিজিআর ব্যবহার করবো।নিচে আলোচনা করা হলো।


 প্রয়ােগক্ষেত্র : গ্রীষ্মকালীন টমেটো গাছের , ফুল ও ফলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর এছাড়াও ধান , গম , আলু , আম , ইক্ষু , বেগুন , পিয়াজ , কুমড়া , শশা , পটল , করলা , চিচিংগা , ঝিংগা , তেঁড়স , বাঁধাকপি , ফুলকপি , মরিচ , পান , আনারস , কলা , তরমুজ , তুলা , চা এবং ফুল জাতীয় ফসল যেমন- গাঁদা , গােলাপ , রজনীগন্ধা , জারবেরা ইত্যাদি ফুলগাছে নাইট্রোজিম ব্যবহার করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় ।

 প্রয়ােগ সময় : ফুল ও ফল আসার ১৫ দিন পূর্ব হতে ফসল কর্তনের আগ পর্যন্ত ৩/৪ বার স্প্রে করতে হবে । 


প্রয়ােগমাত্রা : সাধারনতঃ ১.৫ থেকে ২ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । দুপুরের রৌদ্রে নাইট্রোজিম ব্যবহার করবেন না । 

 ফুল ফল ঝরা বন্ধ করে ফুল  ফল বৃদ্ধি করে ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে পিজিআর।


ধন্যবাদ সকলকে

আমিন

কৃষি পরামর্শ Group


Tuesday, September 7, 2021

ধানের মাজরা ও ব্লাষ্ট প্রতিরোধে

 

ধানের মাজরা ও ব্লাষ্ট


ধানের মাজরা ও ব্লাষ্ট প্রতিরোধে সাজেস্ট পোস্ট, আশা করি সবাই মনোযোগ দিবেন।

১) ক্লোরোপাইরিফস+ সাইপারমেথ্রিন ৫৫ ইসি গ্রুপের কীটনাশক যেমন, নাইট্রো বা সাইকেল বা সেতারা বা এই গ্রুপের যে কোন + ( থায়ামেথোক্সাম + এমামেকটিন বেনজোয়েট ৪০ ডব্লিউ জি)  গ্রুপের কীটনাশক যেমন আলটিমা প্লাস বা সবার পরিচিত ভিরতাকো বা বেল্ট এক্সপার্ট  পরিমান মত একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করলে শতভাগ, ধানের মাজরা পোকা নির্মুল হবে ইনসা আল্লাহ।

২) ব্লাষ্ট বা খোলপচা প্রতিরোধে , এমিস্টার টপ বা নাটিভো বা এক্সোবিন প্রয়োগ করতে পারেন


ধন্যবাদ সবাইকে

Fb link রাহায়ন 



জৈব বালাই দমন ব্যবস্থা গুরুত্বের দাবিদার

 


দিনে দিনে জৈব বালায় দমন ব্যবস্থা উপর ঝুকছে কৃষি ব্যবস্থা।বিশেষ করে যারা ছাদ বাগন বা সবজি চাষ করে । সবজি চাষে জৈব বালাই দমন ব্যবস্থা গুরুত্বের দাবিদার ।এটা পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না এবং বিষ মুক্ত সবজি উৎপাদনে ভুমিকা আনেক।সবজি চাষের জন্য মাছিপোকা একটি বিরাট বড়ো বাধা ।মাছি পোকা দমনের জন্য ফেরোমন ফাঁদ জৈব বালায় দমন হিসাবে গুরুত্বের দাবি দার ।

লাউ, মিষ্টি কুমড়া ,করলা ঝিঙ্গা,চিচিঙ্গা,পটল ইত্যাদি সবজি ফসলে ফেরোমন ফাঁদ মাছি  পোকা দমন করে থাকে। বাজারে অনেক কোম্পানিরর ফেরোমন ফাঁদ পাওয়া যায়।কোনটা সবজির জন্য আবার কোন টা ফলের জন্য ।আম বা মাল্টা ফলে মাছিপেকা আক্রমন করে থাকে  এবং আম চাষের জন্য মাছি পোকা একটি হুমকি ।আর এই আমের মাছি পোকা দমনের জন্য একটি সহজ সমাধান হলো ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা । আম যখন গুটি গুটি হবে তখনি ফাঁদ স্থাপন করতে হবে সাধারণত ফাঁদে যে লিউয়র বা তাবিজ থাকে তার মেয়াদ ৪০-৬০ দিন হয়ে থাকে ।এই ৪০-৬০ দিনে আপনার ফল উঠে যাবে কিন্তু মাছি পোকা আক্রমন করবে না ।


সবজির  মাছি পোকার দমনের  জন্য একই রকম ভাবে আমরা ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করতে পারি যাতে করে মাছি পোকার আক্রমন আমরা ঠেকাতে পারি ।

লাউয়ের মাছি পোকা দমনে ফোরমন ফাদের গুরুত্ব অনেক ।এই মাছি পোকা তাদের হুল ফুটিয়ে  দেয় এবং ডিম পেড়ে দেয় যার ফলে কিড়া তৈরি হয় ,ফলটি পচে যাই বা নষ্ট হয়ে যায়িএর জন্য উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে ।

জৈব বালায় দমনে দেশে আনেক গুলো কম্পানি কাজ করে যাচ্ছে । তাদের অনেক ভালো ভালো পণ্যে বাজারে আসছে।দিনে দিনে জনপ্রিয়ো হচ্ছে এই সব পণ্যে ।কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে ।বিষ মুক্ত সবজি উৎপাদনে ঝুকছে বেশির ভাগ কৃষক।



 .

ধন্যবাদ সকলকে

আমিন

কৃষি পরামর্শ Group





Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...