Friday, April 29, 2022

করলা চাষ ছাঁদ বাগানে টবে

 

করলা চাষ


প্রধান সবজিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে করলা অন্যতম। গ্রীষ্মকালিন সবজিগুলোর মধ্যে করলার চাহিদা অনেক।


জাত

বারি করলা ১ :- জাতটি গাড় সবুজ রঙের হয়ে থাকে, এটিতে গাছ প্রতি প্রায় ১০০গ্রাম ওজনের ২৫-৩০ টি ফল ধরে। এটি লাগানোর ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।


গজ করলা:- জাতটি সবুজ রঙের হয়ে থাকে,এটিতে গাছ প্রতি ১৫০-২০০ গ্রাম ওজনের ১৫-২০ টি ফল ধরে থাকে।


বীজ লাগানোর সময়

ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত করলা বীজ লাগানোর সেরা সময়। গরমে করলা গাছ দ্রুত বাড়ে, শীতে তেমন বাড়ে না। তাই আগাম ফলের আশায় জানুয়ারিতে লাগালে তেমন ফলপ্রসু হবে না।


টব ও মাটি তৈরী

করলা চাষের জন্য বড় বা মাঝারি আকারের টব নিলে ভাল হয় এজন্য আপনি ৫০ লিটার ড্রামের অর্ধেক নিতে পারেন। অবশ্যই ড্রামের নিচে ছিদ্র করে দিবেন। আমি এখানে হাফ ড্রাম টবের জন্য মাটি প্রস্তুতি বলব।


করলা প্রায় সব মাটিতে হয় তবে দোঁয়াশ মাটিতে করলা সবচেয়ে ভাল হয়। তাই করলা চাষের জন্য ২ ভাগ দোঁয়াশ মাটি, ১ ভাগ গোবর সার, ২৫ গ্রাম টিএসপি ও ২৫ গ্রাম পটাশ সার একসাথে মিশিয়ে ড্রামে ভরে পানি দিয়ে দিন। ১০-১২ দিন পর মাটি কিছুটা খুচিয়ে ৪-৫ দিন পরে বীজ বা চারা লাগিয়ে দিবেন।


বীজ রোপন

বীজ রোপনের ২৪ ঘন্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ রোপনে সময় টবের মাটি ঝুরঝুরে কারে নিন। তারপর বীজ গুলো ১ ইঞ্চি গভীরে বপন করে পানি দিয়ে দিন। হাফ ড্রাম টবে আপনি ৫-৬ টি বীজ লাগাতে পারেন।


পরিচর্যা

করলা গাছ একটু বড় হয়ে আসলে ভালভাবে মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করে টবের মাটি কিছুটা আলগা করে দিতে হবে। চারার বয়স ১ মাস হলে ২০ গ্রাম টিএসটি দিন। যখন করলা ধরা শুরু করবে তখন ১৫-২০ দিন পর পর সরিষার খৈল পঁচা পানি দিতে হবে।


রোগবালাই ও প্রতিকার

করলা গাছে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে যেমন:- মাছি পোকা, পামকিন বিটল, পাউডারী মিলডিউ ও ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।


এসব রোগাবালাই থেকে বাঁচতে বাগান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মাছি পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে বাগানে ফোরোমন ফাঁদ ব্যবহার করবেন। আর অন্যান্য রোগের জন্য নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করবেন।

বাসক পাতার উপকারিতা


বাসক পাতার উপকারিতা

বাসক পাতা

একটা সময় ছিল যখন বাঙালীর জীবনে হরীতকী, আমলকি, চিরতা, বাসকই ছিল বেঁচে থাকার রসদ। সুস্থতার চাবিকাঠি। আটপৌরে লোকের মুখে ঘুরে ঘুরে বাসকের নাম পরিণত হয়েছিল 'বসায়।' বাসক শব্দটির অর্থ সুগন্ধকারক, যদিও তার সঙ্গে এই উদ্ভিতটির কোন সাযুজ্য খুঁজে পাওয় যায় না। তবে দুর্গন্ধনাশক চর্মশোধক হিসেবে এর ব্যবহার সেকালে বাংলাদেশে ছিল। এখনও মনোহারি দোকানে শুকনো বাসক পাতা বিক্রি হয়। ছোটখাটো দৈহিক কষ্ট লাঘবের জন্যই এর ব্যবহার স্বীকৃত।
কি করে চিনবেন
বাসক মাঝারি মাপের গাছ। গাঢ় সবুজ রঙের উদ্ভিদ এবং চেহারায় তেমন কোন বিশেষত্ব নেই। ৫-৬ ফুট পর্যনত্ম সাধারণত লম্বা হয় এবং বাংলাদেশের সর্বত্রই মেলে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ছোট ছোট সাদা ফুল ফোটে। অন্য এক প্রকার বাসক গাছও আছে যাতে হলদেটে লাল রঙের ফুল ধরে।
কি করে গাছ বসাবেন
বাসক গাছ ঔষধি বাজারে বা নার্সারিতেও পেতে পারেন। তবে এ গাছ দুর্লভ নয়। পাতা ইত্যাদি চেনা থাকলে সহজেই নিজে সংগ্রহ করে নেয়া সম্ভব। গাছ বসাতে সাধারণ দোঅাঁশ মাটি ব্যবহার করম্নন। একটু বড় মাপের টব নিন। পরীৰা করে নেবেন যাতে টবের তলদেশের কেন্দ্রের ফুটোটি বেশ বড় মাপের হয়। তলার দিকে সামান্য খোলামকুচি বসিয়ে টবটি দোঅাঁশ মাটি, গোবর এবং পাতাসারের মিশ্রণ দিয়ে ভরাট করম্নন। গাছের ডাল কেটে যদি বর্ষাকালে পুঁতে দিতে পারেন তাহলে সহজেই তা থেকে চারাগাছ হয়ে যাবে।


যত্ন


বাসক গাছ প্রায় অযত্নে লালিত গাছ। কেবল মনে করে রোজ বিকেলের দিকে একটু পানি দিতে হবে। লৰ্য রাখতে হবে যাতে টবের কানায় অর্থাৎ গাছের গোড়ায় পানি না জমে থাকে। রোদ, পানি, বাতাস ঠিকমত পেলে কিছুদিনের মধ্যেই বেশ ঝাঁকাল চেহারা নেবে বাসকগাছটি। তখন সামান্য ছেঁটে ছেঁটে ক্রমশ একটা দৃষ্টিনন্দন অবয়ব তৈরির চেষ্টা করা যেতে পারে।

ব্যবহার
বাসকের উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। এর মধ্যে একটি তো সবাই জানে। শিশুর পেটে কৃমি থাকলে বাসকের ছালের কাথ খাওয়ালে এর উগ্র তিক্ত স্বাদ কৃমি বের করে দেয়। যাদের হাঁপের টান আছে তারা বাসক পাতা শুকানো করে, ওই পাতা বিড়ি বা চুরম্নট জাতীয় পাকিয়ে তার সাহায্যে ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হয়। যাদের গায়ে ঘামের গন্ধ হয় তারা বাসক পাতার রস গায়ে লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে। এবার একটা কসমেটিক টিপস দিই-যারা বিধাতার দেয়া গায়ের রঙকে মন থেকে মেনে নিতে পারেন না, তারা রঙ ফর্সা করতে চাইলে বাসকই তার বন্ধু। বাসক পাতার রস ও দুটিপ শঙ্খচূর্ণ নিয়মিত মাখুন, বৈদ্যরা লিখে গেছেন রঙ ফর্সা হবেই।
আজকাল বড় সমস্যা পানি দূষণ। এমনকি অনেক বাজার চলতি ফিল্টারও নাকি পানিকে সম্পূর্ণ জীবাণু মুক্ত করতে পারে না। কী দরকার ফিল্টারের? এক কলসি পানিতে ৩-৪টি বাসক পাতা ফেলে ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সেই পানি ব্যবহার করলেই হলো। জীবাণু উধাও। শুনলে আশ্চর্য হবেন, এই কয়েক দশক আগে বসনত্মকালে সংক্রমণের আক্রমণ এড়াতে, পুকুরে পুকুরে জমিদারেরা বাসক পাতা ফেলতেন। বাসকের সাহায্যে পানি শুদ্ধিকরণ ছিল সমাজকল্যাণের অঙ্গ।


আমরম্নল

'আমরম্নল' আমাদের দেশে শাক নামেই পরিচিত। এটা লৌকিক নাম। মূল নাম হলো চাঙ্গেরি। মনে হয় মূল নামটি প্রাক-আর্য কোন শব্দ থেকে উৎপন্ন। বাংলাদেশের বহু গ্রামেই অজ্ঞাতে, অস্থানে আমরম্নল জন্মায়। মুখ্যত তিনটি প্রজাতির গাছই বেশি দেখা যায়।
কি করে চিনবেন
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই শাক জন্মায়। মাটির বুক বেয়ে ওঠে ছোট ছোট উদ্ভিদ, চেহারায় সরম্ন এবং লতানো। অনেক সময় শুষনি শাকের সঙ্গে গুলিয়ে যায়। শুষনির ডাঁটির মাথায় থাকে। দুটি পাতা, কিন্তু আমরম্নলের তিনটি। শুষনি স্বাদে টক নয়, কিন্তু আমরম্নল তিক্ত; কষায় স্বাদযুক্ত। ডাঁটাগুলো ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। চওড়ায় মোটা সুতোর মতো। ডাঁটার গোড়া থেকে ফুল বের হয়। ছোট হলুদ রঙের ফুল। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ফুল ও ফল হয়।
কি করে গাছ বসাবেন
আমরম্নল নেহাতই বুনো গাছ। প্রায়শই দেখা যায়, পোড়ো জমি ও বাড়ির আনাচে-কানাচে আমরম্নল ফলে আছে। ছোট ছোট যবের মতো ফল ধরে, যার ভেতরে থাকে বহুসংখ্যক বীজ। সেই বীজ ছড়িয়ে বা সরাসরি লতা বসিয়ে চওড়া, চ্যাটালো পাত্রে গাছ করম্নন। প্রচুর আলো- হাওয়াযুক্ত বারান্দায় হ্যাংগিং পস্ন্যান্ট হিসেবেও আমরম্নল রাখতে পাবেন। দেখতে ভালই লাগবে। আর সেরকম কোন যত্নেরই প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত পানিটুকু দিলেই হলো। আর মাটি জমি থেকে তুলে নিন।


