কৃষি পরামর্শ , দৈনন্দিন বিজ্ঞান, টিপস & ট্রিকস, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা, পরামর্শ, পশু পালন ও খামারী, ফসলে রোগ বালাই, ফসল চাষ, ক্যারিয়ার ও জব, krishiporamorsho, Advances in Agriculture, blog
Thursday, June 30, 2022
সার প্রয়োগের কিছু সাধারণ নীতি
Friday, June 24, 2022
Brown Plant Hopper (BPH): বাদামি গাছ ফড়িং
Brown Plant Hopper (BPH): বাদামি গাছ ফড়িং
Thursday, June 23, 2022
বেগুনের ফল ছিদ্রকারী পোকা
বেগুনের ফল ছিদ্রকারী পোকা-Brinjal shoot and
Saturday, June 18, 2022
একটি দেশি গরু
আজ থেকে প্রায় ৬/৭ বছর আগে আব্বা বাজার থেকে একটি দেশি গরু৩৪ হাজার টাকায় কিনেছিল।
বাড়িতে নিয়ে আসার পর বুঝতে পারি বাছুরটি অন্ধ।
অন্ধ বলে সবাই বাছুরটাকে খুব আদরযত্ন করতো,যেহেতু চোখে দেখে না। বাড়ির সবাই দেখে দেখে রাখতো।তার উপর ছিল পানিতে পড়ার ভয়।(কয়েকবার পরে ও ছিল)
আস্তে আস্তে সেই বাছুরটি বড় হতে লাগলো। একসময়
আব্বা সিদ্ধান্ত নিলো এটা বিক্রি করে দিবে।
অন্ধ বলে সবাই দাম কম বলতো,
আর অন্ধত্বের কারনে কুরবানিতে ও কাজে লাগানো যাচ্ছিলো না।
পরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে হিটে আসার পর বীজ দিয়ে দিলো।
প্রথম বছর;শাহিওয়াল
দ্বিতীয় বছর;হলেস্টিন ফ্রিজিয়ান
তৃতীয় বছর ও হলেস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের তিনটি বাছুর এই অন্ধ গরুটি জন্ম দিয়েছে।
তৃতীয় বছরের, হলেস্টিন ফ্রিজিয়ান বাছুরটি ছিল একটু অন্যরকম।
বাছুরটির বয়স যখন মাত্র ৩/৪ মাস তখন থেকেই এটার কাছে কাউকে যেতে দিতো না। খালি ঢুসা দিতো।
গলায় হাত বুলিয়ে আদর করলে ও শান্ত থাকতো না।
শুধু মাত্র আমার আম্মার সাথে শান্ত থাকতো।
একবার ছুটে গেলে ধরতে গেলে ঘাম ঝরিয়ে দিতো, এত পাগলা ছিল।
বয়সের ব্যবধানে অনেক বড়/স্বাস্থ্যবান হয়ে গিয়েছিল।
(শুধুমাত্র ভাতের মার, কাচা ঘাস, খড়,মাঝে মাঝে পানির সাথে সামান্য ভূষি দেয়া হতো)
দেখতে দেখতে বাছুরটির বয়স ৮ মাস হয়ে গেলো।
এবার, একজন আমার আব্বাকে বললো, বাছুরটিকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর জন্য।
উনার কথায় বাজারের একজন পশু ডাক্তার থেকে একটি কৃমির ট্যাবলেট নিয়ে বাছুরটিকে খাওয়ালো।
😓😓😓😓
ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরদিন থেকেই বাছুরটি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিতে লাগলো।
২/৩ দিন পর আস্তে আস্তে শুকাতে লাগলো।
পশু ডাক্তারকে দেখিয়ে ইনজেকশন+ঔষধ খাওয়াতে লাগলো।
১০/১২ দিনের মাথায় বাছুরটি ওঠাবসা বন্ধ করে দিলো প্রায়।
শরির শুকিয়ে এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল যে,............লিখে বুঝাতে পারবো না 😭😭😭
২০/২২ দিনের মাথায় আবার নতুন সরকারি ডাক্তারকে নিয়ে আসলো।
সকালবেলা ডাক্তার এসে কিছুক্ষন দেখে ৩ টা ইনজেকশন করলো।
প্রথমটা করার পর পা গুলো টানা দিয়ে জিবটা বের কেমন যেন করলো।
ডাক্তার ঔষধ লিখে চলে যাওয়ার ২০ মিনিট পর গরুটিকে একপাশ থেকে অন্যপাশে করতে গিয়ে দেখি নড়াচড়া একেবারে বন্ধ।
নিশ্চিত হলাম সে আর বেচে নেই।
এটা থেকে একটা জিনিস শিখতে পারলাম,
ক্ষমতা চিরদিন থাকে না।আজকে আমার সবকিছু করার ক্ষমতা আছে, আগামীকাল না ও থাকতে পারে।
যে বাছুরটির সামনে...........
