Sunday, January 31, 2021

আমের বাম্পার ফলন হবে।

আমের বাম্পার ফলন হবে।

আমের বাম্পার ফলন হবে।


 আমের গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।  আমের মুকুলও বিভিন্ন ফুলের সাথে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে।  প্রকৃতি আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছে।  মৌমাছির ঝাঁক তার মজাদার শব্দে মধু সংগ্রহ করা শরু করেছে।  মৌমাছিদের এই গুণটি অনেক প্রকৃতি প্রেমীদের মনকেও আকর্ষণ করে।  মুকুলের মিষ্টি সুবাস মানুষের মনে আলোড়িত করছে।  এখন থেকে গাছের মুকুল ফুটতে দেখা যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে এখন এটি বাড়ছে।


  এ বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি।  আমের চাষীরা এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবার আমের বাম্পার ফলন আশা করছে।  ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সময়োপযোগী যত্ন না থাকলে চলতি মৌসুমে আমের ভাল ফলন হবে।  আর এ কারণেই আমের কৃষকরা আশা নিয়ে মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন।  তাদের আশা এই মৌসুমে তারা আমের থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। দেশের প্রায় সব জায়গাতেই আমের কম বেশি বাগান রয়েছে।  লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে।  তবে সদ্য বিকশিত আমের বাগানে প্রায়শই বনাঞ্চলের জাত রয়েছে।  বিশেষত নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, লতা, বোম্বাই লতা, ফজলি, হিমসাগর, অর্পালি, কাঁচা মিষ্টি, অশ্বিনা জাত আরও বেশি হয়ে উঠছে। রাজশাহী এলাকায় আমের বাগানের সংখ্যা বেশি।


 এবছর আবহাওয়া আমের জন্য অনুকূল।  গত বছরের তুলনায় এ বছর অবিরাম শীত এবং কুয়াশার তীব্রতা অনেক কম।  গতবারের মতো মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টি হয়নি।  ইতিমধ্যে অনেক গাছে কুড়ি আসতে শুরু করেছে।  আশা করা হচ্ছে রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন উপজেলার আমগাছের ফাল্গুনে পর্যাপ্ত অঙ্কুর থাকবে।  পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।  আম চাষকারী জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে তারা মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সাইপারম্যাক্সিন এবং কার্বারেল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে পুরো গাছ স্প্রে করছেন।  এটি গাছটিকে হপার পোকামাকড় সহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।  পোকা সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আমের ফলন হ্রাস পাবে। সব মিলিয়ে প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে বর্তমান সমায়ে যতি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তা হলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।


সৌজন্যে---------------------



 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             

বারি আম ৩.

বারি আম-৪

থাই ব্যানানা ম্যাংগো।

আম ও লিচু গাছের মুকুলের পরিচর্যা।





Saturday, January 30, 2021

পেয়ারার ফলের পুষ্টি গুণ।


পেয়ারার ফলের পুষ্টি গুণ।


 যারা পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ফল বেছে নেন খাওয়ার জন্য তারা পেয়ারা বাদ দিতে পারবেন না যদি এই ফল সম্পর্কে জানেন এবং কি আছে এই ফলে।তাই স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এমনকি পেয়ারাও প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে; ভিটামিন সি এবং লাইকোপিন যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আসুন আজ জনে নেওয়া যাক কিছু চমৎকার পেয়ারা সম্পর্কে তথ্য।

পেয়ারার পাঁচটি বিশেষ গুণ রয়েছে, এই ফলটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী জন্য উপকারী।



 

নিয়মিত পেয়ারা খেলে  ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়।  কারণ পেয়ারাতে থাকা ফাইবার শরীরে চিনির পরিমান হ্রাস করতে পারে।

পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।


পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। রাতের অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। পেয়ারা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে। পেয়ারা ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।

পেয়ারা ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে; লাইকোপিন; ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। বিশেষত - পেয়ারা মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধে কাজ করে।

যেহেতু আমাদের অনেক উপকারী তাই প্রতি দিন আমরা এই ফলটি খেতে পারি। দামটাও অনেক কম অন্য ফল গুলির তুলনায়।এই ফলটি আমাদের দেশীয় ফল বলা যাই এবং সহজেই পাওয়া যাই।

সৌজন্যে---------------------

 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের অবিশ্বাস্য যত গুণ!

ড্রাগন ফলের বিস্ময়কর গুণাগুণ।

গাজরে পুষ্টি ও গুণাগুণ।

বিটা রুট সবজির উপকার।

সজনের ডাঁটাতে ও শাকে অবিশ্বাস্য সুবিধা

ঢেঁড়সের বিস্ময়কর উপকারী ও ওষুধি গুণাগুণ।

ফুলকপি খাওয়ার সুবিধা বা উপকার।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা|

কদবেলের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু দুর্দান্ত তথ্য।






রাণী মৌমাছি ধরার পদ্ধিতি চাষের জন্য।

 রাণী মৌমাছি ধরার পদ্ধতি

বর্তমান কৃষির সাথে মৌচাষ বা মৌমাছি চাষ একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান আধুনিক কৃষিতে মৌ পালন বা মৌচাষ আগের তুলনায়  বৃদ্ধি পাচ্ছে।মৌচাষ করে আপনি পেতে পারেন খাঁটি মধু ও আনতে পারেন নিজের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। তাই অনেক বেকার যুবক এবং কৃষকরা এই মৌ-পালন বা মৌমাছি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

আজ আপনাদের জানাবো এবং দেখাবো কিভাবে মৌমাছি ধরতে হয় এবং চাষের জন্য বক্সের মধ্যে বন্দি করতে হয়। একটি চাকে একটি রানী মৌমাছি থাকে এবং এই রানী মৌমাছির নিয়ন্ত্রণে চলে ওই মৌচাকের মধু সংগ্রহ এবং সব কার্যক্রম তাই রানী মৌমাছি ধরতে পারলে মূলত মৌমাছি একটি বক্সের জন্যে ধরা হয়ে যায়। কারণ রানী মূলত তার চাকের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাই মধু বাড়িতে এবং বক্সের মধ্যে উৎপাদন করতে হলে আগে রানী সংগ্রহ বা ধরে বক্সের মধ্যে রাখতে হবে। 

নিচে ভিডিও দেওয়া হলো কি ভাবে চাষের জন্য রানী মাছি ধরতে হয়-

দেখতে প্লে বাটুনে ক্লিক করুন।




সৌজন্য ---------

কৃষি পরামর্শ গ্রুপ।







Friday, January 29, 2021

কদবেলের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু দুর্দান্ত তথ্য।

কদবেলের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু দুর্দান্ত তথ্য।


 টক স্বাদযুক্ত বৃত্তাকার দেখতে ।ফলটি কাঁঠাল এবং পেয়ারা সমান পুষ্টি মান রয়েছে। আমিষ পরিমাণ আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ বেশি।কাঁঠাল ও লিচুর চেয়ে ৩ গুণ বেশি। আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। আসুন আজ জেনে নিই কাদবেল সম্পর্কে কিছু দুর্দান্ত তথ্য:


ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই মৌসুমী ফলটি মূলত তার স্বাদ জন্য খাওয়া হয়। তবে পুষ্টির ক্ষেত্রে কাদবেল সত্যই অনন্য। কদাবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। কাদবেল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।



কাদবেল আয়ুর্বেদে উত্তেজক এবং মূত্ররোর্ধক হিসাবে ব্যবহৃতি হয়। ফলের নিয়মিত সেবন কিডনি ভালো রাখে। প্রাচীন ভারতীয় medicine এ কদবেল কিডনির সমস্যার জন্য সর্বোত্তম প্রাকৃতিক medicine হিসাবে ব্যবহৃত হত।


কদবেল লিভার এবং হার্টের জন্যও বিশেষ উপকারী-। ত কদবেল পেটের আলসার নিরাময়ে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


মেয়েদের ব্রোন এবং মেছতাতে কাঁচা কদাবেলের রস দিলে মুখে তাড়াতাড়ি দাগ নিবারন হয়। কাদবেল পাতার নির্যাস শ্বাসকষ্টজনিত রোগের চিকিত্সায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই রস বাচ্চাদের পেটে ব্যথার চিকিত্সায় দুর্দান্ত কাজ করে।


কাদবেল রক্ত ​​পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কাদাবেল হার্টের ধড়ফড়ানি এবং নিম্ন রক্তচাপ রোধেও সহায়ক। কদবেল শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং রক্তাল্পতা দূর করে।


কদবেলে এমন একটি পদার্থ থাকে যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া এবং পেটের ব্যথা ভাল করে তোলে। 


কাদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ু শক্তিতে সহায়তা করে। এজন্য কাদবেল খেলে উত্তাপ কম লাগে। কদাবেল ত্বকের জ্বালা কমাতে মলম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।


সৌজন্যে---------------------


 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             

বিভিন্ন ঔষধি গাছ।

ভেষজ চা কি।

থানকুনি পাতার উপকারিতা।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের অবিশ্বাস্য যত গুণ!