ব্যবহার

বাচ্চাদের বুকে মাঝে মাঝেই এমনভাবে সর্দি বসে যায় যে বহু চেষ্টাতেও বুক পরিষ্কার হয় না। সঙ্গে যদি কাশিও থাকে, তবে একবেলা অথবা প্রয়োজনবোধে দুবেলা আমরম্নলের রস এক চা চামচ পরিমাণে সামান্য গরম করে শিশুকে খাওয়ালে দ্রম্নত উপকার পাওয়া যায়। বসা সর্দিও উঠে আসে। অনেকে অবশ্য সরষের তেলে আমরম্নলের রস মিশিয়ে গরম করে বা রোদে তাতিয়ে নিয়ে শিশুর বুকে-পিঠে মালিশ করেন। এটিও স্বীকৃত পন্থা। অনেক সময় কটিদেশে হাড়ের ব্যথা হয় সে ৰেত্রে আমরম্নল শাকের রস একটু গরম করে দুবেলা দু'চামচ করে খেলে দ্রম্নত উপকার পাওয়া যায়। তবে আমরম্নলের শ্রেষ্ঠ ব্যবহার অমস্নপিত্ত বা অম্বলের উপশমে।
টক ছুঁতে যারা ভয় পান, তারাও নির্ভয়ে আমরম্নল শাক খেতে পারেন, পেট সুস্থ রাখার এ এক আশ্চর্য দাওয়াই।

বাসকের ঔষধী গুণ:

তাজা অথবা শুকানো পাতা ওষুধের কাজে লাগে। বাসকের পাতায় “ভাসিসিন” নামীর ক্ষারীয় পদার্থ এবং তেল থাকে। শ্বাসনালীর লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে বলে বাসক শ্লেষ্মানাশক হিসেবে প্রসিদ্ধ । বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা ক’রে দেয় বলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহমূলক ব্যাধিতে বিশেষ উপকারী। তবে অধিক মাত্রায় খেলে বমি হয়, অন্তত: বমির ভাব বা নসিয়া হয়, অস্বস্তি হয়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় বাসকের ভেষজ গুণাবলি প্রমাণিত হয়েছে।
এর মূল, পাতা, ফুল, ছাল সবই ব্যবহার হয়।



প্রয়োগ:

১. বাসক পাতার রস ১-২ চামচ হাফ থেকে এক চামচ মধুসহ খেলে শিশুর সদির্কাশি উপকার পাওয়া যায়।
২. বাসক পাতার রস স্নানের আধ ঘন্টা আগে মাথায় কয়েকদিন মাখলে উকুন মরে যায়। আমবাত ও ব্রণশোথে (ফোঁড়ার প্রাথমিক অবস্থা) বাসক পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।
৩. যদি বুকে কফ জমে থাকে এবং তার জন্যে শ্বাসকষ্ট হলে বা কাশি হলে বাসক পাতার রস ১-২ চামচ এবং কন্টিকারীরস ১-২ চামচ, ১ চামচ মধুসহ খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।
৪. প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রনা থাকলে বাসকের ফুল বেটে ২-৩ চামচ মিছরি ১-২ চামচ সরবত করে খেলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
৫. জ্বর হলে বা অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫-১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মিলি লিটার জলে ফোটাতে হবে।
৬. ২৫ মিলি লিটার থাকতে নামিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে জ্বর এবং কাশি দুইই চলে যায়।
৭. বাসকের কচিপাতা ১০-১২ টি এক টুকরো হলুদ একসঙ্গে বেটে দাদ বা চুলকানিতে লাগলে কয়েকদিনের মধ্যে তা সেরে যায়।
৮. বাসকপাতা বা ফুলের রস ১-২ চামচ মধু বা চিনি ১চামচসহ প্রতিদিন খেলে জন্ডিস রেগে উপকার পাওয়া যায়।
৯. পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ২০ টি থেঁতো করে ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় কুলকুচি করলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।



ভেষজ দাওয়াই:

* শিশুর পেটে কৃমি থাকলে বাসকের ছালের ক্বাথ খাওয়ালে এর উগ্র তিক্ত স্বাদ কৃমি বের হয়ে যায়।
* যাদের হাঁপানির টান আছে তারা বাসক পাতা শুকনো করে, ওই পাতা বিড়ি বা চুরুটের মতো পাকিয়ে এর সাহায্যে ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হয়।
* যাদের গায়ে ঘামের গন্ধ হয় তারা বাসক পাতার রস গায়ে লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে।
*বাসকপাতার রস ও শঙ্খচূর্ণ মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রং ফরসা হবে।
* এক কলসি পানিতে তিন-চারটি বাসকপাতা ফেলে তিন-চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এরপর ব্যবহার করতে পারেন।
* পাতার রস নিয়মিত খেলে খিঁচুনি রোগ দূর হয়ে যায়।
* বাসক পাতার রস মাথায় লাগালের উকুন চলে যায়।
* বাসক পাতা বা ফুলের রস এক বা দুই চামচ মধু বা চিনি দিয়ে খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
* শরীরে দাদ থাকলে বাসক পাতার রস লাগালে ভালো হয়ে যায়।



অন্যান্য উপকারিতা:

বাসকের পাতা সবুজ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পাতা থেকে হলদে রং পাওয়া যায়। বাসক পাতায় এমন কিছু ক্ষারীয় পদার্থ আছে যায় ফলে ছত্রাক জন্মায় না এবং পোকামাকড় ধরে না বলে ফল প্যাকিং এবং সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। পাতায় কিছু দুর্গন্ধ আছে বলে পগুরা মুখ দেয় না। সেই কারণে চাষ আবাদের জন্য জমি উদ্ধারের কাজে বাসকের পাতা বিশেষ উপকারী।

ধন্যবাদ সবাইকে

Wednesday, April 27, 2022

হাইড্রোপনিক hydroponic অত্যাধুনিক চাষ পদ্ধতি


hydroponic অত্যাধুনিক চাষ পদ্ধতি


     হাইড্রোপনিক  (hydroponic) একটি অত্যাধুনিক চাষ পদ্ধতি


 হাইড্রোপনিক  (hydroponic) একটি অত্যাধুনিক চাষ পদ্ধতি। অত্যন্ত লাভজনক ফসলের ক্ষেত্রে, এই হাইড্রোপনিক পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে পানিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে ফসল উৎপাদন করে। ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলিতে যেখানে স্বাভাবিক চাষযোগ্য জমি দুষ্প্রাপ্য বা অস্তিত্বহীন, সেখানে ছাদে বা উঠান, পলি টানেল, নেট হাউসে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সবজি ও ফল উৎপাদন করা সম্ভব। ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া প্রভৃতি উন্নত বিশ্বে হাইড্রোপনিক কালচারের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে সবজি ও ফল উৎপাদন করা হচ্ছে। এভাবে সারা বছর শাক-সবজি ও ফল উৎপাদন করা সম্ভব এবং যেহেতু উৎপাদিত শাক-সবজি ও ফলমূলে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না, তাই এসব সবজি ও ফল নিরাপদ এবং বাজারমূল্য বেশি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বৃহৎ মাটিহীন স্টিল বা প্লাস্টিকের ট্রেতে পানিতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম, লেটুস, টমেটো, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং স্ট্রবেরি সফলভাবে উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। হাইড্রোপনিক্স চাষ করার দুটি উপায় আছে।



সঞ্চালন পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিক পরিমাণে মিশিয়ে একটি ট্যাঙ্কিটেনিয়া তৈরি করা হয় এবং পাম্প পাইপের মাধ্যমে ট্রেতে পুষ্টির দ্রবণ সঞ্চালনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করা হয়। প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পাম্পের সাহায্যে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। এই পদ্ধতিতে প্রথম বছরে ট্রে, পাম্প এবং পাইপের আনুষঙ্গিক খরচের জন্য একটু বেশি খরচ হয় কিন্তু পরের বছর থেকে শুধুমাত্র রাসায়নিক খাদ্য উপাদানের খরচ প্রয়োজন। ফলে ২য় বছর থেকে খরচ অনেকটাই কমে যাবে। নন-সঞ্চালন পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে একটি ট্রেতে পরিমিত পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে সরাসরি ফসল চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে খাদ্য সরবরাহের জন্য কোনো পাম্প বা পানি সরবরাহের প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে খাদ্যের মিশ্রণ এবং কর্কশিটের মধ্যে ২-৩ ইঞ্চি জায়গা রাখতে হবে এবং কর্কশিটে ৪-৫টি ছোট ছিদ্র করতে হবে যাতে বাতাস সহজে চলাচল করতে পারে এবং গাছ তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন স্থান থেকে সংগ্রহ করতে পারে। কর্কশীটের। করতে পারা



এই পুষ্টিগুলি সাধারণত ফসলের ধরণের উপর নির্ভর করে 2-3 বার ট্রেতে যোগ করতে হয়। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ প্লাস্টিকের বালতি, পানির বোতল, মাটির পাত্র ইত্যাদি ব্যবহার করে বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, খোলা জায়গায় কোনো প্রকার প্রচলন ছাড়াই সহজে সবজি চাষ করতে পারে। এটা অনেক কম খরচ হবে.



