কৃষি পরামর্শ , দৈনন্দিন বিজ্ঞান, টিপস & ট্রিকস, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা, পরামর্শ, পশু পালন ও খামারী, ফসলে রোগ বালাই, ফসল চাষ, ক্যারিয়ার ও জব, krishiporamorsho, Advances in Agriculture, blog
Thursday, December 30, 2021
কাগুচে লেবু গাছের পরিচর্যা
Tuesday, December 28, 2021
বোরন সার প্রয়োগ পদ্ধতি
বোরন সার প্রয়োগ পদ্ধতি
বোরন একটি রাসানিক মৌল যার প্রতিক হচ্ছে B । বোরনের পারমানবিক ভর সংখ্যা ৫।বোরন প্রকৃতি গত ভাবে সংঘটিত একটি মৌল ।যা প্রকৃতিতে স্বাভাবিক ভাবে মিলে যায়। পৃথিবীর সবথেকে বড়ো বোরনের খনি তুরস্কে অবস্থিত।বোরন হলো একপ্রকার ধাতুকল্প যা পাথর এবং ধাতুর গায়ে অল্প পরিমানে পওয়া যায়।বোরন দেখতে রুপালী থেকে কালো এবং খুব শক্ত হয়ে থাকে। খুব অল্প মাত্রায় বিদুৎ পরিবাহি। কৃষিক্ষেত্রে বোরনের ব্যবহার আলোচনা করা হল।
যে মাটিতে অম্লবেশি সে মাটিতে বোরনরে ঘাটতি দেখাদিবে। আবার যে মাটিতে জৈব পদার্থ ১.৫%
কম থাকে সেই মাটিতে বোরণের অভাব দেখাদিবে। বোরন সরাসরি মাটিতে প্রয়োগ করলে তা উদ্ভিদ গ্রহন করতে পারে না । জমির মাটি পরিক্ষা করে বোরণ ব্যবহার করাযেতে পারে। নিম্নে
বোরন সার এর অভাব জনিত লক্ষন,প্রয়োগ ও মাত্র আলোচনা করা হলো।
উৎপাদন : কমপক্ষে ২০% বোরন বিদ্যমান।
বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ : পাতা খর্বকায় ও কোঁকড়ানো হয় এবং নেতিয়ে পড়ে। কান্ড ও পাতার বোঁটা এবং ফল ফেটে যায়। শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কান্ডের তগ্রকোস বা কচি কান্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় । পরাগায়ন, ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। আলু ও বিভিন্ন ফলের উপর বিবর্ণ দাগ পড়ে। উদ্ভিদ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয় । বীজের সংখ্যা খুব কমে য়ায়।
প্রয়োগ পদ্ধিতি : মাটিতে এবং পাতায় স্প্রে দুইভাবেই প্রয়োগ করা যায়। সার /বালু/ছাই/মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষে প্রয়োগ করতে হবে। ফসলে বোরনের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।
প্রয়োগ ক্ষেত্র : সকল প্রকারের ফসলে ব্যবহার করা যায়। ধান, গম, আলু, আম, ইক্ষু, বেগুন, পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, শশা, পটল, করলা, চিচিংগা, ঝিংগা, ঢেঁড়স, বাধাকপি, ফুলকপি, মরিচ, পান, আনারস, কলা, তরমুজ, তুলা, চা, এবং ফুল জাতীয় ফসল যেমন-গাঁধা, গোলাপ, রজনীগন্ধা,জারবেরা ইত্যাদি ফুলগাছে বোরন ব্যবহার করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় এছাড়া ডাল ও তেল জাতীয় দানাদার ফলের দানার গঠনে এবং ফলন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আলুকে দাঁদ রোগ থেকে রক্ষা করে এবং ধানে চিটা হওয়া ও দাগ পড়া কমে যায়। আম, লিচু, কলা ইত্যাদি ফলের ফেটে যাওয়া রোধ করে।
প্রয়োগ মাত্রা : প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ গ্রাম বোরন মিশিয়ে স্প্রে করুন। ১৫ দিন অন্তর অন্তর দুই বার প্রয়োজনে ৩য় বার স্প্রে করুন।
ধন্যবাদ সকলকে
আমিন
কৃষি পরামর্শ Group
Sunday, December 26, 2021
ফুলকপির খাওয়ার উপকারীতা
ফুলকপির খাওয়ার উপকারীতা।
শীতের মৌসুমে ফুলকপি খাবেন না, তা কি হয়? ফুলকপির যে মেলা গুণ! ফুলকপি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এতে থাকা সালফার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য উপকারী। যকৃৎ থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান দূর করে এটি সুস্থ রাখতে পারে ফুলকপি। ফুলকপির বিশেষ কিছু গুণ আছে, যা সবার জেনে রাখা ভালো:
১. কোলস্টেরল কমায়: এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
২. ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
৩. হাড় ও দাঁত শক্ত করে: ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।
৪. ক্যানসার প্রতিরোধ করে: মারাত্মক ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে ফুলকপি। এতে আছে সালফোরাপেন, যা ক্যানসার কোষকে মেরে টিউমার বাড়তে দেয় না। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও আছে ফুলকপির।
৫. হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী: ফুলকপি হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো। এতে যে সালফোরাপেন আছে, তা হৃদ্রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।
৬. রোগ প্রতিরোধ করে: ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।
৭. শক্তি জোগায়: এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।
৮. চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী: কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
৯. পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে: ফুলকপি পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
১০. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের যত্নে ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।
Friday, December 24, 2021
ফসল চাষ
ফসল চাষ
এক বছরে একই জমিতে পাঁচ ফসল করে শেষ করলাম।
১|গত বছর ঠিক এই সময় আমি ২ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম এবং মাঠের সেরা আলু হয়েছিল কিন্তু দাম ভালো পায়নি, তবুও ১৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল।
২| আলু তোলার পরপরই একই জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ রোপণ করেছিলাম মাচা তৈরি করে, প্রচুর তরমুজ হয়েছিল কিন্তু জাতটা ছিল খুব নরম, তাই ঢাকা পযন্ত নিয়ে যাওয়ার পর অর্ধেক তরমুজ ফেটে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়, তবুও ২০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল।
৩| তরমুজ শেষ হওয়ার পরপরই একই জমিতে তরমুজের মাচায় দেশি শসা লাগিয়েছিলাম, প্রচুর শসা হয়েছিল, ১২ /১৩ টাকা কেজি বিক্রি করেছিলাম তবুও ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল।
৪| শসার শেষ হওয়ার পরপরই মাচা খুলে জমিতে ঘাস মরার ঔষধ দিয়ে কয়েকদিন রেখে দিলাম, তারপর ভালো করে চাষ দিয়ে ধনিয়াপাতা বুনলাম, জমিতে ঘাসের চাপ বেশি হয়ে গেল তাই নিড়ানি খরচ দিয়ে ধনিয়াপাতার চাষের মাঝ পথে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেল, আমি ভাবলাম হয়তো টাকা উঠে আসবে না, সেসময় আমার ফুলকপির চারা রেডি ছিল ধনিয়াপাতার বয়স যখন ১৭ দিন তখন ধনিয়াপাতার মধ্যেই ফুলকপি লাগিয়ে দিলাম, কিছু দিন পরে সেই ধনিয়াপাতা বিক্রি করলাম ৩৭ টাকায়, আমার ১২ হাজার টাকা।
৫| ধনিয়াপাতা তুলে দিয়ে কপির পরিচর্যা করতে করতে গত কয়েকদিন আগে বিক্রি করলাম ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকায়, ৭৫ হাজার টাকা লাভ হলো ফুলকপিতে, আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু গ্রুপের যারা আমার কপি বলেছিল যে দাম ভালো পাওয়া যাবে, কেউ বলেছিল ২ পিচ বিক্রি করতে হবে, সেই বন্ধুরা আজ কোথায় আছেন?
