জিংক সালফেট (মনোহাইড্রেট) প্রয়োগক্ষেত্র ও বৈশিষ্ট্য এবং অভাবজনিত লক্ষণ।
জিংক সালফেট (মনোহাইড্রেট)
জিংক : ৩৬% ও সালফার : ১৭.৫%।
ফসলের জিংক বা দস্তার অভাবজনিত লক্ষণ:
*গাছের কচি পাতার গোড়া ও মধ্য শিরা সাদা হয়ে যায়।
*ধান, গম, ভুট্রার জমিতে গাছের বৃদ্ধি অসমান হয়। ফলে চারা কোথাও ছোট আবার কোথাও বড় দেখা যায়। এতে ফসল আগে পরে পাকে বা পাকতে দেরি হয় এবং ফলন কম হয়।
*পুরনো পাতায় মরিচা পরার মত ছোট ছোট দাগ দেখা যায়, যা দ্র্রুত বাদামী রং ধারণ করে।
* জিংকের বৈশিষ্ট্য:
* জিংক ব্যবহারে গাছে জিংক সালফারের ঘাটতি কম হয় এতে গাছের রং দ্রুত সবুজ হয়, গাছের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। এবং ফলন বাড়ে।
* জিংক গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
* জিংক ব্যবহারে দানা জাতীয় শস্য অধিক পুষ্ট হয় এবং ফলন বেশি হয়।
প্রয়োগক্ষেত্র : ধান, গম, ভুট্রা, আখ, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেমটো, বেগুন, মরিচ, কুমড়া, শসা, পটল, করলা, চিচিংগা, ঢেড়শ, পান, আনারস,কলা, তরমুজ, তুলা, চা ইত্যাদি ফসলে জিংক ব্যবহার করলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যায়।
অনুমোদিত মাত্রা : একর প্রতি ৩ কেজি।
প্রয়োগ পদ্ধতি : জমি তৈরীর শেষ চাষে অনুমোদিত মাত্রায় জিংক ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এছাড়া ফসলের শারীরিক বৃদ্ধির সময় জিংকের অভাবে লক্ষণ দেখা দিলে গাছের মাটির সঙ্গে ভলোভাবে মিশিয়ে দিন।
সাবধানতা :
* জিংক কখনো টিএসপি, এসএসপি বা ডিএপি সারের সঙ্গে একত্রে মিশিয়ে প্রয়োগ করবেন না।
*মানুষ ও পশু খাদ্য থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে রাখুন।
*ব্যবহারের সময় ধুমপান, পানীয় ও খাদ্য গ্রহণ করবেন না।
*ব্যবহারের পর হাত, মুখ ও কাপড়-চোপড় ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
সংরক্ষণ :
বাতাসের জলীয় অংশে সংস্পর্শে এসে জিংক সহজেই ভিজে যায়। সুতরাং জমিতে ব্যবহারের কিছু আগে প্যাকেট খুলুন এবং অব্যবহৃত সার ভালোভাবে বন্ধ করে শুকনো ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।
ধন্যবাদ সকলকে
আমিন
কৃষি পরামর্শ Group
No comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.