 হাইড্রোপনিক পদ্ধতির সুবিধা:- এই পদ্ধতিতে চাষযোগ্য জমির প্রয়োজন হয় না। - পদ্ধতিটি মাটিহীন চাষ পদ্ধতি হওয়ায় মাটিবাহিত রোগ ও কৃমি বাহিত রোগ হয় না। - পোকার উপদ্রব কম থাকায় এ পদ্ধতিতে কীটনাশকমুক্ত সবজি উৎপাদন করা যায়। - এভাবে ছোট ও বড় পরিসরে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করা যায়। - এটি আরও লাভজনক, লাভজনক এবং মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য বাড়িতে-খামারের জন্য একটি আদর্শ প্রযুক্তি। এই পদ্ধতিতে যেসব ফসল চাষ করা যায় সেগুলো হল: ক্রমিক নং। ফসলের ধরন ফসলের নাম 1 পাতার সবজি লেটুস, গিমা কলমি, ইংরেজি ধনে, বাঁধাকপি 2 ফল জাতীয় সবজি টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, শসা, তরমুজ, স্কোয়াশ 3 ফল। ফ্লাওয়ার অ্যান্থেরিয়াম, গাঁদা, গোলাপ, অর্কিড, জারবেরা, ক্রাইস্যান্থেমাম সঞ্চালন পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে গ্যালভানাইজিং লোহা তৈরির ট্রেগুলি একটি স্ট্যান্ডের উপর স্থাপন করা হয় এবং ট্রেগুলি প্লাস্টিকের পাইপ, এই ট্যাঙ্কের মাধ্যমে একটি ট্যাঙ্কের সাথে সংযুক্ত করা হয়। পাম্প থেকে, রাসায়নিক মিশ্রিত জলীয় খাদ্য দ্রবণ ট্রেতে বহন করা হয়।




গ্যালভানাইজিং আয়রন ট্রেতে কর্কের আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় দূরত্ব অনুযায়ী, গাছের প্রয়োজনীয় দূরত্ব যেমন লেটুস 20 × 20 সেমি টমেটো 50 × 40 সেমি এবং স্ট্রবেরি 30 × 30 সেমি। সেই গর্তে স্পঞ্জ দিয়ে উপযুক্ত বয়সের চারা বসাতে হবে। চারা রোপণের পর প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা জলীয় দ্রবণ পাম্পের সাহায্যে ট্যাঙ্ক থেকে ট্রেতে পাম্প করতে হবে। এটি গাছে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়। ট্রেতে সর্বদা কমপক্ষে 7-8 সেন্টিমিটার জল রাখুন। জলীয় দ্রবণ সাধারণত প্রতি 12-15 দিনে ট্রেতে যোগ করা হয়। এ পদ্ধতিতে সানজি উৎপাদনে পিএইচ ও ইসি মাত্রা ফসলের চাহিদার মধ্যে রাখতে হয়। সাধারণত হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে উৎপাদনের জন্য pH 5.6 - 6.5 এর মধ্যে রাখতে হয়।



যদি pH মাত্রা 7.0 এর উপরে হয়, তবে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম এবং অন্যান্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। PH কে NaOH বা KOH দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। EC এর সাথে আমরা জানি যে জলীয় দ্রবণে পুষ্টির উপস্থিতির স্বাভাবিক মাত্রা EC 1.5 - 2.5 ds/m এর মধ্যে রাখা উচিত। ইসির মাত্রা হলে 2.5। ds/m এর উপরে গেলে বিশুদ্ধ পানি যোগ করতে হবে। যদি EC 1.5 ds/m এর নিচে যায়, তাহলে Nutrient Solution যোগ করুন এবং EC লেভেল 1.5 এর উপরে রাখুন। প্রতিদিন সকালে ও বিকালে PH এবং EC মিটার দিয়ে চেক করে PH এবং EC সমন্বয় করতে হবে। নন-সঞ্চালন পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে ট্রে, প্লাস্টিকের বালতি, অব্যবহৃত বোতল ইত্যাদি ব্যবহার করে সবজি, ফল, ফুল উৎপাদন করা যায়।



ভালোভাবে পরিষ্কার করা বালতি, বোতল বা ট্রেতে উৎপাদিত চারা একই পদ্ধতিতে রোপণ করতে হবে। চারা রোপণের আগে বোতলটি এমনভাবে জলীয় দ্রবণে পূর্ণ করতে হবে যাতে কর্কসাইট এবং জলীয় দ্রবণের মধ্যে 5-6 সেন্টিমিটার ব্যবধান থাকে। তবে বালতি বা বোতলে চারা রোপণের ক্ষেত্রে বায়ু চলাচলের জন্য অতিরিক্ত ৩-৪টি ছিদ্র রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতে কোনো মোটর, পাম্প বা পাইপের প্রয়োজন নেই। ফলে যারা আগ্রহী তারা সহজেই বাড়ির আশপাশের খোলা জায়গায় যেতে পারেন



উদাহরণস্বরূপ, এই পদ্ধতিটি বারান্দা, বাড়ির ছাদ ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইড্রোপনিক পদ্ধতি ব্যবস্থাপনা: হাইড্রোপনিক পদ্ধতির সফলতা নির্ভর করে এর সঠিক ও উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার ওপর। একটি সফল হাইড্রোপনিক ফসল উৎপাদন করার জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে ফোকাস করতে হবে: সমস্যাগুলি হল: - PH এবং EC স্তরগুলি: সাধারণত PH স্তরগুলি 5.6-6.5 এবং EC স্তরগুলি 1.5-2.5 ds/m এর মধ্যে হওয়া উচিত৷ নির্দিষ্ট মাত্রার বাইরে গেলে গাছের শিকড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মনে রাখবেন, জলীয় খাদ্য দ্রবণের pH এবং EC দুর্ঘটনাক্রমে পরিবর্তন করা যায় না। - গাছের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা, অভাব বা আধিক্য গাছের পাতার স্বাস্থ্য ও রঙ দেখে বোঝা যায়। - দ্রবণের আদর্শ তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে। সাধারণত দ্রবণের তাপমাত্রা 25-300 সেন্টিগ্রেডের মধ্যে হওয়া উচিত। যদি দ্রবণের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি পায়।



অক্সিজেনের চাহিদাও নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে দ্রবণে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। সাধারণত বিকেলে তাপমাত্রা বাড়ে তাই এ সময় তাপমাত্রা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। - জলজ খাদ্য দ্রবণে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। অক্সিজেনের অভাবে গাছের শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। - চাষের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগমুক্ত চারা ব্যবহার করতে হবে। কোনো রোগাক্রান্ত গাছ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলতে হবে। - চাষকৃত ফসলে বিভিন্ন পোকামাকড় ও মাকড়সার আক্রমণ হতে পারে। তাদের মধ্যে এফিড, পাতার খনি, থ্রিপস এবং মাকড়সা রয়েছে। প্রতিদিনের তদারকির মাধ্যমে তাদের দমন করতে হবে। হাইড্রোপনিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা: - সমাধান প্রস্তুতি, দ্রবণের অম্লতা এবং ক্ষারত্ব বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা (EC), দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতির লক্ষণগুলি চিহ্নিত করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। - এই চাষ পদ্ধতিতে মাঝে মাঝে নেটহাউস বা গ্লাসহাউসের প্রয়োজন হয়, তাই প্রাথমিক খরচ একটু বেশি। এমনকি নেটহাউস বা গ্লাসহাউসের ভিতরে উচ্চ তাপমাত্রা কম ফলনের কারণ হতে পারে। - এই পদ্ধতিতে সব ধরনের ফসল চাষ করা যায় না এবং এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে বিশেষ জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। ইনস্টলেশন নির্মাণ কৌশল: হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত গ্রিন হাউস, প্লাস্টিক হাউস, ফিনাইল হাউসে এ পদ্ধতিতে স্থাপনায় চাষ করা হয়। গ্রীন হাউসের মাধ্যমে আমরা বছরের যে কোন সময় উৎপাদন করতে পারি। গ্রিনহাউস ছাড়াও আমরা প্লাস্টিকের ঘর বা ভিনাইল হাউস চাষ করতে পারি। স্বল্প পরিসরে আমরা বাড়ির ছাদে, বারান্দায় বা অন্য খোলা জায়গায় এই পদ্ধতিতে চাষ করতে পারি। তবে গ্রিন হাউস, গ্লাস হাউসের খরচ তুলনামূলক বেশি। তবে মাঠ ফসলের তুলনায় উৎপাদিত ফসলের মান অনেক ভালো। স্টিলের ট্রে, প্লাস্টিকের বালতি, প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি হাইড্রোপনিক ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, ইনস্টলেশনটি উত্পাদন পদ্ধতির উপর নির্ভর করে করতে হবে। ইস্পাত ট্রে উভয় পরিবাহী এবং নন-পরিবাহী মোডে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি স্টিলের ট্রে ব্যবহার করার আগে, ট্রেটির মাঝখানে সাদা রঙ দিয়ে আঁকা ভাল।



ফলে রাসায়নিক দ্রবণ সরাসরি ধাতুতে আনা যায় না। কোনো অবস্থাতেই মরিচা পড়া স্টিলের ট্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। ট্রে একটি কাঠের বা লোহার বেঞ্চে স্থাপন করা যেতে পারে। অনেক সময় 2-3টি ট্রে কাঠের বেঞ্চের তাকগুলিতে রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শেলফের গাছের আকার ছোট হবে অর্থাৎ সব গাছ যেমন স্ট্রবেরি, লেটুস, ক্যাপসিকাম ইত্যাদির নিচে এবং মাঝখানে এবং উপরে শসা, টমেটো ইত্যাদি লাগানো যেতে পারে। উল্লম্ব চাষের জন্য কম জায়গায় পাওয়া যাবে। সাধারণত নন-সঞ্চালন এবং সঞ্চালন পদ্ধতিতে এইভাবে ট্রে স্থাপন করে ফসল ফলানো সম্ভব। স্টিলের ট্রে সাধারণত 18-24 গেজ গ্যালভানাইজিং সিট সহ স্টিলের ট্রে দিয়ে তৈরি। ট্রে সাধারণত 3 মিটার লম্বা এবং 90 সেমি চওড়া হওয়া উচিত। সঞ্চালনের জন্য ট্রেতে কোনও ধরণের শীট ব্যবহার করার দরকার নেই। কিন্তু নন-পরিবাহী পদ্ধতির জন্য, লোহার পাত ট্রের উপর থেকে 5 সেমি দূরে রাখতে হয়। এই শীটে একটি কর্ক সীট থাকবে এবং জলীয় দ্রবণ এই দণ্ডে স্থাপিত কর্ক সিটের 5 সেন্টিমিটার নীচে থাকবে। ট্রেটি একটি লোহা বা কাঠের ফ্রেমের উপর স্থাপন করা উচিত। কন্ডিশনিং পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে প্লাস্টিক/জিটি পাইপের মাধ্যমে ট্রেটিকে একটি ট্যাঙ্কের সাথে সংযুক্ত করা হয়। 