ড্রাগন ফলের বিস্ময়কর গুণাগুণ।

গাজরে পুষ্টি ও গুণাগুণ।

বিটা রুট সবজির উপকার।

সজনের ডাঁটাতে ও শাকে অবিশ্বাস্য সুবিধা

ঢেঁড়সের বিস্ময়কর উপকারী ও ওষুধি গুণাগুণ।

ফুলকপি খাওয়ার সুবিধা বা উপকার।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা|




Thursday, January 28, 2021

মুরগীর খারাপ অভ্যাস বন্ধ করতে খামারীদের কী করা উচিত।

 

মুরগীর খারাপ অভ্যাস বন্ধ করতে খামারীদের  কী করা উচিত


মুরগীর খারাপ অভ্যাস বন্ধ করতে খামারীদের  কী করা উচিত তা জানতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে মুরগির পালন করার সময় মুরগির বদ অভ্যাস লক্ষ করা যায়। যা খামার উৎপাদন ব্যাহত করে। আজ আমরা জানবো কৃষকরা মুরগির খারাপ অভ্যাস বন্ধ করতে কী করতে পারে-


মুরগির খারাপ অভ্যাস বন্ধ করতে কৃষকদের কী করা উচিত

১. উত্থিত মুরগিকে যতটুকু প্রয়োজন তেমন জায়গা দিতে হবে। যদি মুরগির জায়গার অভাব হয় তবে এই খারাপ অভ্যাসটি শুরু হতে পারে। এ জন্য মুরগি রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।

২. মুরগির খামারে বা লিভিং কোয়ার্টারে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বৃদ্ধি মুরগির বদ অভ্যাসের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত তাপ মুরগির বিপাকের উন্নতি করে না। ফলস্বরূপ, মুরগি খেতে অনীহা দেখাবে। উত্তাপের কারনে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা দেখায়। সুতরাং, খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

রাণী মৌমাছি ধরার পদ্ধিতি চাষের জন্য।

৩. খামারে মুরগির জন্য পর্যাপ্ত খাবার এবং জল সরবরাহ করতে হবে। মুরগির খাবার ও পানির অভাব প্রতিযোগিতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যা সহিংস আবেগ এবং এমনকি খারাপ অভ্যাসের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

৪. মুরগি খাঁচায় লালন পালন করা হলে মুরগির জায়গা বা আবাস সঠিক নিয়ম অনুসারে ঠিক করতে হবে। এবং যদি খাঁচায় মুরগি পালনের সময় জায়গার অভাব হয়, তবে মুরগি খাবারের সংকট নিয়ে প্রতিযোগিতা হিসাবে একে অপরের সাথে লড়াই এবং হোঁচট খেতে শুরু করে। যা বদ অভ্যাসে পরিণত হয়।

৫. পরজীবী মুরগির শরীরে আক্রমণ করলে মুরগি অস্থির বোধ করে। এটি আক্রমণ সাইটের চুলকানি করে তোলে। যে কারণে সে নিজের ঠোঁট দিয়ে এটি আঁচড়ানোর চেষ্টা করে। যদি এটি কাজ না করে, তবে সে অন্য কোনও শক্ত জিনিস দিয়ে নিজের দেহটি রাখে। এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য, মুরগির পরজীবীদের সঠিক সময়ে দমন করা উচিত।

৬। মুরগির বদ অভ্যাস বন্ধ করার জন্য খামারে বা আবাসনের জায়গায় হালকা বেশি করতে হবে এবং বায়ুচলাচল সরবরাহ বেশি থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।

সৌজন্যে---------------------




Wednesday, January 27, 2021

লাউয়ের ফলন বৃদ্ধি।

 ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন কি ভাবে লাওয়ের ফলন বৃদ্ধি পাবে।আশা করি ভালো লাগবে। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।১০ জনকে দেখার সুযোগ করে দিবেন। ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন


সৌজন্যে---------------------

.

ব্রয়লার মুরগী চাষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি।

 

ব্রয়লার মুরগী চাষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি


আগাম জেনে রাখা ভাল যে ব্রয়লার মুরগী চাষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে পারেন। ব্রয়লার মুরগি আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাজারের চাহিদার কারণে আমাদের দেশে ব্রয়লার ফার্মগুলি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন বেড়েছে। আজকে আমরা জানবো ব্রয়লার চাষে কি কি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি নিতে হবে।



 

ব্রয়লার চাষে যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা উচিত সেগুলি হলো-

১. ব্রয়লার মুরগিকে নিয়মিত সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। খামারের মুরগির পুষ্টি এবং ভিটামিনের চাহিদা অনুযায়ী খাবারটি দিনের বিভিন্ন সময়ে বিতরণ করা উচিত। খাওয়ানোর আগে খাবারের পাত্রে পরিষ্কার এবং জীবাণু মুক্ত রাখার যত্ন নেওয়া উচিত।


২. নিয়মিত ব্রয়লার মুরগির ওজন করা দরকার। খামার মুরগির ওজনের মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।


৩. একই জাতের মুরগির ব্রয়লার ফার্মগুলিতে লালন করা উচিত। কোনও উপায়ে ব্রয়লার মুরগির মিশ্র বা অন্য কোনও জাতের মুরগির সাথে লালন করা উচিত। এটি ব্রয়লার খামারে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


৪.ব্রয়লার মুরগীর র্ফমে প্রয়োজনীয় আলো সরবরাহ করা। ব্রয়লার খামারে আলোর কোন সংকট রাখার উপায় নেই। এটি মুরগির শারীরিক বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


৫. ব্রয়লার মুরগীতে সহজ বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা করা উচিত। তবে শীতের দিনগুলি আপনাকে করে দিতে হবে উৎতাপের ব্যবস্থা যাতে ঘর গরম থাকে।


৬.খামারের মুরগিকে নিয়মিত একই পরিমাণ এবং একই ধরণের খাবার দেওয়া দরকার। খামারে হঠাৎ করে খাবার পরিবর্তন করা যায় না। এটি খামার মুরগির বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে।


৭. ব্রয়লার মুরগির উপর প্রতিদিনের আয় এবং ব্যয়ের একটি রেকর্ড রাখুন। কোনও কারণে ব্যয় বাড়লে তা হ্রাস করা যায়। খামারকে লাভজনক করে তোলার জন্য আরও সহজ করে তুলবে।


৮.ফার্ম ব্রয়লার মুরগিকে সঠিক সময়ে টিকা দেওয়া দরকার। যদি রোগ দেখা দেয় তবে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত. 


ধন্যবাদ ।


সৌজন্যে---------------------












Tuesday, January 26, 2021

লেবু চাষে করে হতে পারেন স্বাবলম্বী।





লেবু চাষে করে হতে পারেন স্বাবলম্বী।


আপনি কি কৃষি কাজ করে স্বাবলম্বী হতে চান?পড়া লেখা বা অন্য কাজের পাশা পাশি বাড়তি আয় করতে চান তাহলে বসত বাড়ি বা চাষের জমিতে রোপন করতে পারেন লেবু গাছ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষিতে সবচাইতে লাভ জনক যদি ভালো ভাবে করতে পারেন।


গাছের বা ফসলের ভাষা বুঝে করতে পারেন যেমন ধরুন কখন কি পরিচর্যা করতে হবে কি সার দিতে হবে কখন সেচ দিতে হবে ইত্যাদি।আরএকটা বিষয় খেয়াল রেখে চাষ করলে লাভ হয় তা হলো বাজারে ঐ দ্রবের চাহিদা ও দাম কেমন। 


লেবু চাষ কেন করবেন -

নিচে লেবু গাছ কেন করবেন এবং করলে কি লাভ আপনার হবে তা তুলে ধরলাম।একটু মন দিয়ে পড়বেন হয়তো আপনার ভালো লাগতে পারে। 



১/ লেবুই হচ্ছে একমাত্র ফসল যা অল্প পুজিতে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়।

২/ আপনার যদি এক বিঘা জমি থাকে তা থেকেই আপনি বছরের দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

৩/ অন্যান্য ফসলের তুলনায় লেবু তে রোগবালাই কম, যার ফলে যেকোনো নতুন কৃষক সহজেই চাষ করতে পারবে।

৪/ লেবু ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজার চাহিদা বেড়েই চলছে দিনদিন।

৫/ একবার গাছ লাগালে ১২-১৫ বছর একটানা ফলন পাওয়া যায়।

৬/ চারা রোপনের ৫-৬ মাসের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়।

৭/ লেবুতে অনেক বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়না, তাই আপনি পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি লেবু চাষ করতে পারবেন।

৮/সব সমায় বাজারে চাহিদা আছে গরমের সময় তো কথাই নাই।কাগুচে লেবু পাওয়াই কষ্টের ব্যপার।

৯/বাজরে প্রতি পিচ লেবু ২-৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।আপনি চাইলে পাইকারী এবং খুচরা বিক্রয় করতে পারবেন।

১০/ আপনি চাইলে প্রতি বছর কলম করে চারা তৈরি করে বিক্রয় করতে পারবেন।চারা বিক্রয় করে একটা মোটা টাকা পাবেন যদি জাত ভালো হয় তা হলে তো কথাই নাই।


