Monday, October 11, 2021

ধানের আইলে সবজি চাষ




ধানের আইলে সবজি চাষ

                                        ধানের আইলে সবজি চাষ


জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের দেশ আয়তনে অনেক ছোট আবার পারিবারিক পৃথকীকরণের কারণে প্রতি বছর চাষের জমি ভাগ হচ্ছে এবং জমির মাঝখানে গড়ে উঠছে নতুন নতুন আইল। ফলে দিন দিন আইলের পরিমাণ বাড়ছে। অনেক আগের পরিসংখ্যানে জানা যায়, বাংলাদেশের সব আইলের আয়তন এক করলে প্রায় বৃহত্তর প্রাই বগুড়া জেলার সমান হবে। 

কিন্তু এ আইলের প্রায় পুরোটাই অব্যবহূত পড়ে থাকে। কোনো উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহূত হয় না। কাজেই খাদ্যের অভাব পূরণে এবং সবজির চাহিদা মেটাতে এসব অব্যবহূত আইল সমূহ সবজি চাষের আওতায় আনা যায়।


আইলে যেসব সবজি চাষ করা যায়: 


আইলে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা যায়। তবে সাধারণত যে সব সবজি চাষ করা হয় তার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে শিম জাতীয় সবজি (দেশি শিম, বরবটি ইত্যাদি), ঢেঁড়শ, লাউ, পুঁইশাক, গিমা কলমি, কাঁকরোল, টমেটো, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কুমড়া, অড়হর, সরিষা ইত্যাদি। মাঝারী উঁচু এবং উচুঁ জমির আইলে সারা বছর এ সব সবজি চাষ করা যায়। এতে মূল ফসল যেমন- ধান ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না, বরঞ্চ লাভই হয়। বর্তমান চট্টগ্রাম , বগুড়া এবং যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় জমির আইলে সবজি চাষ করা হয়। 


আইলে সবজি চাষের সময়: 


প্রধান ফসল অর্থাৎ ধান ফসল রোপণ বা বপনের সাথে মিল রেখে আইলে সবজি বপন বা রোপণ করতে হবে।আমাদের যে সব জমিতে ধান চাষ হয় সে সব জমিতে একটু ইচ্ছা করলেই খুব ভালো ভাবে সবজি চাষ করা যায়। আমাদের পরিবারের চাইহদা মেটানো সম্ভাব এই চাষ করে । নিম্নে আলোচনা করা হলো ।


 মাঝারী উঁচু এবং উঁচু জমির আইল সাধারণত সবজি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে। বন্যা বা অতিবৃষ্টিতে ডুবে যায়  এমন আইল সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। প্রথমে আইলকে পরিস্কার করে মাটি কুপিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। তারপর যেসব সবজি ছিটিয়ে বুনা হয় সেগুলোর বীজ আইলের উপর বপন করতে হবে। আর যেগুলো মাদায়/গর্তে রোপণ করা হয় সেগুলোর জন্য মাদা/গর্ত করতে হবে। ধানের বীজতলা তৈরির সাথে সাথে পলিব্যাগে সবজির চারা তৈরি করে নিতে হবে। জৈব ও অজৈব সার মিশিয়ে সুস্থ ও সবল চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে রোপণ করতে হবে।


 আইলকে সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে মাটি আলগা করে নিতে হবে। এতে মাটির রস অনেকদিন ধরে এবং অধিক উৎপাদন পাওয়া সম্ভব। প্রয়োজন অনুযায়ী অনুমোদিত মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে। লতা জাতীয় সবজিতে জাংলা দিতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সবজিতে সেচ না দিলে আশানুরূপ ফলন নাও হতে পারে। আইলের সবজিতে বিভিন্ন ধরনের বালাইয়ের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। সবজির এসব বালাইকে আইপিএম এর আলোকে দমন করতে হবে অথবা ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে।সাধারণত যে সব সবজি চাষ করা যেতে পারে ফসলের আইলে লালশাক,মুলা ,লাউ ,মিষ্টি কুমড়া,চিচিঙ্গা,ঝিঙ্গা,পালন শাক,পুইশাক,ইত্যাদি।