প্লাস্টিকের বালতি/প্লাস্টিকের বোতল সাধারণত 10 লিটার আকারের প্লাস্টিকের বালতি এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়। তবে বড় বালতিতে একাধিক চারা রোপণ করা যায়। অনেক সময় 5 l/2 l ব্যবহৃত তেল বা পানির বোতল এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্লাস্টিকের বোতলের ক্ষেত্রে, বাতাস চলাচলের সুবিধার্থে বোতলের উপরের অংশে 4-5টি ছোট গর্ত করতে হবে। বোতল নিউজপ্রিন্ট দিয়ে মোড়ানো উচিত। অন্যথায় শিকড়ের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাইড্রোপনিক বীজ উৎপাদন কৌশল: হাইড্রোপনিক সবজি উৎপাদনের জন্য ভালো বীজ এবং সুস্থ চারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতিতে উদ্যানজাত ফসল উৎপাদন করতে হলে মাটিতে নয়, হাইড্রোপনিক মিডিয়ায় চারা উৎপাদন করতে হবে। চাবিকাঠি হল মানসম্পন্ন বীজ এবং জীবাণুমুক্ত উৎপাদন মাধ্যম ব্যবহার করে ফসলকে বীজ এবং মাটি বাহিত রোগ থেকে রক্ষা করা, সঠিক পরিমাণে পানি, তাপমাত্রা এবং আলো সরবরাহ করা। স্পঞ্জগুলি প্রধানত হাইড্রোপনিক চারা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। অঙ্কুরোদগমের ৫-৬ দিন পর স্পঞ্জে চারা রোপণ করতে হবে। বীজ অঙ্কুরোদগম এবং চারা উৎপাদন: লেটুস, ফুলকপি ইত্যাদির মতো খুব ছোট সবজির বীজ বপনের আগে, অঙ্কুরোদগমের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি অনুসরণ করা হয়: 1) রেটিং পেপার দিয়ে পেট্রিডিসে বীজ ভিজিয়ে রাখুন। 2) ছোট ট্রেতে বালি নিন এবং তাতে বীজ ভিজিয়ে রাখুন। 3) নারকেলের খোসা ভালো করে পিষে পরিষ্কার করার পর একটি ছোট ট্রেতে নিয়ে তাতে বীজ ভিজিয়ে রাখুন। অঙ্কুরোদগমের জন্য তাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে তারা পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস পায়। মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় পানি দিন। বীজ বপনের আগে 10% ক্যালসিয়াম বা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড দিয়ে শোধন করা উচিত। প্রথমে বড় স্পঞ্জটিকে 30 সেমি x 30 সেমি আকারে কাটতে হবে।


এই স্পঞ্জটিকে 2.5 সেন্টিমিটার লম্বা এবং 2.5 সেমি চওড়া স্কোয়ারে কাটতে হবে, বিন্দু দিয়ে কেটে 1 সেমি মাঝখানে কেটে ফেলতে হবে এবং প্রতিটি বর্গাকার স্পঞ্জে 1টি বীজ বপন করতে হবে বা চারা রোপণ করতে হবে। বীজ বপনের পর স্পঞ্জটিকে তার নিজের মাপের চেয়ে বড় ট্রেতে রাখতে হবে। এই ট্রেতে 5-6 সেন্টিমিটার জল থাকতে হবে যাতে স্পঞ্জটি জলে সহজে ভাসতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে চারা গজানোর 2-3 দিন পর একবার 5-10 মিলি ফিডিং দ্রবণ এবং চারা গজানোর 10-12 দিন পর থেকে চারা রোপণ পর্যন্ত প্রতিদিন 10-12 মিলি দ্রবণ যোগ করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট বয়সের চারা ফোম ব্লক দিয়ে আলাদাভাবে কেটে মূল ট্রেতে স্থানান্তর করতে হবে। রাসায়নিক দ্রবণের পরিমাণ এবং প্রস্তুতির পদ্ধতি: জলীয় খাদ্য দ্রবণ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রবণ তৈরির পরিমাণ এবং পদ্ধতি নীচে বর্ণনা করা হয়েছে: সারণী 1. পানিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিকের পরিমাণ (প্রতি 100 লিটার পানির জন্য) ক্রমিক নং রাসায়নিক উপাদান পরিমাণ 1 পটাসিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট (KH2PO4) 26.0 2 পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO3) 56.0 3 ক্যালসিয়াম নাইট্রেট Ca (NO3) 2.4H2O 100 ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4.7H2O) 51.0.6M6M6 ম্যানইউএসও4. ম্যানইউ 51.0 বোরোনসিএসিড (H3BO3) 0.17 ৮ কপার সালফেট (CuSO4.5H) 049 অ্যামোনিয়াম মোলিবেটেড (NH4) 6MO7O24.4H2O 0.037 10 জিঙ্ক সালফেট (ZnSO4.7H2O) 0.044 মিশ্রন প্রক্রিয়া খাদ্য তৈরির সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। প্রথমে আপনাকে স্টক সলিউশন তৈরি করতে হবে। এই স্টকটি তৈরি করার সময়, ক্যালসিয়াম নাইট্রেট এবং EDTA আয়রন পরিমাপ করুন এবং 1 লিটার জলে দ্রবীভূত করুন এবং দ্রবণটির নাম স্টকসলিউশন "A" রাখুন। অবশিষ্ট রাসায়নিকগুলিকে একবারে 1 লিটার জলে দ্রবীভূত করা উচিত এবং স্টকসলিউশন "B" নাম দেওয়া হয়েছে। 100 লিটার জলীয় দ্রবণ তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে 100 লিটার জল ট্যাঙ্কে নিতে হবে।


তারপর ট্যাঙ্কের জলে স্টকসলিউশন "A" থেকে 1 লিটার দ্রবণ ঢেলে দিন এবং একটি নন-মেটালিক রড দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। তারপর আগের মতো একই 1 লিটার ট্যাঙ্কে স্টকসলিউশন “বি” নিন এবং স্টকসলিউশনটি আগের মতো অধাতুর রডের সাহায্যে সমানভাবে পানির সাথে মিশ্রিত করুন। হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফসলের চারার বয়স ও পিএইচ মান ভিন্ন হয়: হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফসলের চারার বয়স ও পিএইচ মাত্রা ভিন্ন হয়। এটি নীচের সারণী 2 এ উল্লেখ করা হয়েছে: 5.5-6.5 লেটুস 2-3 সপ্তাহ 6.0-8.5 ক্যাপসিকাম / মরিচ 4-5 সপ্তাহ 6.0-6.5 স্ট্রবেরি 2-3 সপ্তাহ (স্টোলন কাটিং) 5.5-6.5 শসা শসা 2-6-3 সপ্তাহ। বাধা কপি / ফুলকপি 4-5 সপ্তাহ 7.5-6.5 যদি PH মাত্রা পছন্দসই মাত্রার চেয়ে বেশি হয় তবে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বা নাইট্রিক অ্যাসিড যোগ করে PH কমাতে হবে। দ্রবণের pH মাত্রা কমে যায় তবে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড যোগ করতে হবে।



ধন্যবাদ সকল কে



Sunday, April 24, 2022

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানের অভাব জনিত লক্ষন

উদ্ভিদের  পুষ্টি  উপাদানের অভাব জনিত লক্ষন



 নাইট্রোজেনের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
২.দানাজাতীয় শস্যের কুশি কম হয়।
৩.ঘাটতি প্রকট হলে পুরাতন পাতা বাদামী হয়।
৪.গাছের গোড়ার পাতা প্রথমে হালকা সবুজ রঙ ধারণ করে।
৫.উদ্ভিদের সাধারণ শকরা তৈরি ক্ষমতা কমে যায় পরে আস্তে আস্তে হ্লুদ হয়ে যায়।
৬.গাছের পাতা আগাম ঝরে যায় ফলে গাছ বাড়তে পারেনা।
৭.চিকন ও খাটো কুড়ি দেখা যায় ফলে ছোট ও অসাভাবিক হয়,বীজের আকার ছোট হয়।
৮.নিদিষ্ট সময়ের আগেই গাছের পরিপক্কতা আসে।
৯.নাইট্রোজেনের অভাবে গাছের শিকড়ের বিস্মৃতি কমে যায়।
১০.লতা জাতীয় গাছ কুকড়িয়ে যায়।

ফসফরাসের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.ফসফরাসের অভাবে ফসল পাকতে দেরি হয়।
২.ফুল ফল ও বীজ উৎপাদন কম হয়।
৩.গাছের শিকড় বৃদ্ধি কম হয়।
৪.প্রথমে গাছের পাতা অতিরিক্ত সবুজ হয়।
৫.ফুল ফলের গঠন আকার নষ্ট হয়।
৬.এর পরে গাছের মুল বৃদ্ধি ব্যহত হয়।
৭.শিমজাতীয় উদ্ভিদের ফুলে পুষ্টি কমে যায়।
৮.পুরাতন গাছের পাতা কমলা রঙ হয়।
৯.পত্রফলকের প্রান্ত নীচের দিকে বেকে যায়।
১০.গাছের পাতা কম হয় ফল ঝরে যায়।

পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষনঃ-

১.গাছের পাতার অন্তঃশিরার এলাকায় ফ্যকাশে দেখা যায়।
২.গাছের পাতা ও ফল ঝরে যায়।
৩.গাছের নীচের দিকের কিনারা পুড়ে যায়।
৪.শস্য গাছের পাতা ছোট হয়ে যায়।
৫.গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয় কুশি কমে যায়।
৬.উদ্ভিদের বাড়ন্ত অংশ এর বৃদ্ধি কমে যায়।
৭.দানাজাতীয় ফসলের পরিপক্কতা বিলম্বিত হয়।
৮.রোগ পোকার আক্রমনের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়
৯.দানাদার ফসল সহজে হেলে পড়ে।
১০.পটাশ সারের অভাবে গাছের পাতা পুড়ে যাওয়ার মত হয়।

ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.পাতার কিনারা শিরা হলুদ ও বাদামী হয়।
২.গাছ বেটে হয়ে যায়।
৩.গাছের কুড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
৪.শাখার অগ্রভাগের পাতা কুকড়িয়ে যায়।
৫.শিমজাতীয় ফসলের বৃদ্ধি ব্যহত হয়।
৬.ফল ও ফুলের কড়ি অসময়ে ঝরে যায়।
৭.পাতায় ছোপ ছোপ দাগ পড়ে।
৮.বীজ পরিপক্ক হয় না।
৯.মুল ও শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যহত হয়।

ম্যগনেসিয়ামের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.গাছের শাখা ও পাতার বোটা সরু হয়।
২.তুলা গাছে ফিকে গোলাপী হতে লাল ধরনের সবুজ শিরাযুক্ত পাতা দেখা যায়।
৩.সরিষা গাছের পাতার ঘন কমলা ও রঙ দেখা যেতে পারে।
৪.তামাক ও শিমগাছের পাতায় পচন ধরে।
৫.গাছ জন্মের প্রথম দিকে পাতা ঝরে যায়।
৬.গাছের পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
৭.তেলবীজ ফসলের বীজের তেলের পরিমান কমে যায়।

সালফার বা গন্ধকের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.গাছের পাতা ধুসর ও বাদামী হয়।
২.গাছ বেটে ও খাটো হয় ও পচন ধরে।
৩.গাছের বৃদ্ধি ও কুশি কমে যায়।
৪.তেল জাতীয় ফসলে তেলের পরিমান কমে যায়।
৫.ধান গাছের নতুন পাতা হলুদ হয়ে যায়।
৬.লেবু জাতীয় ফসলের সাদা পাতা বের হয়।
৭.কান্ড কালো হয় ওপরিপক্কতা দেরিতে হয়।
৮.ধানে চিটা হয় ফলন কমে যায়।
৯.টমেটোর পাতা হালকা সবুজ হয়।

লোহের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.পাতার সবুজ কনিকা সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে।
২.ফ্যাকাসে ভাব সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
৩.বেশি অভাব হলে পাতা সাদা হয়।
৪.সয়াবিন,কমলালেবু সবজি জাতীয় পাতায় পচন হয়।
৫.গাছের কচি পাতার মাঝখানে পচন ধরে।
৬.বীজতলায় ধানের কচি পাতা হলুদ হয়।
৭. ফল ও গাছের পাতায় বাদামী দাগ দেখা যায়।
৮.উদ্ভিদ আকারে ছোট হয়।

ক্লোরিনের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.টমেটোর গাছের পাতার রঙ হলুদ হয়।
২.ঘাটতি বেশি হলে পাতা পুড়ে যাওয়ার মত দেখা যায়
৩.গাছের পাতা নেতিয়ে পড়ে।

দস্তার অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.তামাক গাছের পুরানো পাতায় দাগ পড়ে।
২.কচি পাতার গোড়া সাদা হয় ধানের ক্ষেত্রে।
৩.গাছের বাড়ন্ত অংশে বৃদ্ধির হার কমে যায়।
৪.লেবু গাছের পাতা কোকড়ানো দেখা যায়।
৫.গাছের পাতায় আগাম বাদামী দাগ দেখা যায়।
৬.ভুট্রার পাতার শিরার মাঝে পচন দেখাযায়।
৭.জমিতে চারার বাড়তি সমান হয়না।
৮.গাছের পাতা কমে যায়।পাতার আকার ছোট হয়।কোন সময় পাতার কিনারা কুকড়িয়ে যায়।
৯.উদ্ভিদের পব্যমধ্য খাটো হয়।
১০.মুলত কান্ডের অগ্রভাগ শুকিয়ে যায়।

ম্যাজ্ঞনিজের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.গাছের ফুল ও ফল ধরতে দেরি হয়।
২.গাছে নানারকম রোগ দেখা যায়।
৩.কোন গাছ বামন/খাটো হয়।
৪.পাতার রঙ জলে যায় হলদে ও বাদামী রং দেখা যায়।
৫.আগার পাতা অধিক সবুজ দেখা যায়।
৬.শিমের পাতা হ্লুদ হয় পাতার শিরা পুষ্ট হয়।
৭.গমে ক্লোরসিস ও যবের পাতায় বাদামী দাগ দেখা যায়।

মলিবডেনাম এর অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১. শিমজাতীয় গাছ হলদে ও বামন আকারের হয়।
২.অনেক গাছের পাতা ফ্যাকাশে দেখা যায়।
৩.ফুলকপিতে হুইপ টেইলর রোগ দেখা যায়।
৪.এর অভাবে পাতা ও গাছ লম্বাটে ও চাবুকের মতহয়।
৫.পুরাতন পাতা কুকড়িয়ে যায় ও হলুদ হয়।
৬.গাছের পাতা আকারে ছোট হয়।
৭.অভাব তীব্র হলে পাতা ঝরে পড়ে।

তামার অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১.তামাক গাছ দুবল হয়ে ঝরে পরে।
২. লেবু ভুট্রা ও পেয়ারা গাছে ডাইব্যাক রোগ দেখা যায়
৩.গাছ উপরের দিক থেকে আস্তে আস্তে মরে আসতে থাকে।
৪.গমের নতুন পাতায় পাডু রোগ দেখা যায়।
৫.ভুট্রার পাতার আগা হলুদ হয়।
৬.শিমজাতীয় ফসলে শিকড় কমে যায় ফুল আসার আগে মারা যায়।

বোরনের অভাব জনিত লক্ষনঃ-

১. পরাগায়ন অসম্পূর্ণ থাকে বলে ফুল ও ফল ছোট ও বাকানো হয়।
২. শিমের মধ্যভাগ পচে কালচে হয়।
৩.লেবু শক্ত ও পেপে ফ্যাকাসে হয়।
৪.ফুলকপির মাঝখানে বাদামী রঙ দেখা যায়।
৫.তামাকের উপরি শিরা পচে যায়।
৬.শিমজাতীয় গাছে গুটি কমে যায়।
৭.অনেক গাছের আগার পাতা বিকত হয়।
৮.শিকড় গুটির আকার হয় ফলে নাইট্রোজেন মাটিতে কম আবদ্ধ হয়।
৯.গাছের কান্ড, গুড়ি ও শিকড়ের বাড়তি কমে যায়।
১০. গাছের মুল ও কান্ডের অগ্রভাগ নিজের কাজ থেকে গুটিয়ে নেয়।
১১.বেগুনের ফলের ছাল ফেটে যায়।
১২.আখসহ বিভিন্ন উদ্ভিদের পব্যমধ্য খাটো হয়।


Wednesday, April 20, 2022

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

 


কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা



 কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিত

১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ

কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অনেক বেশি গুনে ভিটামিন-সি বৃদ্ধমান আছে। এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা ও কাচা আমে বেশি রয়েছে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে এই কাঁচা আম।

২) স্ট্রকের সমস্যাঃ

কাঁচা আম স্ট্রকের সমস্যা দূর করে। কাঁচা এর সাথে চিনি,জিরা,লবন এগুলা মিশিয়ে খেলে স্ট্রক এর ঝুকি অনেক গুন কমে যায়। ও ঘামাচি ও রোধ হয়।

৩) ঘাম কমায়ঃ

কাঁচা আম এর জুস খেলে ঘাম কমে যায়। যাদের অতিরিক্ত ঘাম হয়ে থাকে,তারা এই কাঁচা আমের জুস খেলে অনেক গুন কমে যায় ঘাম।

৪) এনার্জি প্রদান করেঃ

কাঁচা আম প্রচুর এনার্জি প্রদান করে থাকে। যাদের শরীরে এনার্জির মাত্রা কম তারা প্রচুর কাঁচা আম খেতে পারেন।

৫) লিভারের সমস্যায়ঃ

লিভার  এর সমস্যদূর করতে  কার্যকারী হলো এই কাঁচা আম। লিভার ভাল রাখর জন্য  কাঁচা আম প্রচুর ভুমিকা পালন করে থাকে।

৬) মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ করেঃ

কাঁচা আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে,যা মাড়ির রক্ত পড়া সমস্যা ভাল ভুমিকা রাখে। আমাদের সবার কাঁচা আম খেতে হবে।

৭) ওজন কমায়ঃ

কাঁচা আম এ চিনির পরিমান কম থাকে,যার ফলে ওজন কমাতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে। ক্যালরি খরচে সাহায্য করে এই কাঁচা আম।

৮) পেটের সমস্যাঃ

কাঁচা আম পেটের সমস্যা দূর করে থাকে।অনেক সময় আমাদের পেটের সমস্যা হয়ে থাকে। ডায়রিয়া, আমাশয়,বদহজম এই সমস্ত সমস্যায় কাঁচা আম খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

৯) পানির ঘাটতি রোধ করেঃ

 গরম এর সমায়ে  আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমান পানির ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে ৷ কাঁচা আম খেলে আমাদের শরীরের  পানির ঘাটতি অনেকটা কমে যায়। আমরা অনেক সমায় বেশি গরম লাগলে কাচা   টক আম খেয়ে থাকি।

