সার-কীটনাশক উৎপাদনকারী বড় কোম্পানিগুলোর বার্ষিক আয় – হাজার কোটিতে
সার-কীটনাশক উৎপাদনকারী ছোট কোম্পানিগুলোর বার্ষিক আয় – শত কোটিতে
হাইব্রিড বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর বার্ষিক আয় – শত কোটিতে
কোম্পানিগুলোর দালালদের আয়ও – শত কোটিতে
কৃষকের আয় কত জানেন..??
প্রতিবছর নিজের রক্ত মাংস পানি করে সংসার চলেনা, ফসলের দাম কৃষক পায়না। মধ্যস্বত্বভোগীরা ফুঁলেফেঁপে কলাগাছ। ফসলের দাম বৃদ্ধির আগেরদিন অজানা কারনে, অদৃশ্য ইশারায় কৃষিপণ্যের মূল্য বেড়ে যায়।
আগামীকাল যদি ব্রয়লার মুরগীর দাম বা ডিমের দাম সামান্য বাড়ে তাহলে কোনো এক গায়েবী ইশারায় আজকেই খাবারের দাম, বাচ্চার দাম বেড়ে যাবে। মোটামুটি কৃষকের লাভের অংশ কৃষক বাদে আর সবাই পাচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে কৃষকদের ঋণখেলাপীর হার সবচেয়ে কম। কৃষক ঋণখেলাপী হয়না বললেই চলে। কিন্তু কৃষকের জন্য বরাদ্দ ঋণ নিয়ে যাচ্ছে কর্পোরেট খামারিরা। তারা একচেটিয়া ঋণখেলাপী।
তারপরও লাভ-লসের জটিল হিসেবে না গিয়ে বংশ-পরম্পরায় ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে কৃষক। যদি কৃষক তার শ্রমের মূল্য ধরত তাহলে আমাদের মুখে হয়ত খাবার উঠতনা।
এত কিছুর পরেও কৃষককে খোঁটা শুনতে হয় সারের কিছু টাকা ভর্তুকির…!!!
আমাদের লজ্জা হবে কবে…??
একটা কথা বলে রাখি, কৃষক ইতোমধ্যে ধান উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। সামনে ধান উৎপাদন চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরত্বের সাথে ভাবছেন।
ধন্যবাদ।।

No comments:
Post a Comment
Please do not enter any spam link in the comment box.