এই চাষ করার জন্য দরকার নিজের ইচ্ছা শক্তি । কিছু সবজির বীজ বাজার থেকে ক্রয় করে বুনে বা লাগিয়ে দিলে ্হবে। আর একটু দেখ ভাল করা । আপনার ফসল ও হবে পাশাপাশি সবজি । সাধারণত বাজার থেকে ক্রয় করা সবজি সার বা ঔষধ দেওয়া থাকে কিন্তু আপনি যখন নিজে উপাদন করবেন তখন সেটা হবে অর্গার্নিক ।এখন আপনারি ইচ্ছা শক্তি।


ধন্যবাদ ভালো থাকবেন




Saturday, October 9, 2021

শিমের ফুলের স্টিক/শীষ পচা রোগ।

 শিমের ফুলের স্টিক/শীষ পচা রোগঃ

______________________________

শিমের ফুলের স্টিক/শীষ পচা রোগ।




শিমের রোগগুলোর মধ্যে শিমের ফুলের স্টিক বা শীষ পচা রোগ একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগে অনেক সময় ফলন শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।  বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক দিয়েও তেমন আশানুরূপ কোন ফল পাওয়া যায় না। অনেক এলাকায় কীটনাসকের দোকানদ্বারগণও তেমন কোন সমাধান দিতে পারেন না।

এর কারন এই রোগটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানা থাকে না। 

শিমের ফুল যখন ফুটবে  ঠিক তখন এর আক্রমণ হয়। 


লক্ষণঃ ভেজা ভেজা দেখা যায়।হাত দিলে

 আঠালো মনে হয়।চাপ দিলে রস বের হয়।পিচ্ছিল মনে হয়।


 আক্রমণের স্থানঃ স্টিক বা শীষে যেখান থেকে

 ফুল শুরু হয় ঠিক সেখান থেকে আক্রমণ করে।


সাদৃশ্যঃ ধানের শীষের নেক  ব্লাস্ট।


কারনঃ আবওহাওয়া জনিত কারন।দিনে গরম রাতে ঠান্ডা।


রোগের নামঃ 

___________

সাধারনত এনথ্রাকনোছ বলা হয়ে

 থাকে। তবে এটিকে শিমের নেক ব্লাস্ট বলা উচিৎ। তাহলে যে কেউ রোগের নাম শুনলেই চিকিৎস্যা দিতে পারবে।

কেননা এনথ্রাকনোছের ওষুধ দিলে আক্রান্ত অংশ সুস্থ্য হলেও পুনরায় আক্রমণ হয়।

কিন্তু ধানের নেক ব্লাস্ট এ ব্যবহৃত ছত্রাকনাশক দিলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ধানের নেক ব্লাস্টে এমিস্টার টপ,কমবি২,  এগুলা দিলে আক্রান্ত অংশ ভাল হয় তবে পুনরায় আক্রমণ করে। শিমের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।


প্রতিকারঃ টেবুকোনাজল+ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। যেমনঃ ভেলিন,নাটিভো,বিঙ্গো ইত্যাদি।সাথে একটু কার্বান্ডাইজিম দিতে পারেন। তবে মেনকোজেব দিবেন।

ধানের নেক ব্লাস্টেও এই একই ওষুধ প্রয়োগ করবেন।




বিশেষ কথাঃ অনেকেই  নিয়মিত শিম ক্ষেতে  নাটিভো দেওয়াতে তাদের ক্ষেতে আক্রমণই হয়না। তাই তারা এই রোগ বিষয়ে জানেন-ই না।

Wednesday, October 6, 2021

জৈব সার

 জৈব সার বলতে কি বুঝো? জৈব সারের কয়েকটি উদাহরণ

জৈব সার ।


জীবিত উৎস থেকে উৎপন্ন সার কে জৈব সার বলে, আর বিশদভাবে বললে প্রাণীর বিষ্ঠা ও মূত্র বা সরাসরি ভাবে প্রাণী ও উদ্ভিদের শরীর বা শরীরের অংশ থেকে যে সার তৈরি হয় তাকে জৈব সার বলে , এর উল্টো দিকে রয়েছে খনিজ প্রদার্থ থেক তৈরি কারখানায় রাসায়নিক পদ্ধতিতে তৈরি সার যেমন কিনা বাজারে ইউরিয়া ডিএ পি পটাশ প্রভৃতি নামে পাওয়া যায় –