Thursday, June 16, 2022
অপকারী পোকা প্রধান রোগ সমুহ
প্রধান অপকারী পোকা:
ধানের প্রধান রোগ সমুহ:
ব্যাক্টেরিয়া জনিত:
ভাইরাস জনিত:
নেমাটড জনিত:
অপ্রধান রোগ সমুহ :
ব্যাক্টেরিয়াল জনিত অপ্রধান রোগ:-
মাইক্রোপ্লাজমা জনিত
নেমাটড জনিত:
ধান গাছের প্রধান ২০ টি আগাছা :
সবজি পোকা মাকড় ও রোগবালাই:
অপকারী পোকা:-
উপকারী পোকা:-
সবজি ফসলে রোগ প্রায়:- ১৭০ টি.
সবজি ফসলে প্রধান প্রধান রোগ:
Wednesday, June 15, 2022
চুই ঝাল
চুই ঝাল চাষের পদ্ধতি
চুইঝাল বা চইঝাল লতাজাতীয় এক অমূল্য সম্পদ। প্রাকৃতিকভাবে এটি ভেষজগুণ সম্পন্ন গাছ। অনেকেই বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছেন কৌশলের মাধ্যমে। চুইঝাল গ্রীষ্ম অঞ্চলের লতাজাতীয় বনজ ফসল হলেও দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশে খুব ভালোভাবে জন্মে। বিশেষ করে ভারত, নেপাল, ভুটান, বার্মা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড চুইচাষের জন্য উপযোগী। ইতিহাস বলে প্রাচীনকাল থেকে চুইঝালের আবাদ হয়ে আসছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আমাদের দেশের কিছু আগ্রহী চাষি নিজ উদ্যোগে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য অনেক দিন আগ থেকেই চুইঝাল চাষ করে আসছেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুইঝাল বেশ জনপ্রিয় এবং দেশের সিংহভাগ চুইঝাল সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকাতে চুইঝালের কা-, শিকড় পাতার বোঁটা রান্নার সাথে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ঔষধি পথ্য হিসেবে কাজে লাগায়। বিশেষ করে মাংস তাও আবার খাসির মাংসে বেশি আয়েশ করে রান্না হয়, মাছের সাথে, ডালের সাথে মিশিয়েও রান্না করে। আমাদের দেশে ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুইঝালের ফল যা শুকালে লংয়ের মতো সেগুলোও মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। নিজেদের কারিশমা দিয়ে এটিকে এখন প্রাত্যহিকতার আবশ্যকীয় উপকরণের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। অন্য গাছের সাথে আশ্রয় নিয়ে এরা বেড়ে উঠে। তাছাড়া মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বেড়ে তাদের বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সাথেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, মেহগনি, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি, কাফলা (জিয়ল) গাছে ভালো হয়। আবার আম, কাফলা ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুই সবচেয়ে বেশি ভালোমানের বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আরোহী গাছের গোড়ায় সামান্য গোবর মাটি মিশিয়ে লতার ১টি গিট মাটির নিচে রোপণ করলে ক’দিন পরেই বাড়তে শুরু করে। ১০ থেকে ১২ মাসের মধ্যেই লতা কাটা যায়। সাধারণ যত্নেই চুই বেড়ে ওঠে। খুব বেশি ব্যবস্থাপনা, যত্নআত্তির প্রয়োজন হয় না। সঠিক সুষ্ঠু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রযুক্তি অবলম্বন করে আবাদ করলে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে আরও বেগবান করা যাবে। লতার পর্বমধ্য ছোটোছোটো করে কেটে টুকরো করে তরকারি, ডালসহ অন্যান্য ঝালযুক্ত উপকরণ হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। চুইঝাল ব্যবহার করলে তরকারিতে মরিচ ব্যবহার করতে হয় না। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুইকে ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। ব্যবহারকারীরা বলেন, এটি তরকারিতে ব্যবহার করলে তরকারির স্বাদ বেড়ে যায়। কাঁচা অবস্থায় চিবিয়েও চুই খাওয়া যায়। চুইয়ের লতাকে শুকিয়ে গুঁড়া করেও দীর্ঘদিন রাখা যায় এবং প্রয়োজনীয় বা সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার করা যায়। চুইলতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল ফল সব অংশই ভেষজগুণ সম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ পুরো গাছ উপকারী। অতি সাধারণভাবে বলতে গেলে খরচবিহীন এদের চাষ করা যায় এবং আশাতীত লাভ পাওয়া যায়।
চুইঝালের বোটানি
চুইঝাল গাছ হয়তো অনেকে চিনেন না তাদের জানার জন্য বলা যায় চুইয়ের বোটানিক্যাল নাম পেপার চাবা (Piper Chaba), পরিবার পিপারেসি (Piperaceae), জেনাস পিপার (Piper) এবং স্পেসিস হলো পিপার চাবা (Piper chaba)। লতা সুযোগ পেলে ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত বাড়ে। পাতা ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। হার্টের মতো আকার। আর পিপুলের পাতার লতার সাথেও বেশ সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। নতুন অনেকেই চুইপাতা গোলমরিচ পাতার সাথে বা পানপাতার সাথে মিলিয়ে ফেলেন। কেননা দেখতে তাদেরই মতো। পুরুষ স্ত্রী ফুল আলাদা লতায় জন্মে। পরাগায়ন প্রাকৃতিকভাবেই সম্পন্ন হয়। ফুল লাল লম্বাটে দূর থেকে দেখতে অনেকটা মরিচের মতো। কাছে গেলে ফলের প্রাকৃতিক নান্দনিক কারুকার্য ধরা পড়ে। ফলের ব্যাস ১ ইঞ্চির মতো। ফল সাধারণত লাল রঙের হয়। তবে পরিপক্ব হলে বাদামি বা কলো রঙের হয়ে যায়। বর্ষায় ফুল আসে, শীতের শুরুতে ফল আসে।
চুই লতা জাতীয় অর্থকরী ফসল। এর কাণ্ড ধূসর এবং পাতা পান পাতার মতো সবুজ রঙের। এর কাণ্ড, শিকড়, শাখা, প্রশাখা সবই মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চুই সাধারণত দুই প্রকার। একটির কাণ্ড আকারে বেশ মোটা ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার, অন্যটির কা- চিকন, আকারে ২.৫ থেকে ৫ সেন্টিমিটার। চুই গাছ ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
রাসায়নিক উপাদান
চুইঝালে দশমিক ৭ শতাংশ সুগন্ধি তেল রয়েছে। অ্যালকালয়েড ও পিপালারটিন আছে ৫ শতাংশ। তাছাড়া ৪ থেকে ৫ শতাংশ পোপিরন থাকে। এছাড়া পোলার্টিন, গ্লাইকোসাইডস, মিউসিলেজ, গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সিজামিন, পিপলাসটেরল এসব থাকে পরিমাণ মতো। এর কাণ্ড, শিকড়, পাতা, ফুল, ফল, সব ভেষজগুণ সম্পন্ন। শিকড়ে থাকে দশমিক ১৩ থেকে দশমিক ১৫ শতাংশ পিপারিন। এসব উপাদান মানব দেহের জন্য খুব উপকারী।
ঔষধি গুণ
চুইঝালে আছে অসাধারণ ঔষধিগুণ। চুইঝাল-
১. গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে;
২. খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে;
৩. পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ সারাতে চুইঝাল অনেক উপকারী;
৪. স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে;