সব কৃষি বন্ধুদের বলবো যে কোন কিছুতে নিরাশ হবেন না, সঠিক পরিকল্পনা করে চাষ করুন লাভ হবেই একদিন।
আমি চিকিৎসা পেশায় আছি, রোগীদের সেবা দেওয়া আমার কাজ হলেও মাঝে মাঝে সময় দিয়ে দেখভাল করে ফসল ফলায়, কারণ আমি কৃষিকে ভালোবাসি।
Sunday, December 19, 2021
আনার ফল
আনার ফল
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgS04) ব্যবহার ও উপকারিতা।
ম্যাগনেসিয়াম মাটিতে ম্যাগনেসিয়াম সালফেটে অভাব পুরুণ করতে ব্যবহার করা হয়।
রাসানিক বৈশিষ্ঠ : ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgS04) বর্ণহীন, তিক্ত,লবণক্ত।
সার ,সিমেন্ট, ঔষধ, টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহার হয়ে থাকে। নিম্নে কৃষিতে ব্যবহার হয় কি কারণে তা আলোচনা করা হল।
প্রয়োগক্ষেত্র : ম্যাগনেসিয়াম ও সালফারের অভাব পুরনের জন্য সব ধরনের ফসলেই প্রয়োগ করা যায়। বিশেষ করে ধান, আলু, ভুট্রা, টমেটো, সব ধরনের শাক-সবজি, পান, আখ, পাট, ডাল, গম, তৈলবীজ জাতীয় ফসলে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট অত্যান্ত কার্যকরী।
প্রয়োগ পদ্ধতি : বীজ বপন ও চারা রোপনের আগে বা পরে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োগ মাত্রা কম বা বেশি করা যেতে পারে।
সতর্কতা : টিএসপি, এসএসপি বা ডিএমপি সারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে না।
আরো পড়ুন সারের কাজ কি ? সার চেনার উপায়
প্রয়োগক্ষেত্র ও মাত্রা : ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, তরমুজ, পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, কলা, সীম, মটরশুটি, পান, ঢেঁড়স, কাকরোল, শসা, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি ( ৩-৬ কেজি ৩৩ শতাংশে)
টমেটো, বেগুন, সরিষা, ভুট্রা বাদাম, ডাল, আদা, হলুদ ইত্যাদি ফসলে (৪-৮ কেজি ৩৩ শতাংশে)
আখ, তুলা, আনারস, কলা ইত্যাদি ফসলে (১২-২০ কেজি ৩৩ শতাংশে)
পেঁপে, লেবু, আম, কাঁঠাল, লিচু, কমলা, নারিকেল ইত্যাদি ফসলে ( ২০০-৩০০ কেজি ৩৩ শতাংশে)
ম্যাগনেসিয়াম ও সালফারের অভাবজনিত লক্ষণ সমূহ : দানা জাতীয় ফসল যেমন ধান, গম, ভুট্র জাতীয় ফসলের গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয় এবং ফলন কমে যায়। শাকসবজির পাতার মধ্যশিরা বরাবর হলুদ বা লালচে বর্ণ ধারণ করে, পাতার কিনারা কুঁকড়ে যায় ও পাতা ঝরে পড়ে। গাছের মূলের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। ফল অপরিপক্ক হয় এবং ঝরে পড়ে।
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট-এর উপকারিতা :
গাছের শিকড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, পাতা কুঁকড়ে যাওয়া রোধ করে এবং পাতার বর্ণ হলুদ ও লালচে হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফুল, ফল, পাতা ঝরা বন্ধ করে।ফলন বৃদ্ধি করে ও ফসলের গুণমান নিশ্চিত করে।
আরো পড়ুন সারের কাজ কি ? সার চেনার উপায়
ধন্যবাদ সবাইকে
আমিন
কৃষি পরামর্শ Group
Sunday, December 12, 2021
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন ও ব্যবহার
বর্তমান ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কৃষক এবং সচেতন সবজি উৎপাদনে যারা নিয়োজিত তার কীটনাশকের ব্যবহার কমতে এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য ফেরোমন তাবিজ এর উপর ঝুকছে । অর্গানিক সবজি ও ফল উৎপাদনের জন্য ফেরোমন ফাদের ভুমিকা অপরিসীম। ছাদ কৃষিতে এর কদর বাড়ছে দিনে দিনে।
ফেরোমন ফাঁদ
আজ আপনাদের সাথে ফেরমন তাবিজ বা লিওর সম্পর্কে কিছুু আলোচনা করবো।
তাবিজ বা লিওর : কুমড়া জাতীয় ফসলের মাছি পোকার ফেরোমন টোপ।
জৈব সার তৈরি করার নিয়ম
সমস্ত প্রশংসাই মহান আল্লাহর । এখানে বিনা পয়সায় জৈব সার তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হলো ।
জৈব সার তৈরি করার নিয়ম
Saturday, December 11, 2021
জিংক সালফেট (মনোহাইড্রেট)
আমিন
কৃষি পরামর্শ Group
Thursday, December 9, 2021
রবি ১ পাট বা বিজেআরআই পাট
জিনোম ভিত্তিক গভেষণায় উদ্ভাবতি পাটের নতুন জাত (রবি-১) বা বিজেআরআই তোষা পাট-৮
আমিন
কৃষি পরামর্শ Group
জিপসাম সার এর প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার
আমিন
কৃষি পরামর্শ Group
Last post
ড্রাগন ফলের পরিচয়
উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয় " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...
-
জিপসাম সার উৎপাদন : ক্যালসিয়াম ২০% ও সালফার ১৬% বিদ্যামান। ফসল ক্যালসিয়ামের অভাব...
-
জিনোম ভিত্তিক গভেষণায় উদ্ভাবতি পাটের নতুন জাত (রবি-১) বা বিজেআরআই তোষা পাট-৮ ১. ভুমিকাঃ বর্তমানে চাষকৃত সর্বোচ্চ ফলনশীল পাট জাতের চাইতে...