আমরা যে জৈব চাষ নিয়ে প্রতি নিয়ত পোস্ট গুলি করব সেটি জৈব চাষ বলতে শুধু গোবর দিয়ে নয় , গোবর সার ও গমুত্র এর সাথে আর কিছু বস্তু মিশিয়ে জীবাণুর বৃদ্ধি ঘটিয়ে কম গোবরে অধিক জমি চাষ কিভাবে হয় তা জানবো , একটি দেশী গাই যদি থাকে তবে তা দিয়ে আপনি 30 একর জমি জৈব তে চাষ করতে পারবেন , যা শুধু গোবর দিয়ে করলে 10 টি গুরুর প্রয়োজন হবে , মনে রাখতে হবে চাষ মানে জীবাণুর খেলা আমরা যা কিছুই জমিতে প্রয়োগ করি তা জীবাণু গাছের খাদ্য হিসেবএ তৈরি করে , জীবাণু গাছের খাদ্য রান্না করে গাছকে খায়াতে সহাজ্য করে , জীবাণু যত বেশি হবে গাছের বৃদ্ধি ফল তত বেশি হবে , আমরা এটাও জানি না হয়তো মাটি তে কি আছে এক কোথায় বলতে আমরা অন্ধকারে শুধু হাত ঢুকিয়ে দেই তাতে কি উঠবে জানি না ,অর্থাৎ মাটিতে সার প্রয়োগ করি না জেনে কিন্তু সেই জায়গায় কম খরচে জমিতে যত বেশি জীবাণু সারের ব্যাবহার বাড়াবেন তত বেশি ফলন বৃদ্ধি হবে আর তা আমরা বাড়িতেই প্রায় বিনা পুজিতে প্রস্তুত করতে পারবো , মনে রাখতে হবে উৎপাদিত ফসলের দাম আপনার হাতে নেই কিন্তু উৎপাদন খরচ আপনার হতে আছে , যত খরচ কমাতে পারবেন দাম কম পেলেও শেষ হাসিটা আপনি হাসবেন রাসায়নিক সার ব্যাবহার কারি কৃষক নয়, কারণ তাদের ফসলের বাজার এবং সারের দোকান দুজনেই লুটে খায় ,
জৈব সারের মধ্যে আজকে আমরা তরল জৈব সার অমৃত পানি (মিরাক্কেল/ভিটামিন ) প্রস্তুত শিখবো , মিরাক্কেল কথার সাথে আমরা চিকিত্সা ক্ষেত্রে অনেকেই জেনে থাকি যে বিজ্ঞান যেখানে হার মনে তার পরেও বেচে ফিরে তাকে বলে এটা একটি মিরাক্কেল , ঠিক এই সারের গুণ তাই যার আশা নেই তবু বেচে ফিরে ফলন দিবে সেই গাছ ও আর ফলন দেয় ।