 ভালো জাত নির্বচন এবং সঠিক পরিচর্যা হলেই লেবু চাষে বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভাব। তাই রোপনের আগে লেবু চাষ সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে ও বুঝে পরিকল্পনা গ্রহন করুন।আশা করি ভালো হবে।



ধন্যবাদ ভালো থাকবেন


সৌজন্যে---------------------








Monday, January 25, 2021

মসুর ডাল চাষে রোগ বালাই।

 মসুর ডালের রোগ

মসুর ডাল চাষে রোগবালাই।


১. মসুর ডাস্টের মরিচা রোগ ছত্রাক ইউরোমাইসিস ভিসিয়া আক্রমণের ফলে ঘটে। সংক্রামিত গাছের পাতায় বিভিন্ন আকারের ছোট মরিচা বা কালো দাগ দেখা যাই। পরে গা  বাদামী এবং কালো হয়ে যায়। কান্দেও একই রকম লক্ষণ দেখা যায়। আর্দ্র আবহাওয়ার সময় প্রাদুর্ভাব আরও বেড়ে যায়।


২. নেতিয়ে পড়া বা ডুলে পড়া একটি ক্ষতিকারক রোগ। ফুসারিয়াম অক্সিস্পোরিয়াম নামক ছত্রাকের দ্বারা এই রোগ হয়। চারা সংক্রামিত হলে, চারাগুলির বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং উপরের পাতা ধীরে ধীরে গাছের নীচের দিক থেকে হলুদ হয়ে যায়। চারাগুলির শীর্ষগুলি নেতিয়ে পড়ে এবং চারা মারা যায়।


৩. জাব পোকা মসুরের পাতা, ডালপালা,  ক্রমবর্ধমান কুড়ি ও ফুল থেকে রস চুষে খাই । অতিরিক্ত আক্রমণের ফলে পাতা সঙ্কুচিত হয়ে কুকড়ে যায় এবং গাছের বৃদ্ধি কমে হয়। সংক্রামিত ফুলে সাধারণত ফল উৎপাদন হয় না, তবে হলেও স্বাস্থ্যকর ফল বা ডাল পাওয়া যাই না।


৪. ফলের পোকামাকড়ের লার্ভা প্রথমে পাতার সবুজ অংশে পরে ফুল ও কচি ফল আক্রমন করে। লার্ভা অঙ্কুরিত ফল ছিদ্র করে এবং অঙ্কুরের ভিতরে শরীরের কিছু অংশে লুকিয়ে থাকে এবং বীজ খায়।


প্রতিকার:


স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশকগুলি এই রোগ এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা উচিত। পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ না করা হলে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বা উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে হবে।



ভিডিও দেওয়া হলোঃ-




সৌজন্যে---------------------







Saturday, January 23, 2021

কেঁচো জৈব সার কি এবং বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।



কেঁচো জৈব সারের কি এবং বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।
                                  

                         কেঁচো জৈব সার কি এবং বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।

কেঁচো জৈব সারের কি এবং বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।

আজ আমরা জানবো কেঁচো সার সর্ম্প কে চলুন হবে শুরু করা যাক। কেঁচো জৈব সার মহিলা সদস্যদের দ্বারা একটি ভাল প্রক্রিয়াজাত পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় এবং কেবল গোবর নয় , সবুজ শাকসবজির অবশিষ্টাংশ এবং কলা গাছ দিয়ে । কেঁচোগুলি একটি শীতল জায়গায় আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা হয় যাতে তাদের অভ্যন্তরে উপকারী অণুজীবগুলি জীবিত থাকে যা ফসলের খেতে মাটিতে প্রয়োগ করা যায়, মাটিতে গাছগুলির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য তৈরিতে দ্রুত সহায়তা করে। কেঁচো জৈব সার মহিলা কর্মদের অতিরিক্ত আর্থিক সচ্ছলতা সরবরাহ করে (যারা তৈরি করে। আসুন জেনে নেই এর বৈশিষ্ট্যগুলি।

 কেঁচো সারের বৈশিষ্ট্য:-

উর্বর মাটিতে পাঁচ শতাংশ জৈব পদার্থ থাকতে হয়। যদিও এটি মাটির জলের ধারণ ক্ষমতা এবং বায়ুচলাচল বৃদ্ধি করে। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধিতে কম্পোস্ট সার, পচা বর্জ্য, সবুজ সার এবং কেঁচো সারের ভূমিকাও অসামান্য।

কেঁচো সার:-

কেঁচো খাবার মল হিসাবে ছেড়ে যায়। শাকসবজি, ফলের খোসা, গাছের গুল্ম, পশুর অন্ত্র, হাঁস-মুরগির বৃষ্ঠা এবং কাটা খড় খেয়ে জমির জন্য কেঁচো জৈব সার তৈরি করে। এই সারটি সব ধরণের ফসলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

 কেঁচো সারে কি আছে?

কেঁচো মাটির জল ধরে রাখতে এবং মাটি নরম করার ক্ষমতা রাখে,আটাশি দশমিক ৩২ ভাগ  জৈব পদার্থ ছাড়াও, নাইট্রোজেন,  বোরন - যা অন্যান্য জৈব সারগুলিতে এত বেশি নেয়।

কেঁচো সার ব্যবহার করালে খরচ তুলনা মুলক কম হয়।  প্রাকৃতিক লাঙল বলা হয় কেঁচো কে । এটি ব্যবহারে ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

vকেঁচো কম্পোস্ট সারের উপকারিতা:-


উত্পাদন এবং ফসলের গুণমান বৃদ্ধি করে। ফল এবং সবজি চাষে তুলনামূলক ভাবে ভাল হয় এবং মাটিতে জলের ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় ফলে কেঁচো সার ব্যবহার করে সেচের পানির কম ব্যবহার হয়। ক্ষারযুক্ত লবণাক্ত জমিতেও চাষ সম্ভব। রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়। জমিতে আগাছার সমস্যা কমে। ফসলের বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বেশি কুশি, এবং শস্য গঠিত হয়। জমির মাটির উন্নয়ন হয়। রাসায়নিক সারের তুলনায় ব্যয় অনেক কম। পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকে।


 বৈশিষ্ট্য:-

এই সারে, উদ্ভিদের ১৬ টি প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলির মধ্যে ১০ উপস্থিত রয়েছে। এছাড়াও, এটিতে উদ্ভিদের কিছু প্রয়োজনীয় হরমোন এবং এনজাইম রয়েছে, যা গাছের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ফলের রঙ, গন্ধ, স্বাদ এবং অন্যান্য গুণমানকে উন্নত করে। কেঁচো সার বীজ অঙ্কুরিত করতে সহায়তা করে। এই সারের ব্যবহার ফসলের উত্পাদন ব্যয় হ্রাস করে। সমস্ত ফসলে ব্যবহারযোগ্য। বেলে দোআঁশ মাটিতে এটি আরও কার্যকর। কেঁচা সার ফলের গাছ বা উচ্চভূমি ফসলে পর পর তিনবার প্রয়োগ করা হয়।

 ডিম থেকে উত্পাদিত  কেঁচো  নিজে থেকেই সার উত্পাদন শুরু করে। ফলস্বরূপ, পরের দুটি বা তিনটি ফসল সার ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে।


পুষ্টি: জৈব পদার্থের সাথে যদি কেঁচো সার সাধারণ সারের পরিবর্তে তৈরি করা হয় তবে এর পুষ্টির মান সাত থেকে দশগুণ বেড়ে যায়। 

 ব্যবহার:-

পেঁপে, কলা, লেবু, পেয়ারা ইত্যাদির মতো ছোট আকারের ফলের গাছগুলি প্রতি বছর একবার গাছের গোড়ায় উপরের চারদিকে গোল নালা তৈরি করে এবং প্রতি গাছে পাঁচ কেজি কেঁচো সার দিয়ে  রাখতে হবে। কেঁচো সার মিশিয়ে উদ্ভিজ্জ জমিতে বীজ বা চারা রোপণ করতে হবে। .