১০) এসিডিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেঃ

আমর অনেক সমায়  এসিডিটি সমস্যায় ভুগে থাকি  আর যাদের এই সমস্যা আছে তারা কাঁচা আম খেতে পারেন ভালো  উপকার পাবেন।

১১) যকৃতের জন্যঃ

কাঁচা আমে প্রচুর পরিমান আয়রন বৃদ্ধমান থাকে।যা যকৃতের স্বাস্থ রক্ষায় প্রচুর পরিমান ভুমিকা পালন করে।

১২) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ

কাঁচা আম হলো ফাইবার সমৃদ্ধ। যাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে,তারা কাঁচা আম খেলে ভাল ফল পাবেন।

১৩) ভিটামিন-সি বৃদ্ধমানঃ

কাঁচা আমে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-সি বৃদ্ধমান রয়েছে। ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পুরন করে থাকে এই কাঁচা আম।

 বর্তমান আমের সমায় এ সময় চাইলে আমরা কাঁচা আম খেতে পারি। তাছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টি  আম আছে যা কাঁচা খেতেও  নারিকেল এর মতো লাগে। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমানে রয়েছে কাঁচা আমে।


ধন্যবাদ সকলকে. ভালো থাকবেন

Tuesday, April 19, 2022

নিজে কৃষি কাজ করছি

 ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি বাবা কৃষিকাজ করেন।

নতুন চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ।



 পড়ালেখা শেষ করার পর এই কাজে আসতে আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমার বাবা। বাবা বলেন, চাকুরি করে তুমি একটা নির্দিষ্ট বেতন পাবে, কিন্তু কৃষি কাজে তুমি নিজে তো স্বাবলম্বী হবেই, সাথে অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবে।এতে তোমার জীবনটি উপভোগ্য হয়ে উঠবে। বাবার অনুপ্রেরণা হয়ে গেলাম কৃষক। এখন আমার ৩০ বিঘা জমিতে রয়েছে 

বিভিন্ন ধরনের চাষ। আমার  এই কৃষির প্রতি ভালোবসাকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

পেয়ারা থেকে মালটা, কাগজি লেবু, পেপে, ভুট্টা,  আম,থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ। এক জায়গায় এগুলো নেই। যেখানে নিজের  জমি আছে  সেখানেই চাষবাস শুরু করেছি।বর্তমান আধুনিক চাষ শুরু করে সফল হয়েছি।

 আমার সাথে অনেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ফেসবুকে যোগাযোগ করে। তারাও অনেকে চাষে যুক্ত হয়েছে। আমার দেখাদেখি অনেক শিক্ষিত বেকার প্রায় প্রতিদিনই আমার বাগানগুলো দেখতে আসছেন। আমার থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।


 নিজে কৃষি কাজ করছি পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের নতুন চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। আমি মনে করি আমার  মত শিক্ষিত যুবকরা যদি চাকুরির পিছে না ছুটে নিজেদের মেধাটাকে কৃষি কাজে লাগায় তবে এ দেশের কৃষি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।ইনশাআল্লাহ


 এস এম সোনা মিয়া ফেসবুকে 

মাছ চাষে বর্ষাকালে যেসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়

 

মাছ চাষে বর্ষাকালে যেসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়

বৃষ্টির দিনে তথা বর্ষাকালে মাছ চাষে যেসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় তা নিচে দেওয়া হল-  


১। বৃষ্টির দিনে মাছ চাষে মাছের খাদ্য প্রয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই সময়ে মাছের পুকুরে খাদ্য দেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। আর যদি প্রয়োজন হয় তাহলে খুব অল্প পরিমান খাদ্য মাছের পুকুরে প্রদান করতে হবে। বৃষ্টির দিনে বেশি পরিমান খাদ্য পুকুরে প্রদান করতে সেই খাদ্য পচে গিয়ে মাছের পুকুরে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে। যা মাছ চাষের জন্য বেশ হুমকিদায়ক।


২। বৃষ্টির দিনে মাছ চাষ করা পুকুরে যাতে কোনভাবেই বাইরের ময়লা পানি প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। বৃষ্টির সময় পুকুরে ময়লাযুক্ত পানি প্রবেশ করলে তা মাছ চাষে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


৩। বৃষ্টির দিনে মাছ চাষ করা পুকুর পাড় এমভাবে বাঁধতে হবে যাতে পুকুর থেকে কোন মাছ বের হয়ে যেতে না পারে। বৃষ্টির সময় পুকুর থেকে মাছ বের হয়ে গেলে মাছ চাষে লোকসান হয়ে থাকে। তাই যাতে মাছ কোনভাবেই বের না হতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে পুকুর পাড়ের চারদিকে জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে দিতে হবে।


৪। বৃষ্টির সময়ে মাছ চাষের পুকুরে বাইরে থেকে কোন রাক্ষুসে মাছ যাতে পুকুরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। পুকুরে কোনভাবেই রাক্ষুসে মাছ প্রবেশ করলে তা চাষ করা মাছের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। তাই মাছ চাষের পুকুরে রাক্ষুসে মাছের প্রবেশ রোধ করতে হবে।


৫। বৃষ্টির দিনে পুকুরের পানির পিএইচ মানের পরিবর্তন হতে পারে সেজন্য বৃষ্টির পর পানির পিএইচ পরিক্ষা করে প্রয়োজনমতো চুন প্রয়োগ করতে হবে।


৬। অতি বৃষ্টির কারণে মাছ চাষের পুকুরে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিতে পারে। যদি কোন কারণে মাছের পুকুরে অক্সিজেনে সংকট দেখা দেয় তাহলে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে এয়ারেটর কিংবা অক্সিজেন ট্যাবলেটের দিয়ে পুকুরে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে।

Saturday, April 16, 2022

গুটি ইউরিয়া

গুটি ইউরিয়া

গুটি ইউরিয়া


 মাটির গভীরে সারপ্রয়োগ প্রযুক্তি মূলত ছিটিয়ে ইউরিয়া ব্যবহারের পরিবর্তে অত্যন্ত কার্যকর বিকল্প পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মর্মকথা হচ্ছে মাটির ৩-৪ ইঞ্চি গভীরে সার (গুটি ইউরিয়া) প্রয়োগ, যার মাধ্যমে সার সাশ্রয় হয় ও ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়।


1.গুটিইউরিয়া : গুটি ইউরিয়া কোনো নতুন সার নয়। এটি গুঁড়া ইউরিয়া সারেরই রূপান্তর। বাংলাদেশেই উদ্ভাবিত
2.ব্রিকেট মেশিনের মাধ্যমে গুটি ইউরিয়া সহজেই তৈরি করা যায়।
3.বর্তমানে বাংলাদেশে দুই সাইজের গুটি ইউরিয়া তৈরি করা হয়।
আউশ ও আমন মৌসুমের জন্য ১.৮ গ্রাম এবং
বোরো মৌসুমের জন্য ২.৭ গ্রাম ওজনের গুটি।
4গুটি ইউরিয়ায় গুঁড়া ইউরিয়ার মতোই ৪৬ ভাগ নাইট্রোজেন বিদ্যমান।

গুটি ইউরিয়া ব্যবহার কেন লাভজনক :

গুটি ইউরিয়া বাজারে প্রচলিত গুঁড়া ইউরিয়ার তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক। কারণ গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে ধানের ফলন ১৫-২৫% বৃদ্ধি পায়, ইউরিয়া সার তিন ভাগের এক ভাগ লাগে তথা ২০-২৫% খরচ সাশ্রয় হয় এবং আগাছা দমনের খরচ ৩০-৫০% ভাগ কমে যায়।

এক হেক্টর জমিতে গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে ধানের ফলন অন্তত ১০০০ কেজি বাড়ে। অর্থাৎ কৃষক অতিরিক্ত ফলনের মাধ্যমে বাড়তি ১৫০০০ টাকা (প্রতি কেজি ধান ১৫ টাকা করে) আয় করতে পারবে।

গুটি ইউরিয়া একবার প্রয়োগ করলেই চলে, ধান পাকা পর্যন্ত আর প্রয়োগ করতে হয় না। গুটি ইউরিয়া ব্যবহৃত জমিতে ঘাস বা আগাছা কম হয়। খড়ে পুষ্টিমান বেশি থাকে। পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের উপদ্রব কম হয়।
গুটি ইউরিয়া গুঁড়া ইউরিয়ার মতো তিনভাবে অপচয় হয় না। অর্থাৎ বাতাসে উবে যায় না, মাটির গভীরে চুইয়ে অপচয় হয় না এবং পানির সাথে বিলে বা নদী-নালায় চলে যায় না। ফলে পরিবেশ ভালো থাকে। সার কম লাগে বিধায় ভরা মৌসুমে সারের অভাব থাকে না। ইউরিয়া সার ২০-২৫% কম লাগে এবং ধানের ফলন ১৫-২৫% বৃদ্ধি পায়। কৃষক লাভবান হয়।


প্রয়োগ_পদ্ধতি
গুটি ইউরিয়া ব্যবহারের পূর্বশর্ত হচ্ছে লাইনে চারা রোপণ। চারা রোপণের ৭ দিনের মধ্যে মাটি শক্ত হওয়ার আগে জমিতে ২-৩ সেমি. পানি থাকা অবস্থায় গুটি ইউরিয়া মাটির ৩-৪ ইঞ্চি নিচে প্রয়োগ করতে হয়। জমিতে ২০×২০ সেমি. (৮×৮ ) দূরত্বে লাইন থেকে লাইন এবং চারা থেকে চারার দূরত্বে ধানের চারা বোপণ করতে হবে। এরপর প্রতি চার গোছার মাঝখানে একটি করে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। গুটি ইউরিয়া হাতেও প্রয়োগ করা যায়। তাছাড়া বারি (BARI) ও আইএফডিসি উদ্ভাবিত প্রয়োগ যন্ত্র (Applicator) দিয়েও প্রয়োগ করা যায়।