**উপাদান –--
ক, দেশী গরুর গোবর 1 কেজি
খ, দেশী গরুর গমুত্র 1 লিটার
গ, চিটা গুড় 50 গ্রাম
ঘ ,পচা কলা 6-7 টি
ঙ, জল 10 লিটার
চ, এক কাপ ভাতের ফ্যান
ছ 50 গ্রাম বেশন
জ এক মুঠো মাটি বট বা পাকর গাছের গোড়ার
ঝ , একটি 50 লিটার ড্রাম
**তৈরির পদ্ধতি – উপরের সবটা একটা পাত্রে নিয়ে ভাল করে হাত দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে 50 লিটারের ড্রামে ঢালুন তার পর জল ঢালুন এবং একটি লাঠি নিয়ে ভাল করে ঘেটে দিয়ে একটি অন্ধকার জায়গায় 3 দিন রেখে দিন এবং ঐ 3 দিন দিনে 3 বার একটি লাঠি দিয়ে 10 বার সোজা এবং 10 বার উল্টো করে ঘাটবেন ,
ব্যাবহার –
চতুর্থ দিনে আপনার অমৃত পানি রেডি হয়ে গেছে এবার ব্যাবহার করতে পারেন , তবে যতদিন ব্যাবহার চলাকালীন ড্রামে থাকবে ততদিন ডাল দিয়ে নিয়মিত ঘোড়াতে হবে দ্রবনটি ,
চারা গাছে ব্যাবহার করলে 1 লিটার অমৃত পানির সাথে 7-8 লিটার জল মেশবেন এবং এবং বড় গাছ হলে 1 লিটার অমৃত পানির সাথে 5-6লিটার জল মিসবেন , গাছের গড়তে দিবেন সঙ্গে গাছের গায়ে দিবেন এবং বিশেষত পাতায় দিবেন , মনে রাখবেন গাছ শুধু শিকড় দিয়ে নয় তার পাতা দিয়েও অহার গ্রহণ করে ,
কিভাবে কাজ করে এই সার---
গবরে রয়েছে অজস্র জীবাণু , বেসন এ রয়েছে রাইবোজিয়াম্ এবং চিটে গুড় ও পচা ফলে রয়েছে উদ্ভিদ ও জীবনুদের নানান খাদ্য , সেই সাথে গাছের গড়ার মাটিতে রয়েছে একধরনের উপকারী জীবাণু , 3 দিন ধরে ঐ মিশ্রণ পছতে থাকে এবং জীবাণু গুলির সংখ্যা বাড়তে থাকে , যত পছতে থাকবে তত জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে থাকে , চতুর্থ দিনে জীবাণু দের সংখ্যা বেশি বারে এর পর আসতে আসতে কমতে থাকে ,তাই চতুর্থ দিন ব্যাবহার করলে মিশ্রণটি ভাল কাজে আসে , এর বিতর্কর উদ্ভিদের খাদ্য ও জীবাণুরা মাটিতে প্রবেশ করে মাটিতে জীবাণুর সংখ্যা বাড়িয়ে মাটি উর্বর করে এবং পাতায় খাদ্যের কাজ করে , তাই দেখা গেছে যে ঐ সর দেয়ার ফলে গাছের ফলন বেড়ে যায় ।
, ভাল লাগলে অবশ্যই পেইজ টি কে ফলো করবেন যাতে পরের পোস্ট খুব দিতেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন এবং পোস্ট টিকে শেয়ার লাইক করবেন যাতে আমরা আরও মানুষের কাছে জৈব চাষ তুলে ধরতে পারি , আপনাদের সহযোগিতা আমদের কাজে অনুপ্ররোনা হিসেবএ কাজ করবে ।
এবং আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের এসএমএস করে জানতে পারেন ,আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করব।

  আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের এসএমএস করে জানতে পারেন এবং তা সমাধান করার চেষ্টা আমরা করব


আরো পড়ুন সারের কাজ কি ? সার চেনার উপায়

ট্রাইকোডার্মা কি ও কাজ

Didi-Bhai-agrofarm-Equipment

ফোন- +91 77978 44240





Sunday, October 3, 2021

কাটিমন আম

ছাদ বাগান প্রশিক্ষণ ১০টি কাটিমন আম গাছ লাগান, সারাবছর আয় করুন =====≠============!==================



"কাটিমন”একটি থাই ভ্যারাইটির উন্নতমানের ১২ মাসি আম। যেটা যে কোন বারোমাসি আমের জাতের মধ্যে সেরা (স্বাদের দিক থেকে) দারুন মিষ্টি এবং আশ নেই বললেই চলে।এটি থাইল্যান্ড,ইন্দোনেশিয়া,মালায়েশিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়।


কাটিমন আম এর বৈশিষ্ট্যঃ


কাটিমন আম বারোমাসি জাতের আম অর্থাৎ সারা বছরই ফল দিয়ে থাকে। বছরে তিন থেকে চারবার ফল প্রদান করে থাকে। 

নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। আম গাছের একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম থাকে। ফল লম্বাটে (লম্বায় ১১.৩ সেমি) এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ৩০০-৩৫০ গ্রাম।

কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ।


এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। এছাড়াও এই জাতের একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে। কাটিমন আম এর এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে।


চাষের উপযুক্ত জমিঃ মাঝারী উঁচু জমি এবং দোআঁশ মাটি কাটিমন আম চাষের জন্য উপযোগী।


বংশবিস্তারঃ বীজের বা কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা যায়। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করলে মাতৃগাছের মতো ফল পাওয়া যায় না। তাই কলমের মাধ্যমেই এই জাতের আমের চারা উৎপাদন ও বংশবিস্তার করা উত্তম।


আম পাকার সময়ঃ মে মাস আমের মৌসুম হওয়ায় এ মাসে আমের ফলন বেশি হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগস্ট মাসে, তৃতীয় পর্যায়ে নভেম্বর এবং চতুর্থ পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আম পাকবে।


সম্ভাবনাঃ আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী। কাটিমন আম থেকে সারা বছর ফুল,ফল ও পাকা আম পাওয়া যায বিধায় ভবিষ্যতে এই জাতের আমের চাষ বাড়বে। এছাড়াও বাড়ির ছাদেও কাটিমন আম চাষ করা সম্ভব।


মুকুলসহ কাটিমন আমের চারাসহ যেকোনো দেশি-বিদেশি চারার জন্য যোগাযোগ করুন-০১৭৯৭৬৮২৭৬৭ (imo+what's up)


Friday, October 1, 2021

মেটে আলু

 


মেটে আলু।


বারি মেটে আলু-১ ও বারি মেটে আলু-২


বারি মেটে আলু-১ ও বারি মেটে আলু-২ নামে দুইটি (২) জাত অবমুক্ত হয়েছে টিসিআরএসসি, বগুড়া থেকে৷ সেই সাথে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ নতুন একটি ফসল (কন্দাল) জাত এর অন্তর্ভূক্ত হলো।

মেটে আলু (মেটে আলু এছাড়া গাছ আলু, মাছ আলু, চুপরীআলু, পেস্তাআলু, লেসা আলু, মৌ আলু ইত্যাদি নামে পরিচিত) একটি প্রাচীন কন্দাল জাতীয় ফসল যা বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতে বসত বাড়ির আশেপাশে, বাড়ির চারদিকের বেড়ার পাশে, বড় বড় গাছের উপর এমনকি রাস্তার পাশে লাগাতে দেখা যায়। তবে দেশের কোনো কোনো এলাকায় যেমন যশোর, সাতক্ষীরা, নরসিংদী, কিশোরগন্ঞ্জসহ পাহাড়ী এলাকায় কিছু কিছু কৃষক মেটে আলু বানিজ্যিকভাবে চাষবাদ শুরু করেছে। এটি সবজী হিসাবে ব্যবহার হলেও এর পুষ্টি ও ঔষধীগুন বেশি গুরুত্বপুর্ণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ও শর্করা। এছাড়া মেটে আলু ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম ও আয়রনের খুবই ভাল উৎস। এটি কোষ্ঠকাটিন্য নিরাময়ে সহায়তা করে এছাড়া মেটে আলু প্যারাসাইট নিরাময়, গনোরিয়া, লেপ্রোসি, টিউমার, জ্বর এবং অর্শ্বরোগ এ জ্বালাপোড়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। মেটে আলুতে ডায়োসজেনিন নামক উপাদান থাকে যা মানুষের মস্তিস্ক ও স্মৃতিশক্তি সতেজ ও কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করে। মহিলাদের রজো:বন্ধ থেকে উপশোম দেয় মেটে আলু । তাছাড়া এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যানসার প্রতিরোধ করে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থুলতা, কোলন-ক্যান্সার, অন্তপ্রদাহ নিরাময়ে মেটে আলু কাজ করে বলে অনেক বিজ্ঞানী ধারনা করেন। ব্লাডসুগার (ডায়াবেটিক) নিয়ন্ত্রন ও রক্তে কোলেস্টোলের মাত্রা কমাতে এ আলু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দেশে মেটে আলু প্রাকৃতিক ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


ধন্যবাদান্তে

Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...