সৌজন্যে---------------------


Friday, January 22, 2021

চিতল মাছের ডিম ফুটিনোর সহজ উপায় ।

 চিতল মাছের ডিম ফুটিনোর সহজ উপায় ।

চিতল মাছের ডিম ফুটিনো সহজ উপায় ।

চিতল মাছের শরীর ও মুখ সমতল হয় পিঠ বাঁকানো হয়, পেটে চিকুন ও কাত হয়ে থাকে। চিতল মাছের দেহের উভয় পৃষ্ঠে ১২-১৫ রৌপ্য রং এর দাগ রয়েছে। লেজের নীচে ৫-৬ টি ব্ল্যাক হোল রয়েছে। এই মাছের মাথার পিছনের দিক ধনুকের মতো বাঁকানো । চিতল মাছ  দৈত্যযুক্ত মাছ। সাধারণত ছোট মাছ খায়। চিতল মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Chitala chitala। ইংরাজীতে চিতল মাছকে ফেদার ব্যাক বা ক্রাউন ছুরিফিশ বলা হয়।

আবাসস্থল: চিতল মাছ সাধারণত নদী, খাল, পুকুর বা বড় পুকুরে দেখা যায়। এটি সাধারণত একটি মিঠা পানির মাছ। পরিষ্কার জলে পুকুরের নীচে গর্তে থাকতে, তালের পাতার নীচে, কলা পাতার নীচে বা জলের ঝোপে থাকতে পছন্দ করে।

চিতল ফিশ ফুড: চিতল শিকার করে খায়। ছোট মাছই প্রধান খাবার। তদুপরি ছোট ছোট পোকামাকড়, শামুক, চিংড়ি ইত্যাদি খায় তিলাপিয়া ছোট বাচ্চাদের খেতে পছন্দ করে। চিতল মাছ চাষের ক্ষেত্রে তেলাপিয়া ফিশ  ছেড়ে দিতে হবে।

চিতল ফিশ ব্রিডিং এবং ডিম ফুটিনো: চিতল মাছ প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুটি উপায়ে প্রজনন করা যায়। চিতল মাছের ডিম এবং ছানা প্রাকৃতিকভাবে হালদা, পদ্মা এবং মেঘনা নদীতে এপ্রিল বা মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে পাওয়া যায়। এগুলি সব নার্সারি পুকুরে সংগ্রহ এবং চাষ করা যায়।

দুটি হ্যাচারি পদ্ধতিতে প্রথম ২0-৩0 শতাংশ মহিলা এবং পুরুষ একটি পুকুরে দেওয়া যায়। এই পুকুরে মাঝে মাঝে তালের পাতার ঝোপ বা লতা পাতা দেওয়া যায়। তারপরে চিতল মাছ তাল গাছের ঝোপে ডিম দিতে পারে। চিতল মাছ সাধারণত প্রতি বর্ষা মৌসুমে অমাবস্যার পূর্ণিমা রাতে ডিম দেয়। ডিমগুলি  তালের পাতার কাঠিতে আটকে থাকে। ডিমগুলি টিকটিকি ডিমের মতো হালকা সাদা দেখায়। এই ডিমগুলি তাল পাতার থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং ডিম ফোটার পরে ৭ থেকে ১০  দিনের জন্য একটি পাকা ট্যাংকে পরিষ্কার পানিতে রাখা হয়।


সৌজন্যে---------------------


Wednesday, January 20, 2021

মুলা চাষে জাত ।

 মুলা চাষে জাত ।

মূলা চাষে জাত ।

 মুলা পুষ্টিকর শাকসব্জী হলেও অনেকে মুলা খেতে পছন্দ করেন না। মূলা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ। এদেশে মুলার চাষ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত অফ-সিজনে কৃষকরা  মুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

জমি এবং মাটি:-

 মাঝারি  এবং মাঝারি নিম্ন জমি গুলোতে মূলা চাষ করা যায়। ভাল জল নিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটি  মুলা চাষের জন্য ভাল। ইটাল মাটিতে মুলার বৃদ্ধি কম হয়।  মুলা চাষ করতে গেলে জমির মাটি গভীর করে চাষ করতে হয়। ছাই ও জৈব সারের বেশি ব্যবহার করলে মুলার বৃদ্ধি আরও ভালো হয়।

জন্ম

একসময় জাপানে বিখ্যাত তাসাকি সান জাতের মূলার মাধ্যমে এ দেশে উচ্চ ফলনশীল মূল্যের চাষ শুরু করা হলেও এখন প্রায়  ২0- ২৫ টি জাতের মূলার আবাদ করা হচ্ছে। নতুন স্বল্প-কালীন উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতগুলি সর্বদা চাষ হয়ে আসছে। উল্লেখযোগ্য জাতগুলি হলো বারি মুলা ১,  বারি মুলা ২,, হিমালয় এফ ১, সুপার ৪০, মুক্তি এফ ১, তাসাকি, দ্রুত ৪0, রকি ৪৫ সাদা রকেট, সাদা ৪0,  সুফলা ৪0, বিএসবিডি ২১০১ আনারকলি, দরবার, রকেট এফ ১, সামার বেস্ট এফ ১, হ্যাভেন এফ ১,  বরকতী ৪0, পাইলট এফ ১, বারি মুলা৩,এভারেস্ট, হোয়াইট প্রিন্স, বিপ্লব ৯৪  ইত্যাদি। বারি জাতের মূলের পরিচিতি তুলে ধরা হল।

বারিমুলা ১  - ভাদ্র থেকে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৪০/৪৫ দিন পরে মূলা সংগ্রহ করা যায়। মূলাটির রঙ সাদা, বেলুন আকৃতির, লম্বা এবং বড়, প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের প্রতিটি মুলার গড় ওজন ১ কেজি হয়। দেশীয় মূলা বলে কোনও জিনিস নেই। ফলন হেক্টর প্রতি ৭৫/৮০ টন।

 বরিমুলা 2  - ভাদ্র থেকে কার্তিক মাসে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৪০/৪৫দিন পরে মূলা তুলে বাজার জাত করা যায়। মূলাটির রঙ লালচে, দৈর্ঘ্যের প্রায় ২৫/৩০সেমি, মাঝারি আকারের, প্রতিটি মূলার গড় ওজন ৯00 গ্রাম। শাকসবজি খাওয়ার উপযোগী। ফলন হেক্টর প্রতি ৭৫/৮০ টন।

 বারিমুলা-৩ - কার্তিক মাসে ভাদ্র থেকে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৪0-৪৫ দিন পরে তুলা যায় । মূলাটির রঙ সাদা। মূলাটির অর্ধেক অংশ মাটির ওপরে। প্রতিটি মূলার গড় ওজন ৪00-৬00 গ্রাম। হেক্টর প্রতি ৪0-৪৫ টন ফলন। জীবনকাল ৪0-৪৫ দিন।  রোগের ও পোকার আক্রমণ প্রতিরোধী জাত।

ধন্যবাদ সবাইকে



Tuesday, January 19, 2021

কোকোপিটের সাহায্যে সবজির চারা উৎপাদন।

 কোকোপিটের সাহায্যে সবজির চারা উৎপাদন


কোকোপিটের সাহায্যে সবজির চারা উৎপাদন


 বিভিন্ন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষের প্রস্তুতি চলছে। কৃষকরা জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত।  গ্রীষ্মকালীন সবজির চাষকে মাথায় রেখে বিশেষভাবে মাটি ছাড়াই জমিতে সবজির চারা উৎপাদন করছেন। যাইহোক, মৌসুমের আগে মাটি ছাড়াই সবজি চারা উৎপাদন এবং বিক্রি করতে স্থাপন করেছেন ককপিট। কোকোপিট একটি উচ্চ বাফার জৈব পদার্থ যা মাটির গুণগতমান বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়ক। কোকোপিটের পিএইচ সর্বদা ৫.৫ থেকে ৬ থাকে যা স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ ও সবজির চারা এবং ভাল মানের গাছ উত্পাদন করতে সহায়তা করে  টবে মাটি ব্যবহার করার সময় ওজন বেশি হয়। তবে কোকোপিট ব্যবহারে কম হয়। 

ছাদে অনেকগুলি টবে মাটি ব্যবহার করা হ্রাস করে। যে কোনও ধরণের চারা তৈরিতে কোকোপিট দিয়ে রোপণ করা যায়। কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নাই । আধুনিক গ্রিনহাউস গুলিতে বিভিন্ন উপায়ে কোকোপিটস ব্যবহার করা হয়। সব মৌসুমী সবজির চারা কোকোপিটের সহায়তায় একটি বিশেষ উপায়ে  তৈরি ও বিক্রি করা হয়। কোকোপিটে চারাগুলি তৈরি করতে ট্রে ব্যবহার করা হয়। কোকোপিট বাড়ন্ত হাইড্রোপোনিক উপায়ে শাকসবজি জন্মাতে ব্যবহার করা হয় যাতে গাছ বা চারা কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

 

গাছ বা চারা রোপণের সময় কোনও প্রয়োজন হলে জৈব সারের সাথে কোকোপাইটের সংমিশ্রণে তৈরি করে সরাসরি চারা উত্পাদন করা যায়, যা কোকোপিট গাছের শিকড়ের বিকাশের জন্য একটি দুর্দান্ত ভুমিকা রাখে। কোকোপিট মাটির থেকে অনেক হালকা এবং টবগুলিতে ব্যবহার করার সময় সহজেই কোকোপিটের অভ্যন্তরে বায়ুচলাচল করতে পারে, তাই গাছটি আরও অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। এটি গাছের মধ্যে ধীরে ধীরে শোষিত হয়।  ট্রে এবং নেট কয়েক বছরের জন্য চলে যায়, তাই আপনাকে বারবার কিনতে হবে না। বেগুন, মরিচ, পেঁপে, টমেটো, ফুলকপি এবং অন্যান্য সবজির চারা তৈরি করা যায় সহজে। মৌসুমের আগে চারা উত্পাদন এবং বিক্রি করা যেতে পারে কোকোপিটে চারা তৈরি করে।