৫. ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এবং শরীরের ব্যথা সারায়;
৬. সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে ম্যাজিকের মতো সাহায্য করে;
৭. কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে;
৮. মাত্র এক ইঞ্চি পরিমাণ চুই লতার সাথে আদা পিষে খেলে সর্দি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়;
৯. আরও বহুবিদ ভেষজগুণ সম্পন্ন ফসল চুইঝাল।
বংশবিস্তার
বীজ ও লতার কাটিং দিয়ে বংশবিস্তার করা যায়। তবে লতার কাটিংয়ে বাড়বাড়তি তাড়াতাড়ি হয় এবং ফলন দ্রুত পাওয়া যায়। বীজ থেকে বংশবিস্তার জটিল, সময়সাপেক্ষ বলে আমাদের দেশে শুধু লতা থেকে বংশবিস্তার করা হয়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সবক‘টি নার্সারিতে চুইঝালের চারা পাওয়া যায়।
জমি ও মাটি
দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত ও ছায়াময় উঁচু জমিতে সাধারণত চুই চাষ করা হয়। চুইঝালের জন্য আলাদা কোনো মাটি জমির প্রয়োজন নেই সাধারণ ফলবাগান বা বৃক্ষ বাগানের মাটি জমির উপযুক্ততাই চুয়ের জন্য উপযুক্ত। শুধু খেয়াল রাখতে হবে বর্ষায় বা বন্যায় যেন চুইঝাল গাছে গোড়ায় পানি না জমে।
রোপণের সময়
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) এবং আশ্বিন-কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর) মাস এ দুইবার হলো চুইঝালের লতা রোপণের উপযুক্ত সময়।
অঙ্গজ প্রজনন বা লতা কাটিং পদ্ধতিতে এর কাণ্ড বা শাখা ৫০ থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার লম্বা করে কেটে সরাসরি মাটিতে রোপণ করা হয়। স্থানীয়ভাবে কাটিং বা শাখাকে পোড় বলা হয়। একটি পোড়ে কমপক্ষে ৪-৫টি পর্বসন্ধি থাকে। বাণ্যিজিকভাবে পলিব্যাগে চারা তৈরি করা হয়। তারপর পলিব্যাগ থেকে চারা নিয়ে মূল জমিতে রোপণ করা হয়।
কাটিং শোধন
ভালো বালাইমুক্ত আবাদের জন্য চুইঝালের কাটিং তৈরি চারা রোপণের আগে অবশ্যই শোধন করে নিতে হবে। ১ লিটার পানিতে ২-৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স/নোইন/ব্যাভিস্টিন বা অন্যকোনো উপযুক্ত রাসায়নিকে মিশিয়ে কাটিং ৩০ মিনিট চুবিয়ে রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে কাটিং রোপণ করতে হবে। এতে পরে রোগ পোকার আক্রমণ হয় না বা অনেক কম হয়। লতা ভালোভাবে বেড়ে উঠে।
সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা
চুই চাষে চাষিরা সাধারণত কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। পোড় বা শাখা রোপণের আগে গর্তে পচা আবর্জনা বা ছাই বা গোবর ব্যবহার করেন। তবে কেউ কেউ কোথায়ও কোথায়ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণ হারে ইউরিযা, টিএসপি, এমওপি বর্ষার আগে ও পরে গাছের গোড়া থেকে ১ হাত দূরে প্রয়োগ করেন। শুকনো মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। অন্তত সপ্তাহে ১ বার গাছের গোড়ায় সেচ দিলে গাছের বাড়বাড়তি স্বাভাবিক থাকে। আর বর্ষাকালে চুইঝালের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়।
বাউনি দেয়া
