ছাদ বাগান প্রশিক্ষণ বেশ কিছু দিন, ঢাকার বিভিন্ন ছাদ বাগান ভিজিটের অভিজ্ঞতায় আজকের এই লেখা
আসলে ছাদ বাগান করা খুব সহজ।আগে খেয়াল করুন, চারা রোপনের পর ড্রেনেজ সিস্টেম ঠিক আছে কিনা!
পানির ইনপুট ও আউটপুট সঠিক হচ্ছে কিনা!
এখানে ভুল হলে গাছের ডাইজেস্ট প্রবলেম হয়।
এবার আসুন
পরিচর্যায়ঃ
ইকোম্যাক ২ মিলি+ মারগোসা ( নিম তৈল) ১ মিলি=১ লিঃ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে দিন ৭ দিন পর পর, এতে করে পোকা, মাকড় ও মিলিবাগ দমন হবে। যদি কিনা শুরুতেই এটা ব্যবহার করেন,তবে গাছ নিরাপদ।
ট্রাইকোডার্মা পাউডার ১ লিঃ পানিতে ৫ গাঃ +সলুবোর বোরন ১ গাঃ একসাথে সকালে ভিজিয়ে বিকালে স্পে দিন ১৫ দিন পর পর স্পে দিন। এতে করে ছত্রাক দমন হবে ও ভিটামিনের চাহিদা পূরন করবে।গাছে ফলের গুটি থাকলে আটকে যাবে, ঝরে পড়বে না,পরবর্তী ১৫ দিন পর ট্রাইকোডার্মা ৫ গাঃ + চিলিটেড জিংক ১ গাঃ এক সাথে সকালে মিশিয়ে বিকালে স্পে দিন। এভাবেই ঘুরবে।
হিউমিনাল গোল্ড ১ লিঃ পানিতে ২ মিলি মিশিয়ে স্পে দিন ২০ দিন পর পর, এটা জৈব পিজিআর, জৈব উৎস হতে তৈরি, এটা গাছের বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক।
মাসে ১ বার বাম্পার স্পে দিন
এটা আপনার গাছের ঘাটতি খুজে বের করে, সেখানেই তার চাহিদা পূরন করবে,সাথে মাসে ১ বার বুস্টার টু ১ লিঃ পানিতে ১ ফোটা, পরাগায়নের সমস্যা নিয়ে আর কথা নয়। ৩ মাস পর পর গাছ প্রতি পরিমাণ মত কেঁচো সার, হাড়ের গুড়া, নিম খৈল দিন। গাছে কোন ব্যাধি আসবে না।
লেখা টি উৎসর্গ করলাম,প্রিয় সবুজ সাথী, আপনার জন্য।
ভাল থাকবেন আপনি, ভাল থাকবে আপনার ছাদবাগান,ভাল থাকবো আমরা সবাই। কথা হবে আবার সবুজে সবুজে।
No comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.