Saturday, November 27, 2021

ছাদ বাগান প্রশিক্ষণ


ছাদ বাগান প্রশিক্ষণ বেশ কিছু দিন, ঢাকার বিভিন্ন ছাদ বাগান ভিজিটের অভিজ্ঞতায় আজকের এই লেখা


আসলে ছাদ বাগান করা খুব সহজ।আগে খেয়াল করুন, চারা রোপনের পর ড্রেনেজ সিস্টেম ঠিক আছে কিনা!

পানির ইনপুট ও আউটপুট সঠিক হচ্ছে কিনা!

এখানে ভুল হলে গাছের ডাইজেস্ট প্রবলেম হয়।

এবার আসুন

পরিচর্যায়ঃ

ইকোম্যাক ২ মিলি+ মারগোসা ( নিম তৈল) ১ মিলি=১ লিঃ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে  দিন ৭ দিন পর পর, এতে করে পোকা, মাকড় ও মিলিবাগ দমন হবে। যদি কিনা শুরুতেই এটা ব্যবহার করেন,তবে গাছ নিরাপদ। 

ট্রাইকোডার্মা পাউডার ১ লিঃ পানিতে ৫ গাঃ +সলুবোর বোরন ১ গাঃ একসাথে সকালে ভিজিয়ে বিকালে স্পে দিন ১৫ দিন পর পর স্পে দিন। এতে করে ছত্রাক দমন হবে ও ভিটামিনের চাহিদা পূরন করবে।গাছে ফলের গুটি থাকলে আটকে যাবে, ঝরে পড়বে না,পরবর্তী ১৫ দিন পর ট্রাইকোডার্মা ৫ গাঃ + চিলিটেড জিংক ১ গাঃ এক সাথে সকালে মিশিয়ে বিকালে স্পে দিন। এভাবেই ঘুরবে।

হিউমিনাল গোল্ড ১ লিঃ পানিতে ২ মিলি মিশিয়ে স্পে দিন ২০ দিন পর পর, এটা জৈব পিজিআর, জৈব উৎস হতে তৈরি, এটা গাছের বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। 

মাসে ১ বার বাম্পার স্পে দিন 

এটা আপনার গাছের ঘাটতি খুজে বের করে, সেখানেই তার চাহিদা পূরন করবে,সাথে মাসে ১ বার বুস্টার টু ১ লিঃ পানিতে ১ ফোটা, পরাগায়নের সমস্যা নিয়ে আর কথা নয়। ৩ মাস পর পর গাছ প্রতি পরিমাণ মত কেঁচো সার, হাড়ের গুড়া, নিম খৈল দিন। গাছে কোন ব্যাধি আসবে না।

লেখা টি উৎসর্গ করলাম,প্রিয় সবুজ সাথী, আপনার জন্য। 

ভাল থাকবেন আপনি, ভাল থাকবে আপনার ছাদবাগান,ভাল থাকবো আমরা সবাই। কথা হবে আবার সবুজে সবুজে।

লেখক



Wednesday, November 24, 2021

ছত্রাক


 ছত্রাক 

 আছছালামু আ'লাইকুম।গাছে এইরকম হলে ২ টি বিষয়ের দিকে খেয়াল দিতে হবে। ১ নাম্বারে গাছে কি পরিমাণ ভিটামিন আছে! গাছ যাতে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ২ নাম্বারে গাছের কোকড়া ছাড়ানোর জন্য   ছত্রাক নাশক+মাকড় নাশক + কীটনাশক পরিমাণ মতো স্প্রে করতে হবে। 

আপনি যতই স্প্রে করেন লাভ নেই যদি গাছ বৃদ্ধির হার কমে যায়। 


গাছে ভিটামিনের অভাব পূরণ করা,ছত্রাক নাশক+মাকড় নাশক + কীটনাশক স্প্রে করার কারণঃ

 আপনি গাছে সবরকম বিষ দিয়েছেন গাছ সুস্থ কিন্তু গাছ যদি বৃদ্ধি না পায়, তাহলে আপনার গাছে ফল ধরবে কোথায়, যে ফুল থাকাকালীন গাছে কোকড়া ধরেছে ঐ ফুল গুলাতে ফল হবে না, ফল হলেও ভালো হবে না। নতুন কুশি বের হবে সেইগুলাতে সুস্থ ফুল- ফল হবে। নতুন কুশি বের করার জন্য গাছে সার/ভিটামিন  দিতে হবে।  



 ছত্রাক নাশক গাছের কোকড়া ছাড়ায়। 

মাকড় নাশক স্প্রে করা হয় যাতে মাকড়ে রোগটা আর না ছড়াতে পারে। 

কীটনাশক দেওয়া হয় যাতে অন্যান্য পোকার মাধ্যমে এই রোগটা আর না ছড়ায়। 


মোট কথা হলো স্প্রে করতে হবে আর গাছ যাতে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় সেইদিকে খেয়াল দিতে হবে। শুকরিয়া।

Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...