Monday, March 29, 2021

ছাদে ফলের বাগানের যত্ন

ছাদে ফলের বাগানের যত্ন।

ছাদ ফলের বাগানের যত্ন

যেহেতু এটি একটি সীমিত আকারে ও উত্পাদিত হয়, তাই অতিরিক্ত যত্ন নিশ্চিত করতে হবে এবং বিভিন্ন ভাবে যত্নে নিতে হবে। সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সার কম বা বশি হলে গাছ মারা যায়, পরিমাণ মতো না হলে অপুষ্টিতে ভুগবে। অনেক লোক বলে, আমার গাছ মারা যাচ্ছে। সার ও গোবরের সাথে মাটি মিশ্রিত করার জন্য এটি যেভাবে লেখা হয়েছে তা অনুসরণ করুন। সেচ নিকাশী সেচ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাটির আর্দ্রতার কারণে গাছগুলি খুব সহজেই মরে যেতে পারে, যেমন অতিরিক্ত জল বা পানির আর্দ্রতার কারণে সুতরাং আপনাকে অবশ্যই ছাদ বাগান বা মূল জমিতে সেচ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। জল পদ্ধতিতে দেওয়া উচিত যাতে উদ্ভিদের জল কম বেশি না হয় । পরিচ্ছন্নতা ছাদ বাগানে বা মূল জমিতে প্রতিদিন পরিষ্কার করা উচিত। এজন্য পুরাতন অসুস্থ, পুরাতন ডালপালা, পাতা সাবধানে কাটা উচিত এবং একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করতে হবে। এটি গাছগুলিকে রোগমুক্ত রাখবে, ফলনের উপকারে আসবে। রোগাক্রান্ত পাতা পোড়াতে হবে। রোগ এবং পোকামাকড় পোকামাকড় বা রোগ সর্বদা আমাদের দেশের জলবায়ুর যে কোনও ফলের আক্রমণ করে। সেক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে। হঠাৎ রোগ এবং পোকামাকড় মারাত্মক হয়ে উঠলে উপযুক্ত কীটনাশক সঠিক সময়ে ব্যবহার করা উচিত। অন্যথায় বাগানের অন্যান্য গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বর্তমান ট্রাইকোড্রামা বিভিন্ন রোগের ছত্রাকনাশক হিসাবে কাজ করছে। আপনি নিজেই এটি তৈরি করতে পারেন: একটি 20 লিটারের বালতিতে গোবর, উদ্ভিজ্জের অবশিষ্টাংশ, ডিমের খোসা, 20 কেজি ছাই মিশিয়ে 2 চা-চামচ পানিতে 10 চা-চামচ বা 50 গ্রাম ট্রাইকোডার্মার সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এটি এক মাসের জন্য রেখে দিন এবং প্রতিবার এবং পরে এটি পানিতে মিশ্রিত করুন। 20/25 দিন পরে, বালতিটির নীচে গর্ত দিয়ে যে রস বেরিয়ে আসবে তা ছত্রাকনাশক হিসাবে ট্রাইকো-লেচেটে স্প্রে করা হবে। একই সময়ে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল জৈব সার প্রস্তুত থাকবে আপনি সকাল 9-11 বা বিকাল ৪-৫০ এর মধ্যে রোদ অবস্থায় সমস্ত ওষুধ বোর্ডোমিক্সার স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন। অজৈব ছত্রাকনাশক হিসাবে আপনি ছোট চারাগুলির জন্য কপার গ্রুপ মেডিসিন চ্যাম্পিয়ন (পেট্রোকাম) বা ব্লিটক্স (অটো) স্প্রে করতে পারেন। বড় গাছগুলির জন্য আপনি অ্যাক্রোভ্যাট এমজি (পদ্মা) / রিডমিল সোনার / কম্পিয়েনিয়ান / অটোস্টাইন ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তবে আপনি পাতার উপরের বা নীচে বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড় দেখতে পাবেন যেমন জব পোকামাকড়, সাদা মাছি পোকামাকড়, মিলিবাগস, মাকড়সা বা থ্রাইস পোকামাকড়। এছাড়াও বিভিন্ন পাতা খাওয়ার পোকামাকড় রয়েছে যেমন লিফোপারস, উইভিলস, বিটলস এবং