আরো পড়ুন সারের কাজ কি ? সার চেনার উপায়


ধন্যবাদ সবাইকে

ভালো থাকবেন

সৌজন্যে---------------------

Sunday, January 17, 2021

রকমেলন চাষ।

 রকমেলন চাষ।

রকমেলন চাষ।

 পরিচিতি:

বাংলাদেশর কৃষিক্ষেত্র বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজি চাষ হয়।তবে যে ধরণের ফসল চাষ করা হয় তা বিক্রি করে উৎপাদন ব্যয় উঠানো খুব কষ্টের । তাই ইদানীং, চাষের পরিবর্তন হয়েছে, স্থানীয় শাকসব্জির পাশাপাশি বিদেশি শাকসব্জী এবং ফলমূলও চাষ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম উপকারী ফল হলো  রকমেলন। যা কৃষির সাথে যুক্ত হলে স্মার্ট কৃষি উদ্যোক্তাদের উত্পাদনের পরিবর্তন করতে পারে সাথে লাভের পরিমান বেশি হবে।


রকমেলনের  পুষ্টিকর ও গুণমান:-

এটিতে প্রায় ৯০% জল এবং ৯% কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা উচ্চ রক্তের শর্করাযুক্ত থাকায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না।এছাড়াও, ভিটামিন এ, সি এবং ডি রয়ছে যা দৃষ্টিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

জাত  নির্বাচন:-

কোন ফসল উৎপাদন করবো তা  নির্বাচন প্রধান সমস্যা। আপনার প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করে সঠিক নির্বাচন  বেছে নেওয়ার উপর। বাংলাদেশে চাষ করা সমস্ত জাতের মধ্যে আমরা যে রকমেলন জাতটি দেখেছি তা বেশ ভালো ফলন হয়।


রকমেলনের বৈশিষ্ট্য:-

 এই জাতটি প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায়।

 ফলটি হালকা বাদামি ধূসর বর্ণের হয়।

 ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্বাদে মিষ্টি।

 ফলের গড় ওজন ১.৫ কেজি থেকে২.৫ কেজি হয়।


 চারা রোপণের সময়:-জানুয়ারীর ২ সপ্তাহ থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি এবং আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়।

জমি প্রস্তুতি:-

 দো-আশ মাটি রকমেলুন চাষের জন্য সেরা। ইটাল এবং বেলে দোআঁশ মাটিতেও চাষ করা যায়। জমিটি বাছাই করার পরে মাটি পুরোপুরি ৫-৬ টি চাষের সাথে আলগা করে  সার দিতে হবে।

 ইউরিয়া ১০ কেজি

টিএসপি ৪৫-৫৫ কেজি

 এমওপি ৩৫-৪৫ কেজি

 জিপসাম ১0-১৫ কেজি

 ম্যাগনেসিয়াম ৪ কেজি

  দস্তা ১ কেজি 

 বোরন ১.৫-২ কেজি

ভার্মিকম্পোস্ট৩00-৪00 কেজি

২-৩  টন গোবর (কেবল বেডে প্রয়োগ করতে হবে)

সম্পূর্ণ সার মিশ্রিত করে শেষ চাষের জন্য জমিতে বেড  তৈরি করতে হবে।

বেডের  আকার

 প্রস্থ ৩.২৫ ফুট

 দৈর্ঘ্য পরিমাণের মতো

 উচ্চতা ১ ফুট

 প্রস্থ ১.৫  ফুট

গভীরতা ১.২ ফুট

সারি থেকে সারির দূরত্ব ২.৫ ফুট

 চারা থেকে চারা পর্যন্ত দূরত্ব ১.৫  ফুট।


সৌজন্যে---------------------

ব্রাসেলস স্প্রাউট বা মিনি বাঁধাকপির চাষাবাদ পদ্ধতি|

মিনি বাঁধাকপির বা ব্রাসেলস স্প্রাউট  চাষাবাদ পদ্ধতি

ব্রাসেলস স্প্রাউট  চাষাবাদ পদ্ধতি।

ব্রাসেলস স্প্রাউট গুলি দেখতে ছোট বাঁধাকপির মতো এবং অনেকে একে মিনি বাঁধাকপি বা ছোট বাঁধাকপি বলে থাকেন।

ব্রাসেলস স্প্রাউট পুষ্টির মান:-  বাঁধাকপির তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টির মান রয়েছে, প্রোটিন এবং ভিটামিন এ। বি কমপ্লেক্স (থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন) এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ক্যান্সার প্রতিরোধী গ্লুকোসিনোলেটস নামক জৈব রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।


চাষাবাদ পদ্ধতি:- ব্রাসেলস স্প্রাউট চাষের পদ্ধতি অনেকটা বাঁধাকপির মতো। বীজগুলিও বাঁধাকপির মতো দেখতে। চারা বীজ থেকে তৈরি হয়। এই চারাগুলি পরে প্রধান জমিতে রোপণ করা হয়।


জলবায়ু এবং আবহাওয়া:-শীতকালে ব্রাসেলস স্প্রাউট  ভালো জন্মাতে পারে। এ দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, মাটি এবং পরিবেশ এই সবজি চাষের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী। তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে শীতকালে এটি সর্বাধিক ফলন দেয়। এই সবজিটি ০৮-২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জন্মাতে পারে।


এটি শীতের ফসল। সুতরাং শীত যত দীর্ঘ হবে, এই ফসলের ফলন তত বেশি ভালো হবে । দেশের উত্তরাঞ্চলটি বেশ কার্যকর হতে পারে। তাই আগাম চাষে ফলন অনেক বেশি হবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে মুকুলগুলির আকার ছোট হয় এবং কুঁড়ি তুলনামূলকভাবে কম হয়ে যায়।


জাত:- বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনও জাত বের হয়নি। তবে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ব্রাসেলস স্প্রাউট নিয়ে কাজ করার পরে ইতিবাচক ফল পেয়েছেন। শিগগিরই নতুন জাতগুলি আমাদের কাছে আসবে।


তবে, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ পশ্চিমবঙ্গ,২৪ পরগনায় ব্রাসেলস স্প্রাউট রোপণ যথেষ্ট লক্ষণীয়। হিলস আইডল, অ্যামাজার, অলিভার, রিভাকো পার্ল ক্রিস্টাল, জেড ক্রস ইত্যাদি ব্রাসেলস স্প্রাউটগুলি সেখানে লাগানো হচ্ছে।


ফলের  রং:- সবুজ, গোলাপী, লাল, হালকা হলুদ ব্রাসেলস স্প্রাউট বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়।

বীজের হার: বীজ বপনের জন্য প্রতি বিঘায় ৫০-৬০ গ্রাম বীজ লাগে।


চারা রোপণ :- বাঁধাকপি বীজ বপন যে সময় করে ঠিক সে সমায় কার্তিক-অগ্রহায়ণ (সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর)। আগাম চাষের জন্য ২ মাসে আগে রোপণ করা যায়। ৩০-৩৫ দিনের পুরানো চারা রোপণ করতে হবে। সারি থেকে সারিতে দূরত্বটি ৬0 সেমি বা ২ ফুট হবে, চারা থেকে চারা পর্যন্ত দূরত্ব ৪৫ সেমি বা ১.৫ ফুট হবে  বিকেলে চারা রোপণ করা ভাল।


জমি প্রস্তুতি:- ব্রাসেলস অন্যান্য  ফসলের চেয়ে দীর্ঘা দিনের হওয়ায় সারের মাত্রা কিছুটা বেশি দিতে হয়। ইউরিয়া সার ৩-৪  কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হয়। আড়াআড়িভাবে ৩-৪ টা জমি চাষ করে, জমি নরম করে আগাছা পরিষ্কার করে জমি প্রস্তুত করতে হবে। মই দিয়ে জমি সমতল করতে হবে। মালচিং পেপার ছড়িয়ে দিয়ে আরও ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।


সার প্রয়োগ: জমি তৈরির সময়, প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ টন গোবর, ৯০ কেজি টিএসপি এবং ১২০কেজি এমপি মিশ্রিত করা উচিত। ইউরিয়া প্রতি হেক্টরে ১৫০ কেজি । ইউরিয়া তিনটি ভাগে প্রয়োগ করা উচিত, একটি অংশ রোপণের ৭ দিন পরে, 2 অংশ ২৫ দিনের পরে এবং ৩ অংশ ৪০ দিনের পরে প্রয়োগ করতে হবে।


যত্ন:- গাছটি বাড়ার সাথে সাথে দুটি সারিগুলির মাঝ থেকে মাটি সরিয়ে সারিগুলির সাথে একটি দ্বীপের মতো তৈরি করা হলে স্প্রাউট দূতো র্বৃদ্ধি পায়। সেচের পানি জমলে তা নিষ্কাশন করতে হবে। আপনি যদি দ্রুত ফলন পেতে চান তবে আপনাকে রোপণের দুই মাস পরে গাছের মাথাটি ভেঙে ফেলতে হবে। একে বলা হয় টপিং। 