অধিক ফলন লাভে করণীয় : গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে অধিক ফলন পেতে হলে অন্যান্য যা করণীয় তা হচ্ছে ভালো জাতের ফলন সম্পন্ন বীজ ব্যবহার, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার, সময়মতো সেচ প্রয়োগ, বেলে মাটিতে ব্যবহার না করা, সময়মতো পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন।

ধন্যবাদ সবাইকে

Thursday, April 14, 2022

টবে শশা চাষাবাদ পদ্ধতি

টবে শশা চাষাবাদ পদ্ধতি।

 টবে শশা চাষাবাদ পদ্ধতি।

শসা একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্মকালীন সবজি। শশার বৈজ্ঞানিক নাম Cucumis sativus। এটি কিউকারবিটাসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। শশা শুধুমাত্র  সালাতে নয় সবজি হিসাবেও খাওয়া হয়। শশার উপাদানের ৮০ শতাংশ পানি থাকে। আমাদের দেশে শশা সালাদের  তালিকার প্রথমে রাখা হয়ে থাকে। এছাড়াও শশা রূপ চর্চার জন্যেও ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নেই টবে শশা চাষাবাদ পদ্ধতি।


মাটি তৈরি:

শশা উৎপাদণের জন্য উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটি উত্তম। দুই ভাগ মাটি  আর একভাগ পচাঁ গোবর বা ভাল মানের কম্পোষ্ট সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে এই মিশ্রণের সাথে সামান্য ছাঁই মেশাতে পারেন। টবে সফলভাবে ফলন পেতে হলে পর্যাপ্ত জৈব সার দিতে হবে। রাসায়ানিক সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে গাছের প্রয়োজন অনুযায়ী করা প্রয়োগ করা যেতে পারে।

টবে শশা চাষাবাদ পদ্ধতি।


টবের সাইজ:

ড্রামে বা টবে শসা চাষ করলে সর্বনিম্ন টবের সাইজ ১২”×১২” হতে হবে। এরকম একটি টবে ১-২ টি চাড়া রোপণ করা যাবে।

শশা চাষের সময়:

শশা চাষের উপযুক্ত সময় ফ্রেবুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। তবে হাইব্রিড জাত গুলো সারা বছরই বপণ করা যায়।

শশা বীজ বা চারা রোপণ:

শশার বীজ বপণের জন্য ২৪ ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজের আকারের দ্বিগুন গভীরে বীজ বপণ করতে হবে। চারা রোপনের উপযুক্ত সময় বিকালবেলা, তাহলে চারা কম মরবে। চারা লাগানের পরে চারার  গোড়ায় মাটি দিয়ে টিপে দিতে হবে।তারপর টবে পানি দিতে হবে।

শশা গাছের যত্ন:

যে টবে বীজ রোপণ করবেন তার নিচের দিকে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে। চারা গজানের এক সপ্তাহ পর থেকে পরিমাণ মতো তরল সার প্রয়োগ করতে হবে এবং পাত্রের মাটির পরিমাণ অনুযায়ী পাঁচ দানা করে টিএসপি দিয়ে, টবের কিনারার দিকে মাটি আগলা করে দিতে হবে। শশা গাছে সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে।


তরল সার প্রস্তুতি ও প্রয়োগ:

আধা লিটার পানিতে ২৫ গ্রাম সরিষা খৈল ভিজিয়ে ১৫

দিন রেখে দিতে হবে। এবার এই ভেজানো খৈল দশ লিটার পানিতে দুই চা-চামচ ইউরিয়া এবং এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে টব প্রতি ৫০০ মিলি প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত প্রয়োগে ভাল ফল পাওয়া যাবে।


শসার রোগবালাই দমন:

* রাসায়নিক পদ্ধতি

১, ফ্রুট ফ্লাই কচি শসা এর মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং গাছের কচি কড়া পচে ঝড়ে পরে। এই সমস্যা উপশম করতে ছাই ছিটিয়ে দিন অথবা ডায়াজেনন প্রয়োগ করুন।

২, গাছ বড় হয়েছে কিন্তু ফুল কম ধরে এরকম হলে টিএসপি ও এমপি সার প্রয়োগ করুন। গাছের বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে না এমন হলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন। আপনাকে গাছের অবস্থা দেখে তার প্রয়োজন অনুযায়ী সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া ছত্রাকনাশক ব্যবহার এর প্রয়োজন হলে ডায়াজনন বা ইউনিসাফ ব্যবহার করতে পারেন।

৩, শসা গাছের মাছি পোকা দমন :

এই পোকা ফল ছিদ্র করে ফলের ভেতর ডিম পাড়ে এবং পরবর্তীতে ঐ ফলের মধ্যে জন্মায় এবং ফল পঁচে যায়৷ এই পোকা দমনের জন্য কচি ফল কাগজ, কাপড় বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে৷ ফল বড় হওয়ার পর যখন খোসা শক্ত হয় তখন আর এই পোকা ফল ছিদ্র করতে পারেনা৷ ক্ষেতে পোকার আক্রমন বেশি বৃদ্ধি পেলে সাড়ে ১২ লিটার পানিতে চা চামচের ২ চামচ-পরিমাণ সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের ঔষধ মিশিয়ে স্প্রে করলে পোকা দূর হবে৷ তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, ঔষধ-ছিটানোর কমপক্ষে ৭ দিন পর্যন্ত কোনো ফসল বাজারে বিক্রি বা খাওয়া যাবে না৷

৪, শসা গাছের পাউডারিমিলিডিউ রোগ:

এই রোগে পাতার উপর সাদা পাউডার এর মত দেখা যায়, হাত দিয়ে ধরলে পাউডার এর মত উঠে আসে । এর কারণে গাছ দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং ফলন হ্রাস পায়৷ এই রোগটি দূর করতে ২ গ্রাম পরিমাণ থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউপি ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভাল করে পাতা ভিজিয়ে দিতে হবে৷ বড় ক্ষেতে প্রতি বিঘার জন্য ১২০ গ্রাম ঔষধ দরকার৷ হবে৷ ঔষধ প্রয়োগের ১৫ দিনের মধ্যে কোন ফসল সংগ্রহ করা বা খাওয়া যাবে না৷


৫, শসা গাছের আনথ্রাকনোজ রোগ:

এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে পাতায় হলদে দাগ হয়, পরে দাগগুলো বাদামি বা কালো হয়ে ঐ অংশ পচে যায়৷ ফলের বাইরের আবরনে এই বাদামি দাগ দেখা যায় ও ফল পচে যায়৷ এর প্রতিকারের জন্য বীজ লাগানোর পূর্বে বীজ শোধণ করতে হবে৷ ১ সের বীজ ২.৫ গ্রাম ভিটাভেক্স ২০০ নামক ঔষধ দ্বারা উত্তমরূপে মিশিয়ে নিন ৷ তাছাড়া রোগ অতিরিক্ত দেখা দিলে ডায়থেন ৪৫ গ্রাম ১০ লিটার পরিমাণ পানির সংগে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে৷ ক্ষেতে রাসায়নিক ঔষধ দেবার অন্তত সাত দিন পর্যন্ত ঐ ক্ষেতের ফসল বিক্রি অথবা খাওয়া যাবে না ৷ এই রোগ দমনের জন্য ঘরে তৈরি বোর্দ মিশ্রণ আক্রান্ত গাছে ছিটানো যেতে পারে৷ এক শতাংশ জমির জন্য এই বোর্দ মিশ্রণ তৈরির করতে সাড়ে সতেরো লিটার পানির সাথে ৩৫০ গ্রাম পাথুরে চুন ও অন্য সাড়ে সতেরো লিটার পানির সাথে ৩৫০ গ্রাম তুঁতে আলাদা আলাদা ভাবে মাটির পাত্রে মিশাতে হবে৷ পরবর্তীকালে এই দুই মিশ্রণ পুনরায় অপর এক মাটির পাত্রে ভালোভাবে মিশাতে হবে এবং আক্রান্ত গাছে ছিটাতে হবে ৷ ১৫ দিন পর পর এভাবে নতুন মিশ্রণ তৈরি করে ছিটাতে হবে৷ ফসল তোলার পর গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।


৬, রেড পামকিন বিটল পোকা:

শশা গাছে রেড পামকিন বিটল পোকা আক্রমণ করে থাকে। এরা পাতা, ফুল ও কচি ফল খেয়ে নষ্ট করে দেয়।েএ রোগে আক্রান্ত হলে পোকা গুলো মেরে ফেলতে হবে। সাবান গুলিয়ে অথবা নিমবীজের দ্রবণ স্পে করলে এ পোকার আক্রমণ কমে যায়।


* প্রাকৃতিক পদ্ধতি

১, আপনার শসার মাচায় পাখি বসার ব্যবস্থা করে দিন । পাখি ক্ষতিকর সব পোকা খেয়ে এর দমন করতে সহায়তা করে।

২, এছাড়া ফেরোমন ফাঁদ পাওয়া যায় বাজার থেকে এগুলো কিনে এনে ব্যবহার করলে ফলের মাছি পোকা এর মধ্যে ধরা পড়ে।

৩, জৈব কীটনাশক প্রয়োগ, শসা গাছের রোগ বালাই দমন করতে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কীটনাশক নিম পাতা সেদ্ধ করে বা গাঁদা ফুলের পাতার রস থেকে তৈরি করা যায়। এছাড়া নিমের তেল স্প্রে করেও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কীট পতঙ্গ দমন করা সম্ভব। বর্তমানে বাজারে নিমের তেল কিনতে পাওয়া যায়। শসা গাছের রোগবালাই দমন।

৪, বিষ টোপ ব্যবহার করেও পোকা দমন করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিষ টোপ তৈরি করার জন্য ১০০ গ্রাম থেঁতলানো কুমড়ার সাথে ১০০ গ্ৰাম পানি দিয়ে ০.২৫ গ্ৰাম ডিপটেরেক্স মিশিয়ে এই মিশ্রণটি মাটির পাত্রে ঢেলে টপ বা ড্রামের কাছে রেখে দিন দেখবেন বিভিন্ন রকম পোকা এর মধ্যে আসবে এবং মারা পড়বে। এই বিষ টোপ এর কার্যকারিতা তিন থেকে চার দিন ধরে থাকে। চার দিন পর পর এটি পরিবর্তন করে দিতে হবে।শসা গাছের রোগবালাই দমন।


ফসল সংগ্রহ:

সাধারণত গাছ লাগানোর ৩-৪ মাস পরে ফসল সংগ্রহ করা হয়।


ধন্যবাদ সকলকে


Wednesday, April 13, 2022

বীজ

 
বীজ

বীজ বিষয়ক আলোচনা

প্রশ্ন: বীজ কী?