পাতাযুক্ত পোকামাকড়। এই কীটপতঙ্গগুলি হ্রাস করতে আপনি নিজের ওষুধ তৈরি করতে পারেন একটি 2 লিটারের বোতলে 1 লিটার পানি নিয়ে তাতে 5 টি পেঁয়াজের লাল লেপ 5/7 দিনের জন্য রেখে দিন, তার সাথে 4 লিটার জল মিশিয়ে ভিজিয়ে স্প্রে করুন পাতা, কান্ড এবং শিকড় । আঠালো হলুদ ট্র্যাপ (এসিআই) পোকামাকড় চুষানোর জন্য কার্যকর পদ্ধতি তবে নীল ফাঁদ বা সাদা ট্র্যাপ (ইস্পাহানী সংস্থা) থ্রাইসের জন্য সবচেয়ে ভাল কাজ করে। এছাড়াও ইমিডাক্লোরোপিড গ্রুপের কীটনাশক (উদাঃ এমিটাফ / টিডো) বা একতারা মিশিয়ে এক লিটার পানিতে অর্ধেক হারে স্প্রে করুন। মাকড়সার আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে সালফার সার পাতার নীচের দিকে স্প্রে করতে হবে এবং পোকামাকড়ের ক্ষেত্রে ভার্টিম্যাক স্প্রে করতে হবে। আপনি যদি থ্রিপসের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন তবে ইন্টারপিড (পদ্মা) বা পাইরাজিন (এসিআই) বা স্প্লেন্ডার (জাতীয়) ব্যবহার করুন। ফলটি বাছাই না করা পর্যন্ত প্রতি 10-15 দিন একবার এটি দিন। ফলটি যদি ব্যবহারের উপযোগী হয় তবে অকারণে কীটনাশক দেবেন না। পাতা খাওয়ার পোকামাকড়ের ক্ষেত্রে সাইপ্রমেথ্রিন গ্রুপ (রিপকার্ড) বা ক্লোরোপাইরিফোস গ্রুপ (দারসবান বা মর্টার) বা সাম্প্রতিক ভলিউম ফ্লেক্সি যদি আপনি প্রথমে তাদের হাতে না হত্যা করেন তবে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। বর্তমান ইমিডান (পেট্রোকাম) পাতার পোকা বা পোকার পোকা থেকে রক্ষা করতে ভাল কাজ করে well এগুলি প্রতি 8-10 দিন অন্তর স্প্রে করা দরকার যখন বিষ স্প্রে করা হয় তখন এটি ড্রামের নীচে এবং টবের নীচে স্প্রে করুন কারণ পিঁপড়ার নীড় এর নীচে থাকে এবং পিঁপড়াগুলি ফলের গাছগুলিতে ফলের কুঁড়িগুলি নষ্ট করে দেয়। এছাড়াও, বাজারে পাওয়া ফিনিশ পাউডার পিঁপড়া থেকে মুক্তি পেতে ভাল কাজ করে, আপনি হলুদ গুঁড়ো ছিটিয়ে দিতে পারেন বা 1 লিটার পানিতে 1 চা চামচ বা 5 গ্রাম আকারে স্প্রে করতে পারেন। যাইহোক, অজৈব medicineষধ দেওয়ার পরে 10-15 দিনের জন্য কোনও ফসল সংগ্রহ করা যায় না তবে ছাদের উদ্যানদের আমার পরামর্শটি হল পেঁয়াজের খোসার তৈরি জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা
ছাদের বাগানে কেঁচো কোন উপকারে আসে না কারন ছাদের মাটিতে কেঁচোর পর্যাপ্ত খাবার থাকে না তাই তারা খাবারের জন্য গাছের ক্ষতিই বেশী করে৷ এজন্য প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম পটাশ গুলে ১৫ দিন পর পর গাছের চার দিকে চক্রাকারে দিন এতে কেঁচো হবে না আপনার শখের বাগানে । তবে সাধারন জমির জন্য কেঁচো অত্যন্ত উপকারী প্রাণি, একে প্রকৃতির লাঙ্গল বলা হয় কারন কেঁচো মাটির আলোবাতাস প্রবেশে সাহায্য করে এবং উর্বরতা বৃদ্ধি করে৷ তাই জমির কেঁচোকে কোনভাবেই মারবেন না৷ আপনি চাইলে যেকোন পোকা দুরীকরনে জৈব বালাইনাশক ও ব্যবহার করতে পারেন৷ নিম পাতা সিদ্ধ করেন সেই পানি ঠান্ডা করে স্প্রে করে দিতে পারেন। বাজারে পাওয়া জৈব বালাইনাশক যেমনঃ বায়োট্রিন, ইকোম্যাক(ইস্পাহানি) ব্যবহার করতে পারেন । পোকা তাড়াতে বাগানে নিম গাছ, করলা ও রসুন চাষ করতে পারেন সব সময়৷ চার কোনায় রাখতে পারেন নিম গাছ মাঝামাঝিতে লাগাতে পারেন করলা, রসুন এছাড়া বিভিন্ন কোনায় দিতে পারেন আপনার ইচ্ছা মতো । সব সময় বাগান পরিস্কার রাখার চেষ্টা করবেন এতে ও পোকা মাকড় কম হবে ।