রোগ এবং কীটপতঙ্গ:- ব্রাসেলস স্প্রাউটগ রোগ এবং কীটপতঙ্গগুলি বাঁধাকপির মতো। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ছত্রাকের দাগ এবং ব্লাইট রোগ গাছের পুরানো পাতায় প্রদর্শিত হয়।এক ধরণের বিটল বা লেদা পোকা দেখা যায় এবং বাহির থেকে ফল খেতে থাকে । এগুলি উপযুক্ত ছত্রাকনাশক এবং কীটনাশক স্প্রে করে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

জীবনকাল: ফসলের জীবনকাল ৯০ থেকে১৫০দিনের মধ্যে  হয়। স্প্রাউট সাধারণত দুই মাস পরে গাছে ধরতে শুরু হয়।

ফসল সংগ্রহের সময়:- স্প্রাউটগুলি আগমনের ১৫-২০ দিন পরে সংগ্রহ করা যায়। স্প্রাউট সপ্তাহে ২বার গাছ থেকে তোলা যায়।

ফলন: একটি গাছে ৪৫-৬০ টি স্প্রাউট হয় । গাছে যত বেশি পাতা থাকবে, ততই স্প্রাউট ধরবে। স্প্রাউটগুলির আকারের  ৮-১০  সেমি এবং ৫0-৬0 গ্রাম ওজনের হতে পারে।

ছাদে ব্রাসেলস স্প্রাউট লাগানো যেতে পারে:-

ব্রাসেলস স্প্রাউট একটি শীতের সবজি যা ছাদ বাগানের জন্য রোপন করা যায়। গাছটি সর্বোচ্চ ৪-৫ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পায় এবং রোপণের ৩৫-৬০ দিনের মধ্যে গাছের চারদিকে  (কুঁড়ি) দেখা দেয়। স্প্রাউটগুলি কুঁড়ি উত্থানের ২৮  দিনের মধ্যে ফসল কাটার জন্য উপযুক্ত হয়।


দেশজুড়ে এই সম্ভাব্য নতুন সবজি চাষ সম্প্রসারণের সাথে সাথে আশা করা যায় যে দেশের পুষ্টির চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে এবং সবজি চাষ লাভজনক হবে।


সৌজন্যে---------------------


Friday, January 15, 2021

নারকেল ফল বা মুচি ঝরে পড়ার কারণ ও প্রতিকার।



 নারকেল ফল বা মুচি ঝরে পড়ার কারণ ও প্রতিকার: মাকোড় এর  কারণগুলি ছাড়াও, ছত্রাকজনিত কারনে মুচি বা কচি ডাব ঝরে পড়ে যায়। তাই প্রথম ও দ্বিতীয়বার #উল্লিখিত মাকোড় নাশক গাছে স্প্রে করার সময় অটোস্টিন / নোয়েন / এমকোজিম / কম্পিউটার ২.০ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

নারকেল সাধারণত ফুল আসার  সময় থেকে ফল বড়ো হওয়ার সময় পর্যন্ত পড়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফুলগুলিতে পরাগায়ন সংযোগের অভাব, কচি ফলগুলিতে পোকামাকড়ের উপদ্রব, মাটিতে সারের অভাব, নারকেলের অভ্যন্তরের শাঁস গঠনে ব্যাহত হওয়া, মাটিতে জলের অভাব ইত্যাদি।


অনেক সময় সুষম সার প্রয়োগের অভাবে, পুষ্টির অভাব বা অসম্পূর্ণতার কারণে পরাগায়নের পরেও ফলগুলি পড়ে যায়। মৌমাছি যাতে নারকেল গাছের চোমরে ঘুরে বেড়াতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নারকেল ফুল ফোটার আগে অকারণে কোনও কীটনাশক স্প্রে করা ঠিক নয়।

মাটিতে রস বেশি থাকলে বা নারকেল গাছের গোড়ায় সব সময় স্যাঁতসেঁতে থাকে।এছাড়াও, আবহাওয়ায় কম আর্দ্রতা থাকলে ফল ফল ঝরে পড়তে পারে।


 যখন মাটিতে সারের অভাব হয়, তখন কম বয়সে বেশি নারকেল পড়ে যায়। নারকেল গাছগুলিতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ সার দেওয়ার  বিশেষ প্রয়োজন।এ সব  সারের অভাব হলে নারকেল শাঁস তৈরিতে বাধা সৃষ্টি হয় এবং নারকেল পড়ে যায়।


এছাড়াও, বর্ষার আগে ও পরে প্রতিটি গাছের জন্য ১০০ গ্রাম এমওপি এবং ২0 গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে নারকেল গাছ থেকে দেড় হাত বা দুই হাত দূরে একটি বৃত্তাকার বা রিং পদ্ধতিতে গভীর করে খাদে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং  সার দেওয়ার সাথে ভালভাবে সেচ দেওয়া উচিত।


প্লেনোফিক্স জাতীয় হরমন ৭ দিন পর পর নারকেল এর ফুলে ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে( ১০ পি পি এম) এবং পরে ২০ পি পি এম। ফল ঝরা কমে যাবে।



সৌজন্যে---------------------

Thursday, January 14, 2021

নারিকেল মাকড়সার আক্রমণের লক্ষণ ও প্রতিকার।








নারিকেল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। ব্যবহার বৈচিত্র্যে এটি একটি অতুলনীয় উদ্ভিদ। নারিকেল গাছের প্রতিটি অঙ্গই কোন না কোন কাজে লাগে। খাদ্য-পানীয় থেকে শুরু করে গৃহ নির্মাণের সরঞ্জাম, পশু খাদ্য ইত্যাদি উপকরণ নারিকেল গাছ থেকে পাওয়া যায়। এজন্য নারিকেল গাছকে স¦র্গীয় বৃক্ষ বলা হয়। বাংলাদেশের সব জেলাতেই নারিকেল জন্মায়। তবে উপকূলীয় জেলাসমূহে এর উৎপাদন বেশি। বাংলাদেশে উৎপাদিত মোট নারিকেলের ৩৫-৪০% ডাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নারিকেলের শাঁসে সেড়বহ জাতীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। ডাবের পানিতে যথেষ্ট পরিমাণে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ রয়েছে। খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি অত্যন্ত কার্যকরী।


নারিকেল মাকড়সার আক্রমণের লক্ষণ ও প্রতিকার। 


বর্তমানে নারিকেলের মাকড়ের বা  (Mite) আক্রমন খুব সাধারণ বিষয়। নারিকেলের মাকড়সার কারণে নারকেল চাষ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যেখানে নারিকেলের বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ফল । নারকেল পাতা, ফুল, ফল, কান্ড, শিকড় এবং প্রায় প্রতিটি অংশই কোনও না কোনও শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই নারকেল গাছটি সারা বছর বিভিন্ন রোগ এবং পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়। নারিকেলের মাকড়সা সম্পর্কিত কিছু তথ্য এখানে রয়েছে:-


নারিকেলের উপর  মাকড়সার আক্রমণের লক্ষণ দেওয়া হলো:-মাকড়সার দ্বারা আক্রমণ হলে, কচি বা ছোট ডাব নারিকেলের উপর বাদামি রং হয়ে যায় এবং যখন নারিকেল হয়, তখন নারিকেলের খোসার উপর ফাটা শুকনো বাদামী দাগগুলি উপস্থিত হয়।নারিকেলের খোলের উপর বাদামি দাগ দেখা যায় এবং এই ফাটলযুক্ত দাগ থেকে আটা জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে আসে।মাকড়সা দ্বারা আক্রান্ত নারিকেলের আকার  ছোট এবং শক্ত হয়ে যায়।


মাকড় আক্রমণে নারিকেলের স্বাভাবিক রং থাকে না  বিবর্ণ ধুসর হয়ে যায়।মাকড়-আক্রান্ত নারিকেল পাকা বা ঝুনা হওয়ার আগেই এটি বিকৃত হয়ে পড়ে  এবং বেকে যায়।দুই মাস বয়সী নারিকেলের মুচি মাকড়সার  বেশি আক্রমন করে এবং ছয় মাস বয়স না হওয়া পর্যন্ত সংক্রামিত ফল থেকে রস চুষে খায় ।




নারিকেলের গাছে মাকড়সার আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে নারিকেলের গাছটি  ফল শূন্য হয়ে যায়। ফলস্বরূপ, এই সময়ে মাকড় গুলি খাদ্যের সন্ধানে গাছের কচি পাতায় চলে যায় ।বেশিরভাগ মাকড়শা নারিকেলের গাছের৩-৪ মাস বয়সী নারিকেলে বেশি থাকতে দেখা যায়।

মাকড়সার প্রতিকার:নারিকেলের গাছগুলিতে মাকড়সা সাধারণত কান্ডের  বা বোটা নিকটে কান্ডের বা বোটার নীচে লুকায়। তাই মাকড়নাশক প্রয়োগ করা হলে এগুলি সহজে মারা যায় না। নারিকেলের গাছ ছাড়া মাকড়সারা বেঁচে থাকতে পারে না। কচি নারকেলগুলিতে তারা সচেতন অবস্থায় দলগতো ভাবে  থাকে । শীতকাল মাকড়সা নিয়ন্ত্রণের সেরা সময়, তাই শীতের আগে গাছ থেকে আক্রান্ত ফলগুলি অপসারণ করুন এবং গাছের মাথার মাকড়নাশক স্প্রে করে মাকড়শা ধ্বংস করুন। মাকড়সা নিয়ন্ত্রণ  জন্য নিম্নলিখিত কয়একটি পদক্ষেপ দেখানো হয়েছে-