উত্তর: বীজ হলো নিষিক্ত ডিম্বকের পরিণত রূপ। অর্থাৎ পরিণত নিষিক্ত ও পরিপক্ব ডিম্বককে বীজ বলে। যেমন- ছোলা বীজ, ডাল বীজ, শিম বীজ ইত্যাদি।

বীজ বিধিমালা ভিত্তিক শ্রেণি বিভাগ :

বাংলাদেশের বীজ বিধিমালা ১৯৯৮ (The Seed Rules,1998) মোতাবেক বীজের ৪ (চার) টি শ্রেণি বিভাগ করা হয়েছে।

মৌল বীজঃ-

উদ্ভিদ প্রজন্ম বিজ্ঞানীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বংশগত গুণাগুণ সম্পন্ন যে বীজ উৎপাদন করা হয়, তাকে মৌল বীজ বলে।

ভিত্তি বীজ (Foundation Seed) :

প্রজননবিদের বীজের পরবর্তী স্তর ভিত্তি বীজ যা বীজ প্রযুক্তিবিদদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উৎপাদন করা হয়। আমাদের দেশে মূলত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করর্পোরেশন তাদের নির্ধারিত খামারে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভিত্তি বীজ উৎপাদন করে।

প্রত্যয়িত বীজ (Certified Seed) :

ভিত্তি বীজ থেকে প্রত্যয়িত বীজ উৎপাদন করা হয়। বিএডিসির নিজস্ব খামার সমূহে এবং কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স জোন সমূহে প্রত্যয়িত বীজ উৎপাদিত হয়।

মান ঘোষিত বীজ (Truthfully Labelled Seed) :

ভিত্তি বীজ বা প্রত্যয়িত বীজ থেকে মান ঘোষিত বীজ উৎপাদন করা হয়। বিএডিসি কৃষক পর্যায়ে বিপণনের জন্য যে বিপুল পরিমাণ বীজ উৎপাদন করে তা এই শ্রেণির।


ভালবীজের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?


কোন বীজকে ভাল ও উন্নত বলতে হলে তাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত গুণাবলী বিশিষ্ট হতে হবে :
(১) বীজ উন্নত জাতের এবং অধিক ফলনশীল হতে হবে।
(২) বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা শতকরা ৯০ ভাগ বা তারও অধিক হতে হবে।
(৩) বীজকে স্বাভাবিক আকার, ওজন, আকৃতি ও রং সমরূপের হতে হবে।
(৪) বীজকে সুপরিপক্ক, সুপুষ্ট ও নিটোল হতে হবে। (৫) বীজ যেন কীটদ্রষ্ট ও রোগাক্রান্ত না হয়।
(৬) বীজ যেন ঘাস বা অন্যান্য আগাছা মুক্ত থাকে। (৭) বীজ যেন অপর জাতের বীজের সাথে মিশ্রিত না হয়।

বীজের গুরুত্ব (Importance of seed) :


শস্য উৎপাদনে বীজের গুরুত্ব অপরিসীম। ফসল উৎপাদনের ব্যয়ের খুব সামান্য অংশই ব্যয় হয় বীজের জন্য। অথচ ফসল ভেদে বীজ এককভাবে ফলন এবং উৎপন্ন পণ্যের গুণাগুণে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তাই ফসল উৎপাদনে বীজকে একটি মৌলিক উপকরণ বলা হয়।

(ক) বীজ শস্য উৎপাদনের জন্য একটি অন্যতম মৌলিক উপকরণ হিসাবে কাজ করে।
(খ) উন্নত জাতের বীজ উৎপাদিত পণ্যের গুণাগুণ বহুগুণে বৃদ্ধি করে.
(গ) উত্তম বীজ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
(ঘ) উত্তম বীজ পরোক্ষভাবে শস্য উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলকভাবে কমায়।
(ঙ) বিশুদ্ধ বীজ রোগ, পোকামাকড় ও আগাছা বিস্তার রোধ করে, ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
(চ) বীজ কখনো কখনো শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
(ছ) বীজ মানুষ ও পশু-পাখীর জীবন ধারনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
(জ) বীজ ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি অন্যতম উপকরণ।
(ঝ) বীজ কখনো কখনো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করে।

উন্নতমানের বীজের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নরূপ :


বাহ্যিক চেহারা হবে উজ্জ্বল, সুন্দর, আকার, আয়তন ও জৌলুস ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
বীজে কোন নিষ্ক্রিয় পদার্থ (Inert Material) বালি, পাথর, ছোট মাটি, ভাঙ্গা বীজ, বীজের খোসা ইত্যাদি থাকবে না।
বীজে হতে হবে বিশুদ্ধ (Pure Seed)।
বীজের ক্ষতিকর আগাছার বীজ (Obnoxious weed seed) থাকবে না।
বীজ হতে হবে পুষ্ট। আকার, আয়তন, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, ওজন, জাত অনুযায়ী নির্দিষ্ট থাকতে হবে।
বীজের আর্দ্রতা নির্ধারিত মাত্রায় থাকতে হবে।

বীজের ট্যাগ জেনে নিন:

ট্যাগ ৪ ধরনের -

১)প্রজনন বীজের ট্যাগের রং=সবুজ
২)ভিত্তি--------------------------=সাদা
৩)প্রত্যায়িত----------------------=নীল
৪)মানঘোষিত--------------------=হলুদ


রগিং কাকে বলে?

রগিং অর্থ হচ্ছে আকাঙ্খিত বীজের গাছ ছাড়া আগাছাসহ অন্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত গাছ জমি থেকে শিকড়সহ তুলে ফেলা।

রগিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ-
ক) বিজাত বা অন্যজাত তুলে ফেলা
খ) জাতের বিশুদ্ধতা ঠিক রাখা
গ) ক্ষতিকারক আগাছা দমন করা
ঘ) অন্য ফসলের গাছ নির্মূল করা
ঙ) রোগমুক্ত ফসলের গাছ সরিয়ে ফেলা। এ অবস্থায় ফসলের জমির সর্বত্র ঘুরে ফিরে বিভিন্ন সময়ে রগিং করা উচিত। ফসলভেদে রগিং ২ থেকে ৪ বার করা উচিত।

রগিং করা হয় কেন?

রগিং অর্থ হচ্ছে আকাঙ্খিত বীজের গাছ ছাড়া আগাছাসহ অন্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত গাছ জমি থেকে শিকড়সহ তুলে ফেলা।
বীজের জাতের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য রগিং করতে হয়। ফুল আসার আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত গাছ রগিং করা ভালো।

বীজকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবিভাগ করা যায়ঃ-


(ক) বীজপত্রের সংখ্যা অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ :

(১) একবীজপত্রী বীজ :

বীজপত্রের সংখ্যা একটি হলে সেই বীজকে এক বীজপত্রী বলে। যেমন- ধান, গম, ভূট্টা, খেজুর, নারিকেল, কলা, তাল, বাঁশ, সুপারি, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি।

(২) দ্বিবীজপত্রী বীজ :

বীজপত্রের সংখ্যা দুইটি হলে সেই বীজকে দ্বিবীজপত্রী বলে। যেমন-লাউ, কুমড়া, মটর, ছোলা, আম, জাম, তেঁতুল, কাঁঠাল, পাট, রেড়ী, কার্পাস, তামাক, সরিষা, বেগুন, টমেটো, গোল আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুগ, মুলা, সয়াবিন ইত্যাদি।

(খ) বীজের বহিরাবরণের উপস্থিতি ভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ :

(১) নগ্নবীজ :

বীজে কোন আবরণ থাকে না; যেমন- গম, ভূট্টা ইত্যাদি।

(২) আবৃত বীজ :

বীজে আবরণ থাকে; যেমন- ডাল বীজ, তেল বীজ, ধান বীজ ইত্যাদি।

গ) ভ্রূণের সংখ্যা ভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ :

1) একটি ভ্রূণ বীজ:

বীজ শুধুমাত্র একটি ভ্রূণ ধারণ করে; যেমন ধান, গম, পাট ইত্যাদি।

(2) একাধিক ভ্রূণ শিলা:

বীজ অনেক ভাজা আছে; যেমন- নারকেল, তাল, আম ইত্যাদি।
ঘ) ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ

(১) উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজ :

এক বা একাধিক বীজত্বক দ্বারা পরিণত ভূণকে বীজ বলে। যেমন- ডাল বীজ, তেল, বীজ, ধান, গম, ভূট্টা ইত্যাদি।

(২) কৃষিভিত্তিক বীজঃ

গাছের যে কোন অংশ যেমন- ডালা, মূল, পাতা, কুড়ি ইত্যাদি যা দ্বারাই এর বংশবৃদ্ধিকরা সম্ভব তাকেই কৃষিবীজ বলে।

(ঙ) নিষিক্ততা ভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ :

(১) নিষিক্ত বীজ :

ডিম্ব কোষ পুংরেণু দ্বারা নিষিক্ত হলে নিষিক্ত বীজ উৎপন্ন হয়।

(২) অনিষিক্ত বীজঃ

ডিম্বকোষ কোন কোন উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পুংরেণু কর্তৃক নিষিক্ত না হয়েই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং বীজ উৎপন্ন করে। তাই এই জাতীয় বীজকে অনিষিক্ত বীজ বলে।

ধন্যবাদ সকলকে


Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...