চুইঝাল যেহেতু লতা জাতীয় তাই এর জন্য আরোহণের সাপোর্ট লাগে। সেক্ষেত্রে আম, কাঁঠাল, জাম, সুপারি, নারিকেল, মেহগনি ও কাফলা (জিয়ল) গাছ বাউনি হিসেবে চুই চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাউনি না দিলেও মাটিতে বাড়তে পারে। বিশেষ করে অন্যান্য দেশ মাটিতে কোনো বাউনি ছাড়া চুইঝালের চাষ হয়। তবে এক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমে গাছের লতার বেশ ক্ষতি হয়। কৃষকের মতো আম, কাঁঠাল ও কাফলা গাছে চাষকৃত চুই খুব সুস্বাদু হয়। তবে অন্যান্য গাছের চুইঝাল গুণে মানে কম না কিন্তু।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
চুই লাগানোর বা রোপণের ১ বছরের মাথায় খাওয়ার উপযোগী হয়। তবে ভালো ফলনের জন্য ৫-৬ বছর বয়সের গাছই উত্তম। সে মতে ৪-৫ বছর অপেক্ষা করা ভালো। চুইঝালের জন্য আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন আরোহী গাছের সাথে আরোহণের ব্যবস্থা করে দিলেই হয়। এতে মূল গাছের বাড়বাড়তিতে বা ফলনে কোনো সমস্যা হয় না। হেক্টরপ্রতি ২.০ থেকে ২.৫ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। ৫-৬ বছরের একটি গাছ থেকে বছরে প্রায় ১৫ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত চুইঝাল লতার ফলন পাওয়া যায়।
চুইয়ের ব্যবহার
কাণ্ড খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। বড় বড় মাছ বা যে কোনো মাংসের সাথে খাওয়া যায়। আঁশযুক্ত নরম কাণ্ডের স্বাদ ঝালযুক্ত। কাঁচা কাণ্ডও অনেকে লবণ দিয়ে খান। ছোলা, ভাজি, আচার, হালিম, চটপটি, ঝালমুড়ি, চপ ও ভর্তা তৈরিতে চুইঝাল ব্যবহৃত হয়। মোট কথা মরিচ, গোলমরিচ ঝালের বিকল্প হিসেবে যে কোনো কাজে চুইঝাল ব্যবহার করা যায়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
নার্সারি শিল্পে চুইঝাল একটি মূল্যবান উপকরণ উপাদান হিসেবে বিশেষ বিবেচনা করা যায়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এরই মধ্যে চুই লতার চারা উৎপাদন বাণিজ্যে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় চুই প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। বর্তমানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বৃহত্তর খুলনা বরিশাল ফরিদপুর অঞ্চলে চুইয়ের আবাদ এবং বাজার রমরমা ত্যাজি। শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায় চুই বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুইঝাল লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে শাখা ডাল থেকে শিকড়ে ডালে ঝাল বেশি হয় বলে এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে আরও ২-৩ গুণ বেশি। ১৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। একজন সাধারণ কৃষক মাত্র ২-৪টি চুই গাছের চাষ করে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটাতে পারেন। বেশি ফলনের মাধ্যমে নিজের চাহিদাও মিটিয়ে বাড়তি আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে মরিচের বদলে চুইঝালের চাষের বিস্তার ঘটিয়ে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। অবাক করা বিষয় হলো এই যে খুলনার চুই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে ও রফতানি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাই যদি এর দিকে পরিকল্পিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেন এবং সুনজর দেন তবে আমাদের দেশ চুইঝাল থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। চুইয়ের জনপ্রিয়তা আর গ্রহণ যোগ্যতার কারণে দেশ-বিদেশে চুইঝাল বা চুই হোটেল নামে অগণিত হোটেল রেস্তোরাঁর নামকরণ করা হয়েছে। এসব হোটেলে চুইসমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন করা হয়। সবাই খেয়ে রসনা তৃপ্তি মেটান। আমাদের দেশেও বেশক‘টি চুইঝাল হোটেল এর মধ্যে চুই নামের কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এবং দারুণ ব্যবসা করে যাচ্ছে।
চুই গাছের ভেষজগুণ অসামান্য এবং বিস্তৃত। পেটেরপীড়া সারানো, ক্ষুদামন্দা, রুচি বাড়ানো, পেটের গ্যাস নিবারণ, শ্বাসকষ্ট, কফ, কাশি, ডায়রিয়া কমানো, ঘুমবাড়ানো, শারীরিক দুর্বলতা কমাতে, গায়ের ব্যথা, ম্যাজম্যাজ ভাব কমাতে, বাচ্চাপ্রসবের পর শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য অব্যার্থ মহৌষধ হিসেবে চুইঝাল কাজ করে। একটি পরিবারের বছরের চুইয়ের চাহিদা মেটাতে বড় একটি আরোহী আমগাছের ফলনই যথেষ্ট। প্রতিদিনই চুইঝাল লতা কাটা যায়।
নার্সারি শিল্পে চুইঝাল একটি মূল্যবান লাভজনক উপকরণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। একজন সাধারণ কৃষক নিজের ২-৪টি গাছে চইয়ের চাষ করে নিজের পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পারেন অধিকন্তু অতিরিক্ত ফলন বিক্রি করে পারিবারিক অন্যান্য আবশ্যকীয় চাহিদা মিটাতে পারেন অনায়াসে। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুইকে যুক্ত করতে পারলে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। একই সাথে ভেষজগুণ থাকার কারণে অনেক রোগব্যাধির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
Tuesday, June 14, 2022
জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
পদের নামঃ মার্কেটিং অফিসার
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কৃষি ডিপ্লোমা
সুযোগ-সুবিধাঃ মাসিক বেতন, টিএ ডিএ বিল, মোবাইল বিল ও বাৎসরিক ঈদ বোনাস (আলোচনা সাপেক্ষে)।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ১-২ বছরের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ নিজস্ব মোটরসাইকেল আছে এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
* ফার্মে থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।
যোগাযোগঃ
GreenCare Agro - গ্রীন কেয়ার এগ্রো
মুক্তাগাছা, গ্রীন কেয়ার এগ্রো
মোবাইলঃ ০১৭৬৪-৯৩০৫২৫
ই-মেইলঃ greencareagro2021@gmail.com
Saturday, June 11, 2022
গরুর প্রজনন পদ্ধতি
গাভী বীজ না রাখার(কনসিভ না করার) কারনঃ
_____________________________________
আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারি ভাইদের গাভীর ঋতু চক্র সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে তারা সময়মতো গাভিকে বিজ দিতে ব্যর্থ হয় ফলে গাভী কনসিভ করে না। যদি খামারী ভাইয়েরা গাভির ঋতু চক্র সম্পর্কে ধারনা নিতে পারে তাহলে অনেকাংশে সফল হবে।
ঋতু চক্রের চারটি ধাপ রয়েছে
প্রথম টি Pro_ Estrous বা প্রস্তুতি পর্ব
দ্বিতীয় টি Estrous বা উত্তেজনা পর্ব
তৃতীয়টি - Meta_ Estrous কাম উত্তেজনা পর্ব
৪র্থ টি Di-Estrus নিষ্ক্রিয় পর্ব.