পদক্ষেপ ১ : শীত শুরুর আগে আশ্বিন-কার্তিক মাসে (অক্টোবরের মাঝামাঝি-নভেম্বরের মাঝামাঝি) সমস্ত বিকৃত নারিকেলের  ২-৫ মাস বয়সী নারকেল কেটে মাটিতে পুড়িয়ে মাটির নীচে পুঁতে দিতে হবে। যাতে মাকড়সাগুলি সেই থেকে অন্য কোনও গাছে ছড়িয়ে না যায়।


পদক্ষেপ ২: কান্দি সংলগ্ন অঞ্চল এবং কচি পাতাগুলিতে আশ্বিন-কার্তিকের (মধ্য অক্টোবর-মাঝামাঝি) ১.৫-২ মিলি / মাকড়নাশক  ইত্যাদির গাছের মাথা পরিষ্কার করার পরে ( রনভিট / একামাইট/ওমাইট / সুমাইট /) ইত্যাদি লিটারের হারে এটি পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করতে হবে।

পদক্ষেপ ৩: ফাল্গুন-চৈত্র (মধ্য ফেব্রুয়ারি-মধ্য মার্চ) মাসে প্রথমবারের মতো নারিকেলের গাছে মাকড়নাশাক  প্রয়োগের ২ মাস পরে একই পরিমাণে মাকড়নাশাক দ্বিতীয় ডোজ নারকেল গাছে স্প্রে করা উচিত ।


পদক্ষেপ ৪: বৈশাখ মাসে চৈত্র থেকে তৃতীয় বার স্প্রে করার আগে (মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য-মে) পাকা ডাব এবং নারকেল সংগ্রহের পরে আগের মতো একই হারে মাকড়নাশাক স্প্রে করা উচিত।

পদক্ষেপ ৫: জ্যেষ্ঠ-আশার মাসে (মে-মধ্য-জুন) চতুর্থ ধাপের মতো, মাকড়নাশাক শেষ স্প্রে করা উচিত। সুতরাং, ৫ পদক্ষেপে মাকড়সা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হয়ে জাবে।

সৌজন্যে---------------------

Amin

Wednesday, January 13, 2021

আধুনিক পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ।

 আধুনিক পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ।

আধুনিক পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ।

গলদা চিংড়ি বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে দ্রুত বর্ধমান মিঠা পানির চিংড়িগুলির মধ্যে একটি। প্রাকৃতিক পরিবেশে, গলদা চিংড়িগুলি মিঠা পানিতে এবং সামান্য লবন যুক্ত পানিতে চাষ করা যায়। গলদা চিংড়ি নদীর  উঁচু অঞ্চলে যেখানে জোয়ার  হয় সেখানে থাকতে পছন্দ করে। গলদা প্রশান্ত মহাসাগরের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং আধা-ক্রান্তীয় দেশগুলিতে মিষ্টি জলে পাওয়া যায় বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি প্রাকৃতিক পরিবেশে হয়।

মিঠা পানির চিংড়িটিকে চিংড়ি বলা হয়। গলদা চিংড়ি হলো , ঠান্ডা-রক্তযুক্ত প্রাণী। শেল পরিবর্তনের মাধ্যমে শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে। খাদ্য হিসাবে হজমযোগ্য জৈব পদার্থ, প্রাণী, উদ্ভিদের কণা ইত্যাদি খায়। লার্ভা  তারা প্লাঙ্ককড খাওয়ায় এবং পানির নীচে উদ্ভিদ এবং জীবজন্তুকে খায়। পুরুষ গলদা চিংড়ি মহিলা গলদা চিংড়ি তুলনায় তুলনামূলকভাবে বড় এবং দ্রুত বর্ধমান। 


গলদা চিংড়ি চাষের সুবিধা:--------------------------------------

১.গলদা চিংড়ি দ্রুত বাড়ছে।

২.সুস্বাদু, রান্না করা সহজ।

৩.মিষ্টি জল এবং স্বল্প লবণাক্ত জলে  চাষ করা যায়। (লবণাক্ততা ৫ পিপিটি কম)

৪0.সারা বাংলাদেশে চাষের সুযোগ রয়েছে।

৫.একক এবং মিশ্র চাষ (কার্প-রুই, কাতলা, মৃগেল সহ)  চাষ করা যেতে পারে।

৬.রেনু পোনা প্রাকৃতিক উত্স এবং হ্যাচারি থেকে পাওয়া যায়।

৭. পরিপূরক সহজেই খাদ্য হিসাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৮.পরিপূরক খাদ্য তৈরির উপাদানগুলি সহজেই সংগ্রহ করা যায়।

৯.বাজার মূল্য, চাহিদা বেশি এবং সহজেই বিক্রি করা যায়।

১০..রোগগুলি কম সাধারণ এবং চিকিত্সা সহজে করা যেতে পারে।


গলদা চিংড়ি চাষ পদ্ধতি:---------------------------------

আমাদের দেশে গলদা চিংড়ি সাধারণত কৃষকরা দুটি উপায়ে খামার বা চাষ করে থাকে ।

১.একক চাষ পদ্ধতি: কেবল গলদা চিংড়ি চাষ একক চাষ। একক  সিস্টেমে প্রতি একরে ৮0000 /১00000 গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। একর প্রতি ফলন ৪00 থেকে ৫00 কেজি।

২. মিশ্র চাষ পদ্ধতি: গলদা চিংড়ির সাথে রুই, কাতলা, মরিগেল চাষ করা হয়। মিশ্র চাষ পদ্ধতিতে, প্রতি একরে ২000-২৫00 টি গলদা চিংড়ি এবং ২000-৫000 টি কার্প জাতীয় মাছ চাষ করা হয়। প্রতি একর উত্পাদন ২00-৩00 কেজি চিংড়ি এবং ২000-২৫00 কেজি কার্প হয়।


আমাদের দেশে আধুনিক উপায়ে গলদা চিংড়ি উত্পাদন কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আধুনিক পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ির উৎপাদন একর প্রতি ১২00 থেকে ২৫00 কেজি বেড়েছে। আমাদের দেশে আধুনিক গলদা চিংড়ি চাষ কয়েকটি কৃষক ব্যতীত ব্যাপকভাবে অনুশীলন করা হয় না।


১ জন কৃষক পুকুরের সাথে একটি নার্সারি পুকুর থাকা আধুনিক কৃষিকাজের জন্য অত্যাবশ্যক।নার্সারি পুকুরের  চাষ করা পুকুরের ২0 শতাংশ হওয়া উচিত। এক একর চাষের পুকুর যদি ১00 শতাংশ হয় তবে নার্সারি পুকুরের আকার ২0 শতাংশ হবে। নার্সারি পুকুরের পাড় শক্ত  করা দরকার। পুকুরের পানির গভীরতা ৪-৫ ফুট এবং মেঝে সমতল হওয়া উচিত। পুকুরের প্রান্তের উপরের অংশটি জাল দিয়ে ঘেরা উচিত। জাল দিয়ে ঘেরাও করার উদ্দেশ্য হলো সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, শুঁয়োপোকা নার্সারির পুকুরে প্রবেশ না করা এবং রেনু পোনা খাওয়া প্রতিরোধ করা। এছাড়াও, পাখিদের পুকুরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য প্রায়শই পুকুরের উপরে দড়ি বা ফিতা টানানো হয়। এটি রেনু পোনার বেঁচে থাকার হার বৃদ্ধি করে এবং এটিকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাটিকে জৈব-সুরক্ষা  বলা হয়।


 রেনু পোনার উত্স :--------------------------------

গালদার রেনু আমাদের দেশে প্রাকৃতিক উত্স - নদী এবং সমুদ্রের মোহনা থেকে পাওয়া যায়। হ্যাচারি গালদার রেন তৈরি করে। বছরের শুরুতে চৈত্র-বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে প্রথম রেনুকে পাওয়া যায়। গালদা রেনু বছরের শেষ অবধি (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) পাওয়া যায়।


রেনু পোনা সংরক্ষণ :--------------------------------

প্রথম বারের জন্য, বছরের শুরুতে, রেনু পোনা সংগ্রহ করে নার্সারির পুকুরে সংরক্ষণ করা হয়। নার্সারিতে রেনু পোনা ছাড়ার ৬0-৬৫ দিন পরে  গলদা চিংড়ির মহিলা এবং পুরুষ বাছাই করা যেতে পারে। পুরুষ চিংড়ির বৃদ্ধি বেশি এবং দ্রুত। মহিলা চিংড়ি পৃথকভাবে চাষ করা গেলে ফলন তুলনামূলকভাবে ভাল হয়। এক্ষেত্রে কৃষকের আরও পুকুরের প্রয়োজন হয়। অন্যথায় কৃষক এটি কেজি বা পিচ হিসাবে দিতে পারে। 