টবের মাটি কিভাবে পরিবর্তন করবেন?
টব বা ড্রামের মাটি পরিবর্তন করবেন? কিন্তু কিভাবে করবেন বুঝতে পারছে না? আসুন জেনে নেই উপায় । সাধারনত: টবে ফল গাছ লাগানোর এক থেকে দুই বছরের মধ্যে শিকড়ে টব ভরে যায় । ফলে ধীরে ধীরে ফলন কমে যেতে থাকে । তাই প্রতি বছর গাছের ফলন ঠিক রাখতে হলে টবের আংশিক মাটি পরিবর্তন করতে হবে ।
কিভাবে মাটি পরিবর্তন? কোন গাছগুলি পরিবর্তন করা দরকার তা শনাক্ত করুন। সেই অনুযায়ী নতুন মাটি সংগ্রহ করুন। আপনার শুধু মাটি সংগ্রহ করতে হবে না। মাটি ভালভাবে প্রস্তুত করুন। মাটির প্রস্তুতির নিয়মগুলি আগের মতোই। মাটি পরিবর্তনের কমপক্ষে 15 দিন আগে মাটি প্রস্তুত করা উচিত। শিকড়যুক্ত মাটি ড্রাম বরাবর আড়াই ইঞ্চি এবং আট ইঞ্চি গভীরতায় কাটা হয়। আপনি আপনার টব বা ড্রামের আকার অনুযায়ী মাটি কেটেছেন। পূর্বে প্রস্তুত মাটি দিয়ে স্থানটি পূরণ করুন। আরও কিছুটা জল যোগ করুন। এই বছর টবের মাটি বদলেছে। প্রতি বছর একই নিয়ম কাজ। তদতিরিক্ত, অভ্যাসটি যা আপনি নতুন ড্রাম পূরণের 6 মাস পরে করবেন ১) এক লিটার জলে আধা চা-চামচ ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ এবং এক চিমটি সালফার (৮০%) সার মিশ্রিত করুন বা বাজারে এনপিকেএস মিশ্রণটি শুরুতে যোগ করুন। মাসে একবার দিন। ২) 10 দিন পরে এক লিটার পানিতে এক চিমটি সালুবার বোরন এবং চিলেটেড জিঙ্ক দিয়ে স্প্রে করুন। মাসে একবার দিন আপনি অন্যান্য উপায়ে সার তৈরি করতে এবং এটি গর্ত বা অর্ধ ড্রামে প্রয়োগ করতে পারেন 1. তরল গোবর সার এবং ফসফেট মিশ্রণ: (ফুল এবং ফল গাছের জন্য) আপনি যদি খুব দ্রুত গোবর সার ব্যবহার করতে চান তবে আপনি এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। গোবর হজম করতে এক বছর সময় লাগে। তবে এই পদ্ধতিটি 15 দিনের মধ্যে তরল সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। 10 কেজি গোবর, 2 কেজি টিএসপি, 10 লিটার জল খুব ভাল মিশ্রিত করুন এবং 15-16 দিন রেখে দিন। গ্যাস বের হওয়ার জন্য টানা ২-৩ দিন কাঁপুন। 18 দিনের পরে, 500 ঘন মিশ্রণ থেকে তরল সার + 5 লিটার জল = উদ্ভিদ সার প্রয়োগ করা হয়। প্রতিটি গাছে 100 মিলি তরল সার দেওয়া ভাল তবে খুব বেশি পরিমাণে বিষের কারণ হতে পারে।
২. তরল খাইল সার: (শাক শাক বা ফুলের জন্য) 250 গ্রাম খাইল + 5 লিটার জল ঝাঁকুন এবং 5 দিন ধরে রাখুন। তবে মিক্স করতে প্রতিদিন ঝাঁকুনি দিন। 5 দিন পরে, 500 মিলি তরল সার + 5 লিটার জল গাছের সাথে 100 মিলি অনুপাতের মধ্যে প্রয়োগ করুন। এটি গন্ধ পাবে, আপনাকে একটি মুখোশ পরতে হবে 3 | জৈব সার 40 কেজি ইউরিয়া 150 গ্রাম, টিএসপি 300 গ্রাম, পটাশ 150 গ্রাম, জিপসাম 150 গ্রাম, চ্লেটেড জিঙ্ক 10 গ্রাম, বোর্ন 10 গ্রাম প্রতি 6 মাসের ব্যবধানে বা বর্ষার আগে এবং পরে যা করে এবং 10 বছরেরও বেশি গাছের জন্য পুরানো, দ্বিগুণ পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে

Tuesday, March 23, 2021

বীজ জার্মিনেশন

 বীজ জার্মিনেশন

বীজ জার্মিনেশন।

প্রথমে বীজগুলো ৫/৬ ঘন্টা রোদে দিয়ে রাখলাম, রোদ থেকে উঠিয়ে ৩০/৪০ মিনিট ঘরের ভেতর ফেলে রাখলাম। তারপর ১ দানা পটাশিয়াম পার ম্যাংগানেট (ফার্মেসীতে পাওয়া যায়) দিয়ে ২৫/৩০/৩৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে বীজ শোধন করে নিলাম (ট্রাইকোডার্মা ছিল না বলে এটা দিয়ে করলাম)। তারপর হালকা গরম পানিতে সন্ধ্যা ৬ থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখলাম। তারপর পানি থেকে তুলে টিস্যুতে ঢেকে রেখে পানির ছিটা দিয়ে টিফিন বক্সে ঢাকনা লাগিয়ে রেখে দিলাম ২/৩ দিন। মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় বেশিরভাগ বীজ-ই জার্মিনেট হয়ে গেল।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Wednesday, March 17, 2021

বোরোধান ব্রি ২৮ কিভাবে সার প্রয়োগ করবেন

 বোরোধান ব্রি ২৮ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য 

বোরোধান ব্রি ২৮  সার প্রয়োগ

ধান রোপন করার আগে কিভাবে সার প্রয়োগ করবেন তা জেনে নেওয়া উচিত ছিল 

সার প্রয়োগ ধাপগুলি 

ধাপ-১

- জমি চাষ ভালোভাবে করতে হবে তারপর জমিতে প্রতি শতক অনুযায়ী ১ কেজি টিএসপি সার ও ১ কেজি এমওপি সার দিতে হবে

ধাপ-২

- ধান রোপন পর ৩দিন থেকে ৭দিন এর ভেতর আগাছাদমণ পাউডার এর সাথে শতকে ১ কেজি করে দিতে হবে 