১.প্রস্তুতিপর্ব( pro-Estrous)ঃ
গাভী হিটে আসার তিন দিন পূর্ব থেকে খাওয়া-দাওয়া কম খাবে ঝিমানি ভাব থাকবে।গাভীর যোনি মুখ দিয়ে স্বচ্ছ পাতলা ঝিল্লি বের হবে।
২.যৌন উত্তেজনা পর্ব ( Estrous):
এই পর্ব ১ দিন স্থায়ী থাকে। আর আমাদের খামারি ভাইয়েরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই পর্বেই বিজ দিয়ে থাকেন যার ফলে সমস্যাটার জন্ম নেয় এখান থেকেই। এই পর্বে বিজ দিলে কন্সেপ্ট না করার হার ৯৮%.
লক্ষনঃ
* গাভি ঘন ঘন প্রসাব করবে
* অন্য গাভির উপর লাফিয়ে উঠবে
*অন্য গাভীর যৌনাঙ্গ শুকতে থাকবে।
* দুধ উৎপাদন কমে যাবে
৩. কামত্তোর পর্ব( Meta _ Estrous)ঃ
এটি খামারি ভাইদের জন্য স্বর্ন যুগ বা সঠিক সময়। এই পর্বের স্থায়িত্ব কাল ১থেকে ২দিন।এই পর্বেই বিজ দেয়ার সঠিক সময়। এই সময় বিজ দিলে কন্সেপ্ট করার হার ৯৯%. এই পর্বের প্রধান লক্ষন গাভীর যোনি পথ দিয়ে অনেক সময় রক্ত মিশ্রিত ঝিল্লি বের হয়। আপনি মনে রাখবেন আপনার গাভীর Estrous পর্ব দেখা দেয়ার ১২ ঘন্টা পর বিজ দিবেন।অর্থাৎ সকালে হিট আসলে বিকালে( ৫/৬) টায় বিজ দিবেন। যদি গাভিটি পুর্বে হিট মিছ করে থাকে তাহলে সেই গাভিকে অবশ্যই পরের দিন সকালে আবার বিজ দিবেন।
শেষ পর্ব( Diestrous) ঃ
এটি থাকে ১৫ দিন। যদি আপনার গাভিকে বিজ না দেন তাহলে গাভির জরায়ু থেকে বের হওয়া ডিম্বানু মারা যাবে এবং গাভির সমস্ত জনন অঙ্গ স্বাভাবিক হবে। এর পর কয়েক দিনের মধ্যে আবার সাইকেল বা চক্র শুরু হবে।
Information collated... অভিজ্ঞ জনেরা বিস্তারিত বলবেন আসা করছি । ধন্যবাদ ।
গরু পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা
মোঃ সোহানুর রহমান সুজন
সুজন ডেইরি ফার্ম
যোগাযোগ করবেনঃ০১৭৬৮৮১৯২২১
Thursday, June 9, 2022
পাতা হপার বা উদ্ভিদ হপার।
লিফহপার এবং প্ল্যান্টহপার।
আমন ধানের বীজ বপনের।
এখন সময় আমন ধানের বীজ বপনের। তাই বীজ বপনের আগে জমির ধরন অনুযায়ী আমন ধানের
Last post
ড্রাগন ফলের পরিচয়
উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয় " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...
-
জিপসাম সার উৎপাদন : ক্যালসিয়াম ২০% ও সালফার ১৬% বিদ্যামান। ফসল ক্যালসিয়ামের অভাব...
-
জিনোম ভিত্তিক গভেষণায় উদ্ভাবতি পাটের নতুন জাত (রবি-১) বা বিজেআরআই তোষা পাট-৮ ১. ভুমিকাঃ বর্তমানে চাষকৃত সর্বোচ্চ ফলনশীল পাট জাতের চাইতে...