জুন-জুলাইয়ে, ২০-২৫ গ্রাম ওজনের ৫,০০০ পুরুষ কিশোর চিংড়ি মজুদ করা হয়েছিল। আংশিক নিষ্কাশন নভেম্বর থেকে শুরু হয় এবং ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়। কৃষক জলাশয়ে জানুয়ারীতে সেচ দেওয়া হয় এবং ফেব্রুয়ারির শেষে, ৩০-৩৫ গ্রাম ওজনের পুরুষ কিশোর চিংড়িটি নার্সারি থেকে (দ্বিতীয়বার রেনুপোনা) ৫,০০০ পুনরায় মজুদ করা হয়। জুনে আবার চিংড়ি সংগ্রহ করা হয়। কৃষক পুকুরে মজুত কিশোর চিংড়ির বেঁচে থাকার হার ৯0-৯৫%। যদি কোনও চিংড়ির বৃদ্ধি কম হয় তবে এটি পরবর্তী সময়ে জন্য ছেড়ে দেওয়া যায়।বছরে দু'বার চাষের এই পদ্ধতিটি প্রতি একরে ১000 থেকে ১২00 কেজি চিংড়ি উত্পাদন বেশি করতে পারে।


চাষের পুকুর এবং নার্সারিগুলিতে সিলভার কার্প  স্টক:-------------------------

পানির গুণগতমানের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং প্লাঙ্ককডের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য একর প্রতি ৪00-১000 বড় আকারের (১৫0-২00 গ্রাম ওজনের) সিলভার কার্প  স্টক করা যায়। বছরের শেষে, প্রতিটি মাছের ওজন ১ কেজি - ১.৫ কেজি হয়। একর প্রতি ৬00-৮00 কেজি মাছ উত্পাদন করা যায়।


নার্সারি এবং চাষের পুকুর প্রস্তুত করুন:----------------------------------

নার্সারি ও চাষের পুকুরের নিয়ম অনুসারে মাটি শুকিয়ে এবং মেঝে থেকে পচা কাদা অপসারণ করে চুন এবং সার মাটিতে প্রয়োগ করা হয়।  নার্সারি পুকুরের জলের গভীরতা ১.২৯ মিটার এবং আবাদকৃত পুকুরে১.৫-১.৮ মিটার হওয়া ভাল। পুরুষ গলদা চিংড়ির আকারে বেড়ে যায় এবং চিংড়িতে আক্রমণ করে অন্যান্য চিংড়িগুলিকে ক্ষতি করে। চিংড়ি পুকুরে বা ঘেরে জাল টেনে পা ভেঙে ফেলতে হয়। পা ভাঙ্গা অন্যান্য চিংড়ি আক্রমণ বা খাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং চিংড়ি আরও বেড়ে যায়। শরীরের 20% শক্তি পা সরাতে ব্যবহৃত করে ।

গলদা  রোগ:--------------------------------------

গলদা চাষে পুকুরের পরিবেশ ভাল থাকলে কোনও রোগ দেখা দেবে না। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে, বিষাক্ত গ্যাসের কারণে চিংড়ি মারা যায়। এছাড়াও  কাটা / ভাঙ্গা, লেজ পচা, ত্বকে শৈবাল,  মাথায় কৃমি দেখা যায়। এই রোগগুলির যথাযথ চিকিত্সার সাথে,  নিরাময় করা হয়।

গলদা চিংড়ি উত্পাদন:-----------------------------------------------

বর্তমানে গলদা চিংড়ির উৎপাদন প্রতি বছর একর প্রতি ২00-৩00 কেজি হয়। গলদা চিংড়ি এবং মাছ উত্পাদন করে, কৃষকরা যে  আয় করেন। একর প্রতি ২,00,000 - ২,৫0,000। আধুনিক পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষে একর প্রতি ১000-১২00 কেজি। চিংড়ি এবং উপজাত হিসাবে৮৫0-১000 কেজি মাছ উত্পাদন করতে পারে। গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি উত্পাদন খরচ৩৬0-৪00 টাকা। আধুনিক পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে যে কেউ সহজেই একর প্রতি ৪,00,000 -৪,৫0,000 টাকা আয় করতে পারেন। সারা বাংলাদেশ জুড়ে গলদা চিংড়ি  চাষের সুযোগ রয়েছে।

সৌজন্যে---------------------



Tuesday, January 12, 2021

আম ও লিচু গাছের মুকুলের পরিচর্যা।

 

আম ও লিচু গাছের মুকুলের পরিচর্যা।



🍓🍓🥭জানুয়ারি মাসে আম ও লিচু গাছের পরিচর্যাঃ
🍓🥭🥭যাদের আম বা লিচু বাগানে কিংবা ছাদ বাগানে আম ও লিচু গাছের বয়স ২ বছর হয়ে গেছে, তারা আগামী মৌসুমে ফলের আশা করতেই পারেন। জানুয়ারির শেষ থেকে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করবে। কিন্তু, ভালো ফলনের জন্য এখন থেকেই নিতে হবে বাড়তি পরিচর্যা।
🍓🥭🥭 তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই ভালো ফলনের জন্য কি কি করবেন আম ও লিচু গাছে।
✅🍓 🥭প্রথমে ১ লিটার পানিতে ২ মিলি সাইপারমেথ্রিন/ক্লোরোপাইরিফস(কীটনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ রিপকর্ড/এসিমিক্স/রিলোড/নাইট্রো ও ২ গ্রাম ম্যানকোজেব/কার্বেন্ডাজিম(ছত্রাকনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ ডাইথেন এম-৪৫/অটোস্টিন/রিডোমিল গোল্ড/ কমপ্যানিয়ন/ ম্যানসার/ মিশিয়ে স্প্রে করবেন।
✅ 🍓🥭কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার ২ বা ৩ দিন পরে বিকেলে ১ লিটার পানিতে ২ মিলি মিরাকুলান/প্রটোজিম/ফ্লোরা, ১ গ্রাম সলুবোরন ও ১ গ্রাম চিলেটেড জিংক মিশিয়ে স্প্রে করবেন। ১৫ দিন পরে একই নিয়মে আবারো স্প্রে করবেন, তাহলে মুকুল আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
✅ 🍓🥭জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে মুকুল আসা শুরু করবে আম ও লিচু গাছে।
✅ 🍓🥭মুকুল আসলে কিন্তু ফোটার আগেই ১ লিটার পানিতে ২ মিলি মিরাকুলান/প্রটোজিম/ফ্লোরা, ১ গ্রাম সলুবোরন ও ১ গ্রাম চিলেটেড জিংক মিশিয়ে স্প্রে করবেন। এটি পরাগায়নে সাহায্য করবে।
✅ 🍓🥭এর ২/৩ দিন পর ১ লিটার পানিতে ২ মিলি সাইপারমেথ্রিন/ক্লোরোপাইরিফস(কীটনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ রিপকর্ড/এসিমিক্স/রিলোড/নাইট্রো ও ২ গ্রাম ম্যানকোজেব/কার্বেন্ডাজিম(ছত্রাকনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ ডাইথেন এম-৪৫/অটোস্টিন/রিডোমিল গোল্ড/ কমপ্যানিয়ন/ ম্যানসার/ মিশিয়ে স্প্রে করবেন।। এই স্প্রে করতে হবে না স্প্রে করলে হপার পোকা ফলের মুকুলের রস শুষে খেয়ে ফেলবে।
✅🍓🥭 মুকুল ফুটে গেলে কোন কিছু স্প্রে করা যাবে না, তাহলে পরাগায়ন হবে না।
✅ 🍓🥭ফল গুটি অবস্হা হলে আবার ১ লিটার পানিতে ২ মিলি সাইপারমেথ্রিন/ক্লোরোপাইরিফস (কীটনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ রিপকর্ড/এসিমিক্স/রিলোড/নাইট্রো ও ২ গ্রাম ম্যানকোজেব/কার্বেন্ডাজিম(ছত্রাকনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ ডাইথেন এম-৪৫/অটোস্টিন/রিডোমিল গোল্ড/ কমপ্যানিয়ন/ ম্যানসার/ মিশিয়ে স্প্রে করবেন।। এই স্প্রে না করলে ফল গুটি অবস্থায় ঝড়ে যাবে৷
🥎🥎🍊🍈🍇🍋🍒🍏🍐উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করে জামুরুল, কমলা, মাল্টা, লেবু, সফেদা, শরিফা, কামরাঙ্গা,পেয়ারা ইত্যাদি ফল গাছেও বেশি পরিমানে ফুল ও ফল ধরানো সম্ভব।
পরামর্শের জন্যঃ
কৃষিবিদ শিবব্রত ভৌমিক
ইমেইলঃ siba_bau@yahoo.com

Last post

ড্রাগন ফলের পরিচয়

  উৎপত্তি ও ভৌগলিক বিস্তৃতিসহ ড্রাগন ফলের পরিচয়     " ড্রাগন ফল " বা ড্রাগন ফ্রুট অসমৃদ্ধ এবং বিশেষ রূপের ফল , য...