ধাপ-৩

-১৮থেকে২২ দিন এর মধ্য শতক অনুযায়ী ডিএপি প্রতি শতকে ১কেজি আর টিএসপি ২কেজি ইউরিয়া ২কেজি দিতে হবে সাথে ম্যাগনেসিয়াম সালফার দিতে হবে তারপর থিয়োভিট বা সালফোকেম আর ভিরতাকো স্প্রে করতে হবে 

ধাপ -৪

- জমি দেখে সার প্রয়োগ করতে জমি ভালো থাকলে ইউরিয়া ১কেজি শতক অনুযায়ী আর এমওপি ১কেজি দিতে হবে 

খারাপ থাকলে ইউরিয়া ২কেজি আর এমওপি দেওয়ার দরকার নেই ভিটামিন থিয়োভিট দিতে হবে স্প্রে করে

ধন্যবাদ

rajkhan



Saturday, March 13, 2021

ধানের ব্লাস্ট রো

 ধানের নেক বা শীষ ব্লাস্ট রোগ



ধানের ব্লাস্ট রোগ।





এটি এক ধরণের ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ। Magnaporthe oryzae নামক ছত্রাক দ্বারা এই রোগটি হয়ে থাকে।  


শিশির বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় ধানের শীষের গোড়ার সংযুক্ত স্থানে পানি জমে। ফলে উক্ত স্থানে ব্লাস্ট রোগের জীবাণু আক্রমণ করে। ফলে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বা কালো রঙের দাগ পড়ে। এক পর্যায়ে ধানের শীষের গোড়ায় পচন ধরে। গাছের গোড়া পচে যাওয়ার জন্য গাছের খাবার ঠিকমতো শীষে যেতে পারে না তাই শীষ ভেঙে যায়। ধানের পরিপুস্ট হওয়ার আগে এই রোগ হলে শীষের সব ধান চিটা ধান হয়ে যায়।যদি ধান গাছের মিল্ক স্টেজে রোগটি দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে চিটা ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি অনেক পরে আক্রান্ত হয় তবে নিম্নমানের ফসল পাওয়া যাবে।


ব্লাস্ট রোগটি হওয়ার কারণঃ (অনুকূল পরিবেশ)

1.দিনের বেলায় গরম (২৫°-২৮° সেন্টিগ্রেড), রাতে ঠান্ডা (২০°-২২° সেন্টিগ্রেড)

2.অধিক আদ্রতা(শতকরা ৮৫ ভাগ বা তার বেশি)

3.শিশির ভেজা দীর্ঘ সকাল

4.মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া

5.গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি


পরামর্শ: জমিতে পানি ধরে রাখুন ।

ধানের শীষ বের হওয়ার আগ মুহুর্তে এবং বের হওয়ার পর (৭ -১০দিন ব্যবধান) একর প্রতি   এমিস্কোর -২০০ মিলি অথবা ক্রপসেপ  ৫০মিলি  হারে শেষ বিকেলে স্প্রে করুন ।

সৌজন্যে---------------------



 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             





Tuesday, March 9, 2021

ওয়েস্ট ডিকম্পোজার কি।

  

ওয়েস্ট ডিকম্পোজার কি।

প্রথমে ওয়েস্ট ডিকম্পোজারের উপাদান  সমন্ধে জানা উচিত।  যেকোনও  প্রাণীর মতোই তৃনভোজী প্রাণীর পাচনতন্ত্রে অসংখ্য প্রকারের উপকারী অনুজীব রয়েছে এবং বিভিন্নরকম অনুজীবের কার্যকলাপ আলাদা।  এইসব অনুজীব  মলের সাথে শরীরের বাইরে আসে। গরুর মল অর্থাৎ  গোবরের থেকে দুই চারটে প্রজাতিকে আলাদা করা হয়েছে যারা সেলুলোজকে দ্রুত ভেঙে দেয়।  বর্তমানে এর সাথে মাটির অজৈব যৌগ থেকে ফসফেট মুক্তকারী ব্যাকটেরিয়াও যুক্ত করা হয়েছে।  এইসব অনুজীবকে আমরা অতি সহজেই উপযুক্ত মাধ্যমে রেখে প্রভুত পরিমাণে বংশবৃদ্ধি করাতে এবং সেটাকে কাজে লাগাতে পারি।  

তাহলে এই ওয়েস্ট ডিকম্পোজার ব্যবহার করে আমরা খড়, পাতা ইত্যাদি সেলুলোজ জাতীয় পদার্থকে দ্রুত সারে পরিনত করতে পারি এবং মাটিতে স্প্রে করে মাটি থেকে দ্রুত অজৈব ফসফেটকে জৈব ফসফেটে পরিনত করতে পারি।   

এইটুকু পড়ে সবাই হয়তো খুব উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন কিন্তু যেকোনও কিছুর উপকারের সাথে অপকারও বিচার করার আছে।  বিভিন্ন কৃষি গ্রুপে অসংখ্য নির্বোধ ওয়েস্ট ডিকম্পোজারের ঢালাও প্রচার করছে এবং এটাকেই চমৎকারী জীবাণু সার হিসাবে চিহ্নিত করছে।  

যদি জমিতে ওয়েস্ট ডিকম্পোজার জমিতে স্প্রে করি তাহলে কি হবে?  এর ফলে  শুধুমাত্র দুই চার প্রজাতির অনুজীবের সংখ্যা খুবই বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য অসংখ্য প্রকারের উপকারী অনুজীবের সংখ্যা  কমে যাবে।  এরা খড়কুটোকে সারে পরিনত করে সাময়িকভাবে গাছের উপকার করবে কিন্তু অনান্য অনুজীবকে মেরে অনেক বেশি ক্ষতি করবে।  যদি জমিতে নাইট্রোজেন সঞ্চয়কারী বা জিব্বারেলিক অ্যাসিড তৈরি করা বা নেমাটোড ধ্বংসকারী  প্রভৃতি অনুজীব খুব কমে যায় তাহলে কি হবে?  নিশ্চয়ই খুব খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হবে না।

গরমের সময় মাটির উপরে খড়কুটো দিলে মাটির তাপমাত্রা কম থাকবে এবং মাটির আর্দ্রতা  বাড়বে এবং ফলস্বরূপ জমিতে বিভিন্ন উপকারী অনুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি অনেক বৃদ্ধি পাবে। উপকারী অনুজীব এইসব খড়কুটো থেকে ধীরেধীরে গাছকে বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্ট সাপ্লাই করবে।   এইসব  কারনে  খড়কুটো জমিতে ছড়িয়ে দিয়ে অপেক্ষাকৃত গরমেও চাষবাস ভালো হয়। 

 

বর্ষাকালে এটাই ভূমিক্ষয় রোধ করে মাটির উর্বরতা বজায় রাখবে।  বালি মাটিতে বর্ষাকালে ভূমিক্ষয় বেশি হয়।  যদি বালি মাটিতে বর্ষাকালে ওয়েস্ট ডিকম্পোজার ব্যবহার করা হয় তাহলে জলধারণ ক্ষমতা ও ক্যাটায়ন এক্সচেঞ্জ ক্ষমতা কম হওয়ায়  কিছু নিউট্রিয়েন্ট অপেক্ষাকৃত তাড়াতাড়ি মাটি থেকে জলের মাধ্যমে চলে যাবে।  

তাহলে কি ওয়েস্ট ডিকম্পোজারের উপকারিতা নেই?  অবশ্যই আছে কিন্তু সেটা তখনই যখন এই খড়কুটো আপনার কাছে সমস্যা বা অতিরিক্ত পরিমান রয়েছে।  তখন ওয়েস্ট ডিকম্পোজার ব্যবহার করে একটা জায়গায় খড়কুটোকে সারে পরিনত করুন।  সারে পরিনত হওয়ার পরে এতে সেলুলোজ নগন্য হয়ে  যাওয়ায় খাবারের অভাবে ওয়েস্ট ডিকম্পোজারের অনুজীবের সংখ্যাও নগন্য হয়ে যাবে। তখন এই সার স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। 

এইসব কারনে কোম্পানির প্রচার বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তির কথায় নাচানাচি করবেন না।  ওয়েস্ট ডিকম্পোজার শর্তসাপেক্ষে  শুধুমাত্র ওয়েস্ট ( যদি খড়কুটো সমস্যা হয়ে দাড়ায়) ডিকম্পোজ করতে ব্যবহার করুন এবং জীবামৃত সারের কাজ জীবামৃত সারকে করতে দিন।

সংগ্রহীত পোষ্ট  Group by  কৃষি পরামর্শ

নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             

মিষ্টি কুমড়া চাষে রোগ বলাই ও জাত ।

লাওয়ের ফলন বৃদ্ধি।

ব্রাসেলস স্প্রাউট বা মিনি বাঁধাকপির চাষাবাদ পদ্ধতি|

জৈব বা অরগানিক শাকসবজি।

টমেটো চাষ করার পদ্ধতি মৌসুমে এবং অ মৌসুমে ।

উন্নত পদ্ধতিতে করলার চাষ।

বেগুন চাষের পদ্ধিতি।

মিষ্টি আলু চাষ।

বেগুনের উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাত।

ঢেঁড়স চাষ

বছর ধরে সবজি চাষের পদ্ধতি লাভজনক।

শিম চাষে জাব পোকার আক্রম

Monday, March 8, 2021

খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে।

  সব ভাইদের আমার সালাম এবং শুভেচ্ছে। একটা বিষয়ে সব ভাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি। সেটা হলো আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে সবচেয়ে খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে।

 জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি সহ আর নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে যেমন, অসময়ে বন্যা,খরা, অতিবৃষ্টি, সময়মত বৃষ্টি না হওয়া, অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রকোপ যা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে আমরাই সহ্য করতে পারি না। 

এমতাবস্থায় ফসল সহ্যক্ষমতাটা আমরা নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছি। গ্রামীন একটা প্রাবাদ আছে """" এক ঘুচি আর এক কাচি"" মানে হচ্ছে এটাই যে কৃষকেরা আগের ফসলের জমিতে চারা রোপন করে চলে আসতো আর ধান কাটার সময় হলে ধান কেটে ঘরে তুলতো কিন্তুু জলবায়ু পরিবর্তন এবং অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে এখন আর এই প্রবাদটি মানানসই নয়।এখন  ফসল উৎপাদনের জন্য চারা উৎপাদন থেকে শুরু চরা রোপন এবং ফসল কর্তনের পূর্ব পর্যন্ত বিভন্ন রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দেয়। এই দীর্ঘ সময়ে ফসলকে রোগমুক্ত এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে ফসলেকে রক্ষা করতে ব্যাবিচারে আমরা বালাইনাশক ব্যাবহার করছি যা ফলে পরিবেশের উপর যেমন প্রভাব পরছে তার সাথে সাথে মানুষ তার প্রতিফল ভোগ করতে শুরু করছে ( বিভন্ন রকম রোগ,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া) এবং সেই সাথে ফসলের পোকামাকড় ও রোগে আক্রমণ আরো তীব্র হচ্ছে। এই কয়েকবছর যাবত কীটনাশক চাড়াত ফসল উৎপাদনের কথা চিন্তাই করা যায় না।  কি এমন হলো হঠাৎ করে ফসলের রোগ আর পোকামাকড়ের উপদ্রব এতোটা বেড়ে গেলো। 

সামান্য একটু  মূল বিষয়ে আজকে কথাটা শেষ করবো,  ফসল উৎপাদনের ফলে রোগ এবং পোকামাকড় ধমনে আমরা যারা যে পরামর্শ প্রাধান করছি তার বিপরীত পতিক্রিয়াটা একটু যেন চিন্তা করি। যে মাঠে ফসল উৎপাদন হচ্ছে সেই মাঠে বর্ষা মৌসুমে মাছের আবাস্থল হিসবে আবহমান কাল থেকে দেখে আসছি। কিন্তুু ফসল উৎপাদনের সময় নির্বিচারে কীটনাশক ব্যাবহার করে খাদ্য যেমন বিষাক্ত করে তুলছি তেমনি মাছের আবাসস্থল কতোটা নিরাপদ রাখছি আর  সেই মাছ কতোটা নিরাপদ পরিবেশ  উৎপাদন বা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার প্রশ্নটা নিজে নিজেই খুঁজতে থাকুন। ফসল উৎপাদনে সময়ে নির্বিচারে কীটনাশক ব্যাবহারে যেমনটা খাদ্যকে বিষাক্ত করে তুলছি তেমনি মাছের আবাসস্থল বিষাক্ত করে মাছকে বিষাক্ত করে "মাছে ভাতে বাঙালি"  কথাটা " বিষাক্ত ভাতে আর বিষাক্ত মাছে  ভাঙালি" করতে যাচ্ছি। 

 পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই যে রোগ দমনের চেয়ে প্রতিরোধ করাটা উত্তম সেই প্রচেষ্টা  সবাইকে করতে হবে।  তার ভালো বীজ এবং বীজশোধনের প্রতি গুরুত্ব বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ এখন বিভিন্ন কোম্পানির যারা এখন পরামর্শ দিচ্ছেন কোম্পানির সেল বাড়ানোর জন্য তারা যেন মাঠ পর্যায় গিয়ে শুরু থেকে কৃষকদের পরামর্শ প্রধান করেন এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা মাথায় রাখেন।

ধন্যবাদ

akmol.phatan

সৌজন্যে---------------------


  নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             


Wednesday, March 3, 2021

ট্রাইকোডার্মা ছত্রাকের বৈশিষ্ট্য|

 কৃষিপ্রধান দেশে বাস করেও আমরা কৃষিভিত্তিক কাজকে আমরা এখনো অবহেলা করে চলি। আর কৃষকসমাজ তো এটাকে নিয়তি বলেই মেনে নেয়। যাকে বদলানো যায়না।

ট্রাইকোডার্মা ছত্রাক


আমিও বদলাতে চাইনা তবে যত্ন নিতে চাই। শক্তিশালী করতে চাই, টেকসই বানাতে চাই। আমাদের সাধ্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে শ্রেষ্ঠটা।
আজকে আমি এমন একটা অনুজীব নিয়ে কথা বলবো যা আমাদের কৃষি ভবিষ্যতের টার্নিপয়েন্ট হতে পারে। যাকে আমরা ট্রাইকোডার্মা নামে চিনি।
এগুলো একধরনের ছত্রাক। বলা যায় রাক্ষুসে ছত্রাক যা অন্য ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, নেমাটোডসকে গ্রাস করে ফেলে এবং পচনে ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে উদ্ভিদের ক্ষতিকর সব ছত্রাক মেরে প্রাকৃতিক সুরক্ষা দান করে।


ট্রাইকোডার্মা ছত্রাকের কিছু স্পেশাল বৈশিষ্ট্যঃ
* দ্রুত বর্ধনশীল।
*কক্ষতাপমাত্রায় (২৫-৩০) তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ বংশবিস্তার ঘটে।
* উদ্ভিদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
* প্রায় সকল প্রকার ছত্রানাশকের উপর এই গোত্রের ছত্রাক সেনসিটিভিটি দেখায়।
* বিভিন্ন ফরমুলেশনে এই জমিতে ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ জৈবসারের সাথে মিশিয়ে, পাউডার ফর্মে ইত্যাদি। তবে ফলিয়ার স্প্রে হিসেব ব্যবহারের কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনো অনিশ্চিত। তবে আশা করা সেটাও করা যাবে।
* অক্সিজেন এর উপস্থিতি, অনুপস্থিতি দুই কন্ডিশনেই বাঁচতে পারে।
* ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত ট্রাইকোকম্পোস্ট জমিতে একদিকে যেমন উৎকৃষ্ট সার হিসেবে কাজ করে অন্যদিকে ছত্রানাশক হিসেবে গাছের বর্ডারগার্ড এর মত কাজ করে।
পরিশেষে বলা যায়, ট্রাইকোডার্মাকে বলা যেতে পারে গাছের সকল রোগের এক ভাক্সিন।



Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...